আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুত্তা ডাকে ঘেউ ঘেউ,আশেপাশে নাইরে কেউ/ টয়লেটের খিড়কি নাই,আইসো মোরা গান গাই!আমার রোজনামচা:১৮/০৮/২০০৭

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

(+18) বেশ ভোর বেলা ঘুম থিকা উঠিলাম, তয় সদ্চ্ছায় নয়, ১১:০০টার সময় ত্রাণ দিতে যাইবো কোম্পানির পক্ষ হইতে সেই তাড়নায়। উঠিয়াই মেজাজটা বিলা: ডিশের লাইন নাই। ভোর তখন ৯:০০টা। চোখ কচলাইতে কচলাইতে বাথরুমের সাথে নিত্য বৈঠক শেষ করিয়া প্যান্ট খানা চড়াইলাম।

কিছু পেটে সিধান দিয়া উঠিলাম একুশের বাসে। বসিলাম রীতিমত জব্বর একটা সীটে। ভাবিলাম পাশে বসিবে কোনো সুন্দরী। কিন্তু সকাল শুরু হইয়াছে বদনসিবী দিয়া, বসিলো দাতবিহীন বুড়া চাচা। কাজীপাড়ায় বাস হঠাত থামিয়া কইলো বাস আর যাইবে না, যন্ত্র নাকি ধর্মঘটে গিয়াছে।

কৈলাসে চড়া মেজাজ নিয়া ড্রাইভারের গুষ্ঠির নাম উদ্ধার করিয়া লইলাম সিএনজি! পৌছিলাম অফিসে ১০:৪৫ মিনিটে। ১১:০০টার সময় কনফার্ম করিল ত্রান দিবার শিডিউল নাকি ক্যানসেল হইয়াছে। ফোন প্রদান কারী সুন্দরীরে দিলাম ঝাড়ী:কি এক ডাক্তার! মাথায় বুদ্ধি নাই তার! গুলাশান ১ এর অলিগলি ঘুড়িতে লাগিলাম, আহ! মন আমার উতফুল্ল হইয়া গেল। কি সুন্দর সুন্দরীরা রিক্সা দিয়া হাটিয়া যায়, আড়চোখে তাকায়, আমার উদ্বেলিত ক্ষনে ক্ষনে ছলকায়! আবার একুশে উঠিলাম, বাজিল ফোন, কোথাকার কোন সাইট এইজ হইলো ডাউন। মেজাজ আবারো একুশে সার্ভিসের মতো বিগড়াইয়া গেল।

ছুটির দিনেও শান্তি নাই। বাড়ী ফিরিলাম ২:০০টায়। বসিলাম ব্লগে বোলগাইতে। খাইতে বসিলাম ৩:০০টায়। পথিমধ্যে দেখি বাসায় বিরল প্রজাতির আত্নিয়র আগমন ঘটিল, সাথে আন্ডা বাচ্চা।

কোনো ভাব দেখাইলাম না, মাগার হোদেল কু্তকুত টাইপের এক পুচকি তার শয়তানির উদ্বোধন করিল আমার গ্লাস খান ভাঙ্গিয়া। রাগে মেজাজ চড়িলো আমগাছে। বাসা থিকা চইলা গিয়া মামতোর বাসায় গেলাম ঘুমাইতে। ঘুম ভাঙ্গে সন্ধ্যা ৬:৩০টায়। বাসায় আসিলাম।

আসিয়া দেখি পিচকি কেয়ামত শুরু করিয়া দিয়াছে। কোনো মতে ল্যাপটপ আর মোডেম খানা বাচাইলাম। দিলাম পিচকারে ঝাড়ি। দেখি পিচকা একটু মুখ গোমড়া করিয়া ঠান্ডা। এইবার আত্নিয়ের বদমতলব সম্পর্কে বলি।

কন্যার অফার নিয়া আসিয়াছে। কন্যা নাকি ইন্টার ফেল মারিয়াছে ২বার। দেশে নাকি অনেক জায়গা জমি পুকুরে নাকি গোলাভরা মাছ। মেজাজ আরেক দফা উঠিলো সপ্তমে। মাথায় আসিলো বুদ্ধি।

পিচকিরে যাইয়া একটা চিমটি মারিয়া কহিলাম," ঐ বান্দর, আবার একটু শয়তানের নাচ দে তো!" এইখান শুনিয়া ক্রোধে ফাটিয়া বলিলো," আম্মা, ঐ কানা-কালা-কুচকুচা বুইড়া দামড়া টা কয় আমারে নাচতে!" যেই না বলা, আমি আশু পরিস্হিতির আশংকায় বাড়ী ছাড়িলাম জীমের উদ্দেশ্যে ঠিক ৭:৩০টায়। আহ কি শান্তি! মাগার জীমে যাইয়া দেখি সবাই মুখ মুছিতেছে। ব্যপার খানা কি: একটু আগে কে যেনো কি কারনে মিষ্টি বিলাইছে, আর আমি নাকি শেষ মিষ্টি শেষ হইবার পর জীমে ঢুকি। আফসোসে মনে হইলো আটলান্টিকে ঝাপ দেই। শুরু করিলাম নিত্য প্রাকটিস।

হঠাত কিছুক্ষণ পর একজন গেল টয়লেটে। সাথের দুইজন ধরিল লাইন। আমি বলিলাম, "কি হইলো?" -বুঝতাছি না, মনে হয় পেট বিগড়াইছে! এদিকে প্রথম জন বাহির হইবার নাম নাই। শুরু করিলো দরজায় মুগুড়িয় আঘাত: "ঐ শ্বশুরের নাতী, বাইর হ তাড়াতাড়ী!" ভিতর থিকা খালি কয়,"আর অল্প একটু!" দরজার ছিটকানি খোলে খোলে অবস্হা। এমন সময় প্রথম জন বাহির হইলে পারলে দুইজনে ঢুকে।

যাই হোক, অপেক্ষাকৃত চিকনা কেমনে যেনো ফাক চান্সে গেলো ঢুকিয়া, আর যে পারিলো না, সে মারিলো দরজায় লাথি। আর বেরসিক দরজা গেলো খুলিয়া। বাকি টুকু নাই বলি, তবে একখান কবিতা, আসিলো মন উগড়াইয়া: কুত্তা ডাকে ঘেউ ঘেউ, আশেপাশে নাইরে কেউ। টয়লেটের খিড়কি নাই, আইসো মোরা গান গাই! বাসায় আসিলাম ১০:৩০টায়। আসিয়া দেখি আত্নিয় গায়েব আর আমি হাফ ছাড়িয়া বাচি।

কিন্তু পিচকির রেখে যাওয়া কিছু কান্ড কীর্তি দেখিয়া মন চাইলো এভারেষ্টে উঠিয়া খাই সুইসাইড! ১) আমার গ্লাস ভাঙ্গিয়াছে ২) আমার সিডিগুলান নীচে ফালাইয়া দিছে ঘসা ৩) আমার বিছানায় খাড়াইয়া দিছে মুইতা! বেডশীট চেন্জ্ঞ করা হইছে, রুম স্প্রে মারা হইছে, মাগার সেন্টের চোটে মাথাটা আমার ভন ভন করতে লাগল। এই ভন ভন মাথা লইয়া বসিলাম ব্লগ লেখতে। বহু কস্টে ঘুমাই রাত ২টায়। সে এক নারকীয় রাত!(আম্মাআআ)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।