আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাল্লুবাজ ব্যারিস্টার এবং গর্দভরাগীনি



ভাল জিনিস খাইতে সবার ভালো লাগে, দেখতেও ভাল লাগে। কিন্তুক মনে রাখা দরকার ভাল জিনিস আসে ধীরে ধীরে লাফ দিয়া আসে না। আমাদের জলপাই মামারা যখন ক্ষমতার পিছনের উৎস হইয়া গেল তখন এক শ্রেনীর ভাগিনা এবং ভাগীনেয় সকল খুব ফালাইল। দেশ এইবার এদ্দম সাফ করিয়া, পুরোনো সব ইরেজার দিয়া মুছিয়া নতুন করিয়া লিখবে। এই শ্রেনীর পালের গোদা কিংবা ফাদার ফিগার হইতেছেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন।

উনার লারে লাপ্পা মার্কা লাফ এবং হম্বিতম্বি দেখিলে মনে হয় উনি ইত্তেফাকের মালিকানা নিয়া কি করিয়াছেন সেইটা লোকে জানে না। ক্ষমতা পাইয়া একদিন বলেন এমন আইন করিব যাহাতে কোন দূর্নীতিবাজ ইলেকশন করিতে পারিবেনা। দুইদিন বাদে বলিলেন ঋণ খেলাপীদিগকে টাইট দিব, এখন দেখিলাম এক ঋণ খেলাপী ঋণ শোধ করিতে পারিতেছে না বিধায় উহার ঋণের সুদ মওকুফ করিয়া নতুন ঋণ দেওয়া হইতেছে, তাও আবার উনার নাকের ডগায় বসিয়া। ভালো কিছু করিবার ইচ্ছা থাকা খারাপ না, খুবই ভাল। কিন্তু কাম করিবার আগে খালি ফাল পাড়া ভালো না।

আপা-ভাবীকে নিয়া সরকার যা দেখাইল, তাতে আপা-ভাবীর অবস্থান আরো শক্ত হইলো। এই ব্লগে সেই একই অবস্থা। একজন আছেন উনি মিটার স্কেল দিয়া ঢাকা-নারায়নগঞ্জ দূরত্ব মাপেন। যুদ্ধোপূর্ব এবং পরবর্তী অপরাধের তালিকা করেন। কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের সম্পদ বানাইয়া দেন।

আওয়ামী লীগ দাবী করতে পারে তাই বইলা আমরা জনগণ কি আওয়ামী লীগরে মুক্তিযুদ্ধ প্যাটেন্ট কইরা দিছি? আমরা দিই নাই, কখনো দিই নাই এবং দিমু ও না। কিন্তু উনি প্রতি সোম-বুধবার কইরা একটা ফাল পাড়েন আওয়ামী লীগ কইইয়া কইয়া। কিন্তু ব্লগে ইতর কিছু ব্লগারের রাজাকার প্রেমে উনি মজনু হয়া যান। তহন উনার আ** চোপা বন্ধ হয়া যায়। এই গুলি্রে কয় **** ।

সব বুইঝা শুইনা ভান ধরার গুরু। উনার প্রধান রোগ হইতাছে আওয়ামী সিনড্রোম। তারেক ভায়েরা কাৎলা মাছের মত টাকা খাইয়া , দেশটারে পুলিশি সরকার বানায়া, দুই নম্বরি ইলেকশন করতে গিয়া উনার জলপাই মামাগো নিয়া আইছে , এইটা নিয়া উনার কোন বিশ্লেষনী প্রাথমিক লেভেলের চিন্তা নাই, আওয়ামী লীগ ২৮ শে অক্টোবর মানুষ পিটাইয়া মারছে সেইটা নিয়া আহাজারি কিন্তু সেইদিন বায়তুল মোকাররমের দুই নম্বর গেটে শিবির সমর্থকরা বন্দুক-সন্দুক লইয়া মিনি ক্যান্টনমেন্ট কেন বানাইছিল সেইটা নিয়া উনার ফেটাস লেভেলের চিন্তাও নাই, তিন বছর আগে শিবির বন্দর নগরীতে ব্রাশ ফায়ার করিয়া আটজন এক সাথে মারিয়া ফেললো সেইটা উনি মনে হয় জানেন না। জামায়তের ছত্রছায়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামে রোহিঙাদের ট্রেনিং দেওয়ার খবর উনি উনার মাসিক মদিনায় পান নাই। এই ব্লগে এত কিসিমের নিক আছে কিন্তু আজতক আওয়ামী লীগ কিম্বা বিএনপি নিক দেখি নাই।

তদাপি উনি ব্লগ আওয়ামী লীগারে ভর্তি এই নিয়া বিচলিত। কিন্তুক বিচালী খাওয়া জামায়াতে ব্লগ থই থই এইটা উনার মহান মস্তিষ্কে স্থান পায়না। ব্লগে উনি আর সরকারে মঈনুল হোসেন এই দুই জন একই কাতারের ফাল্লু বাজ(যে ফাল পাড়ে)। এইসব ফাল্লু বাজের গলাবাজি পাগল বানায়া দিল পুর ব্লগ। জনাব ফাল পাড়ানি দয়া করিয়া আমাদিগকে কম্পুটার জ্ঞান দেন , গুগুল জ্ঞান দেন, হাদিস জ্ঞান দেন কিন্তু দয়া করিয়া আপনার প্রাথমিক লেভেলের ইতিহাস বর্ণন ছাড়েন।

এই উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধেয় বদরুদ্দীন উমরের একটা কথা উল্লেখ করি, সেই সাথে এও বলিয়া রাখি উনি ভাষা আন্দোলনের সর্বস্বীকৃত সেরা ইতিহাসবিদ। '' ইতিহাস একটি বিজ্ঞান। গর্দভ দিয়ে গর্দভরাগিনী হয়, ইতিহাস হয় না। ''

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.