আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না: আ.লীগ ...... হা হা হা ... হা হা হা ... পাগলে কি না কয়

জাগো বাংলাদেশ...... জাগো

মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ল বিল এলাকার জনগণকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগ। তাঁরা বলেছেন, সরকার জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই দেশ ও এলাকার উন্নয়নে সব রকম সিদ্ধান্ত নেবে। আড়িয়ল বিল এলাকায় প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহূত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন শ্রীনগর-সিরাজদিখান এলাকার সাংসদ সুকুমার রঞ্জন ঘোষ।

এতে বলা হয়, একটি মহল অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও অপপ্রচার চালিয়ে এলাকার জনগণকে কেবল বিভ্রান্তই করেনি, নানা রকম উসকানিমূলক তৎপরতাও চালাতে থাকে। একপর্যায়ে তারা রাখডাক ছেড়ে প্রকাশ্যেই এই বিমানবন্দর নির্মাণের বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করে সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দেয়। গতকালের ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়, খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ নির্দেশে বিএনপির ক্যাডাররাই এই ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে বিপুল পরিমাণ অর্থও বিলি করা হয়েছে। এর পরিণতিতেই এ দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিমানবন্দর নির্মাণ করার বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে মত থাকলেও এ নিয়ে কোনো উত্তেজনা ছিল না। এটা কোনো আন্দোলনের ইস্যুও ছিল না। কতটুকু জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তা-ও ছিল পরীক্ষাধীন। এলাকার সবাই ছিল সহনশীল। ষড়যন্ত্র করে গত তিন দিনে এলাকাবাসীকে অসহিষ্ণু করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের জন্য যে পরিমাণ জায়গা অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তার বাইরেও দূরবর্তী ইউনিয়ন ও গ্রামে প্রচার চালানো হয়, ওইসব এলাকাও সরকার অধিগ্রহণ করবে, যা সম্পূর্ণ বাস্তবতা-বিবর্জিত, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। যখন জমি অধিগ্রহণের কোনো প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি, তখন এই মহলটি রাতের অন্ধকারে ওইসব এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে লম্বা বাঁশের মাথায় লাল পতাকা উড়িয়ে অধিগ্রহণ করা হবে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালায়। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীকে ধৈর্য ও সংযমের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন। আমরা দেশের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। আমরা আপনাদের পাশে আছি।

’ সংবাদ সম্মেলনে হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইদ্রিস আলী, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.