আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ষড়যন্ত্রের কবলে সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

শাহজাহান আকন্দ শুভ: ফের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে দেশের সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাবমেরিন ক্যাবলের ভূগর্ভস্থ অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের সংযোগ বার-বার বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটছে। অপরদিকে বার-বার ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এখন পর্যনত্ম তাদের শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার যায়নি। কক্সবাজারের চিরিঙ্গা এলাকায় ২টি স্থানে অপটিক্যাল ফাইবারের লিংক দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলায় গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধা পর্যনত্ম সাড়ে ১৮ ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবল থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল বাংলাদেশ।

গতকাল বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রাম থেকে ১২১ কিলোমিটার দূরে চকোরিয়ার কাছে অপটিক্যাল ফাইবার কাটার ঘটনা ঘটেছে। এরফলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গেছেন স্থানীয় ডিসি-এসপি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। টিএন্ডটির জিএম (এস. এস.) লে. কর্নেল জিয়া সফদার এ ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে মনে করছেন। এর আগেও একাধিকবার অপটিক্যাল ফাইবার লিংক কাটার ঘটনা ঘটে।

ফলে এই খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত কোটি কোটি টাকার রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। বার-বার অপটিক্যাল ফাইবার কাটার ঘটনার পেছনে একটি বিদেশি স্যাটেলাইট কোম্পানির এদেশীয় এজেন্ট, ভিওআইপি ব্যবসায়ী চক্র, ভি- স্যাট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান এমনকি টিএন্ডটির কর্মচারীরাও জড়িত থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কিন' এখন পর্যনত্ম এ বিষয়ে কোনও কার্যকর তদনত্ম না হওয়ায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ধরাছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। টিএন্ডটির জিএম বলেছেন, সাবমেরিন ক্যাবল কাটার প্রতিটি ঘটনায় টিএন্ডটির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এসব মামলা তদনত্ম করছে।

আমরাও জড়িতদের খোঁজ পেতে অনুসন্ধান চালাচ্ছি। জানা গেছে, ৯১ সালের বিএনপি সরকারের সময় কোনও অর্থ ব্যয় ছাড়াই সাবমেরিন ক্যাবল ব্যাকবোন স্থাপন করে দেয়ার প্রসত্মাব এসেছিল। কিন' তৎকালীন বিএনপি সরকার রহস্যজনক কারণে তথ্য পাচারের ধুয়ো তুলে তা স্থাপনের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তীকালে সেই ব্যাকবোন স্থাপন করা হয় ভারতে। ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় এসে গত বছর ৬৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন স্থাপন করা হলেও সে সময়ও রহস্যজনক কারণে কোনও ব্যাকআপ নেটওয়ার্ক লাইন স্থাপন করা হয়নি।

ফলে স্থাপনের পর থেকেই সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বার-বার নাশকতার ঘটনা। সুত্র: আমাদের সময়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.