আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফটোব্লগ: আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখরও বাদলও দিনে

বৃষ্টি হচ্ছে সুনিশ্চিত এই মুহুর্তে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও

ঘরে আলো ছিলো না তেমন। আমার নিজের তোলা ছবি না। রুমমেট আর বন্ধু ঈন্দ্রনীলের কর্ম। পড়ছিলাম জানলার ধারে, আর ও খুট করে ক্যামেরা নিয়ে ফ্ল্যাশ বিহীন নি:শব্দে ক্লিক ক্লিক। প্রথমে নিজেও বুঝি নি।

ছবির পেছনের গল্প: ঠাকুরের "আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখরও বাদল দিনের" জন্য সিংহপুরে বর্ষাকালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বরষা প্রায়কার ঘটনা। তবে সবদিন ঝুম বৃষ্টি হয় না। সেদিনকে (দু'দিন আগে) ঝুম বৃষ্টি। অনেকক্ষন পৃথি্বী অন্ধকার মেঘ করে তারপরে বিদ্যুত চমকে টমকে নামলো অনেক ঘন বৃষ্টি।

তখনও স্নান সারা হয় নি। বাড়ির খুব কাছে ক্লেমেন্টি উডস নামের একটা ছোটমোট পার্ক আছে। ভাবলাম বৃষ্টিতে সেইখানে একটা দৌড় দিয়ে আসি। শরীরটা বড্ড আলসে হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিতে দৌড়ানোর মতলবটা ইদানীংকার।

প্রায়শই মনে হয়, করা আর হয় না। সেদিন গেলে স্নানের কাজটাও একসাথে হয়ে যেতো। যাবো যাবো করে লাইব্রেরী থেকে তোলা কবীর হেলমিনন্সিকি'র, দি নোয়িং হার্ট বইটা পড়া শুরু করে আর যেতে ইচ্ছে করছিলো না কোথাও। বইটা চুম্বকের মতো আটকে রাখলো। ওদিকে বৃষ্টিতে ভিজতেও মন টানে।

বৃষ্টি তখন আকাশ ছেড়ে মাটিতে সজোরে ক্র্যাশ করতে ব্যস্ত। পাগলা হাওয়াকে ঘরে আমন্ত্রন জানাতে জানালা মেলবো বলে জানালার কাছে যেতেই বৃষ্টির ছাট টের পেলাম দিব্যি ঘরে ঢুকছে অনুমুতি ছাড়াই। এত সুন্দর হাওয়া বন্ধ করতে ইচ্ছে করলো না। পায়ের কাছেই মাটিতে পাতা বিছানা। ভিজলে মুশকিল।

তাই বৃষ্টির পানি আটকাতে পিঠ দিয়ে দাড়ালাম। বৃষ্টিও গায়ে মাখা হবে, তার সাথে পড়াও। বেশ অপটিমাল ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন। ফাকতালে জানালার বাইরে মাথা বের করে বোনাস বৃষ্টি মাখো। পিকাসায় এডিট: ছবিটা কম্পিউটারে ডাউনলোডের পরে পিকাসায় একটু ব্রাইটনেস কমিয়ে নিয়েছি শ্যাডো বাড়িয়ে।

তারপরে বাইরের সবুজ গাছের সতেজতা আরেকটু হাইলাইট করার জন্য স্যাচুরেশন বাড়িয়েছি অতি সামান্য। ঘরের জানালার বাইরের গাছগুলো আসলেই খুব দারুন সবুজ। ফ্রেমিং নান্দনিক করার জন্য (জানালাটাকে রেফারেন্স ধরে) একটু ক্রপিং করা হয়েছে ফাইনাল টাচ হিসাবে। বন্ধু ঈন্দ্রনীলের ক্যামেরাটা ক্যানন পাওয়ারশট। + দি নোয়িং হার্ট বইটা থেকে কিছু চ্যাপ্টার অনলাইনে পড়া যাবে এখানে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।