ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
(আগের পর্বের পর...)
বাঙলা কলেজে আমাদের পরপর নাটকের একটা দল বেরিয়ে এসেছিল। তারা কেন যেন আমাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখত! তাই আমার ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও নাটকে যেতে পারিনি তখন। ওদের একটা প্রযোজনা এসেছিল শেষ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর কি হয়েছে সেসব আর জানা নেই।
কলেজে শেষের দিকে এসে হাসানের সাথে পরিচয়।
বাঙলা কলেজে সবচেয়ে একটিভ এবং সাকসেসফুল ব্যান্ড গ্রুপ ছিল ওর। ওর সাথে আমি মিশে গীটার শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি। এব্যপারে অবশ্য আগেই একটা লেখা লিখেছিলাম।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে টের পেলাম আমার কিছুই পড়াশোনা হয়নি। তাই সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে তিনমাস দমবন্ধ পড়াশুনা করে জীবনটা বাঁচিয়ে ছিলাম বলে রক্ষা।
এভাবে বাঙলা কলেজ আমার মধ্যে কিছু খারাপ গুন (সিগারেটের নেশা) এবং কিছু ভালো গুন (যে কারো সাথে মিশতে পারা, লেখালেখি, আবৃতি, লীডারশীপ, গীটার) অনুপ্রবেশ করিয়ে দেয়। আমার মেটামরফসিস শেষে আমি হয়ে উঠি সম্পূর্ণ মানুষ।
এখন সময়ের এই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমি ভাবি আসলেই বাঙলা কলেজ ছাড়া আমি হয়ত ‘আমি’ হয়ে উঠতে পারতাম না। ধন্যবাদ বাঙলা কলেজ - ধন্য আমি তোমার ছোঁয়ায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।