আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলুষযুক্ত গপ্পো - পইড়া গাইল পারলে কর্তৃপক্ষ দায়ী না

সযতনে খেয়ালী!

[ এইটা একটা হাছা ঘটনা। তবে ঘটনার পাত্রপাত্রি, কলাকুশলী, আমজাম, এটাসেটা কাল্পনিক হইলেও হইতে পারে। সেক্ষেত্রে লেখকরে দায়ী করলে সেন্টু খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে ] অংকে বরাবরই আগ্গুন আমার দোস্ত-বন্ধুরা। আমি অংকে "এভারগ্রীন" বলে মাঝে মাঝেই শরম পাই। ইশকুলে থাকতে যাও মুখস্ত কইরা পার কইরা দিছি।

এর পরের স্তর গুলাতে মুখস্ত বিদ্যা খুবেকটা কামে দেয়নাই বইলা ধরার উপর খাড়ার চটকানা খাইছি। তবে আশার কথা হইলো, এইরমের এভারগ্রীন পাবলিক আরো কয়েকজন আছিলো বইলা মান ইজ্জত কোনরমে টেরম টেরম কইরা রক্ষা হইয়া গেছে বারবারই। যাউক্গা, কামের কথা কই। একবার অংক পরীক্ষায় সময় প্রশ্ন হইছে আবাইল্যা মার্কা। আমরা যারা এভারগ্রীন হেরা মোটামুটি নিজের "ব্যাককান্ট্রি" চুলকাইয়া সময় পার করতাছি।

আর যারা ইট্টু পাকাপোক্তা হেরা মাথা কামড়ায়। সেন্টু খাইয়েন না, সম্পদের মাথা না- কলমের মাথার কথা কই! অবশ্যি এই কাটাস্ট্রফ মার্কা প্রশ্নের মাঝেও এক মাইয়া ঘচঘচ কইরা সমানে লেইখা যাইতাছিলো, কি লেখতাছিলো আল্লাহ্‌ মালুম। কাহিনী কি? ঐ মাইয়ার পিছে বইছে আবার খইলশা টাট্টু। হালায় দুনিয়ার বদ, মুখ হাড্ডি-উড্ডি কিছুই নাই। অই হালায় খালি ইতি-উতি করে, মাইয়ারে ডাকে, অই কি লেখ দেখাও! মাইয়া হালায় পুরা ভাবে পইড়া আরো লেখে, লেখেই লেখে, থামে না।

টাট্টুর দিকে ফিরাও তাকায় না। আধা ঘন্টা বিশেষ কসরতের পরেও যখন মাইয়া ফিরা চায়না, তখন টাট্টু হঠাৎ গলা নরম কইরা কয়, "এই যে একটু শোন। তোমার কিছু দেখাইতে হবে না যাস্ট ইট্টু শোনো..."। আমরা এইবার চুলকানি-কামড়ানি রাইখা টাট্টুরে দেহি কী করে হালায়। মাইয়ার বুঝি এইবার মায়া হইছে, এইবারো বার কয়েক ডাকের পর ফিরা তাকাইছে।

বেশ ভাব নিয়া বলে, "কী, কী হইছে ডাকো ক্যান"? টাট্টু এইবার খানিকটা সামনে ঝুইকা কয়, তুমি তো অনেক সোন্দর, পরীক্ষাও ভালা দিতাছো, আমার ডাকে ফিরাও তাকাইলা, এইবার একটা পাদ দ্যাও তো দেখি...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.