আ মা র আ মি
অনেকদিন পর গত সন্ধ্যায় আসরে নতুন গান শুনলাম কতগুলো। এমন এক সময় ছিলো নতুন নতুন গান তৈরী হতো প্রায়ই। আমিও তখন একটু একটু গান লেখার চেষ্টা করছি। ভালো গানের ভীড়ে আমার গান আসলে খুঁজে পাওয়া যেত না প্রায়ই। তাই সুযোগ বুঝে ভালো কিছু গানের শেষ অংশ বানিয়ে ফেলতাম আমি, নিতান্ত লাজুক মুখে জানাতাম গাতকদের।
উৎসাহ পেলে আরেকটা নিয়ে শুরু করতাম।
তারপর অনেকদিন গেল, বাস্তবতার কারনেই আমাদের গানের দল বসে না বহুদিন। যদিও কখনো কাকতালীয়ভাবে দলটা একসাথে হয়ে যেত, অদ্ভুদ আনন্দ নিয়ে ভেসে যেতাম গানে। তারপর আরও অনেক অনেকদিন। ততদিনে পদ্ম খুঁজে নিয়েছে নতুন ঠিকানা, রিপনও খানিকটা প্রফেশনালদের দলে।
সুশান্ত হয়েছে আরও ব্যস্ত তার কাজে, মিথুন অতুনুকে নিয়ে নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলো নতুন দলের। কেন যেন তাও হলো না।
গত সন্ধ্যায় নতুন গানগুলো আবার ঝংকার তুলেছিলো রক্তে। একেকটা লাইন শোনার পর আরেকটা লাইন শোনার জন্য অপেক্ষা। কেমন যেন আমাদেরই কথাগুলো বলে যাচ্ছিলো ছেলেটা, অতনুর ছাত্র।
আমি আবার আশা নিয়ে ওর গান শুনি। আমার হ্য়তবা তৈরী হতে পারে আমাদের গানের দল, গানের দল।
মাঠের মধ্যে গান হচ্ছিলো, গোল হয়ে বসে। আমাদের আশপাশে বসে ছিলো অনেকে, কিছু বন্ধুদের আড্ডা। কিছু জুটি।
আস্তে আস্তে যখন খালি হচ্ছে মাঠ, হঠাৎ খেয়াল করলাম একটি জুটি এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। খানিকটা দূরত্ব নিয়েই থামলো তারা। তারপর শুনতে লাগলো আমাদের গান। আস্তে আস্তে গাঢ় হলো তারা। ছেলেটা খানিকটা আড়াল করে ঠোঁট দুবালো বোধহয় ঠোঁটে।
গান চলছে তখনও, মাথার উপর চাঁদ। আমি ভাবলাম, ওদের আড়াল করবার কোন দরকার ছিলো না। এই সুরের জোয়ারে কোন কিছুই আর অশ্লীল না। ঐ চুম্বনেই তৈরী নতুন স্বপ্ন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।