আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতীতের ঋণ শোধের কান্না, নতুন ঋণের বোঝার কান্না

সত্যিই যদি অশরীরী বলে কিছু থেকে থাকে, তবে আমি তার সান্নিধ্য চাই। তন্ম​য় হয়ে শুনতে চাই তার হাসি-কান্না আর না বলা কথাগুলো... বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান, তার উপর বাবা না থাকলে যা হয় আর কি!!! শুধু মা-ই নন, মামা-খালা, নানা-নানিসহ বাসায় আমার অভিভাবকের সংখ্যা নিতান্তই কম ছিল না। কারণ একটাই, বাপ ছাড়া ছেলে, যদি বখে যায়!!! একটু তো দেখে শুনে রাখা চাই। "উঠতে বসতে করি বাপান্ত, শুনেও শুনে না কানে; যত পায় বেত, না পায় বেতন, তবু না চেতন মানে। " - ছোটবেলা থেকেই অনেকটা এই ধাঁচের ছিলাম আমি।

এত শাসন কার ভাল লাগে? তবুও উপায় ছিল না। সারাদিন আঠার মত লেগে থাকতো সবাই আমার পেছনে। এই পড়তে বসো, এই বাইরে যাবে না, অমুকের সাথে মিশবে না, এখন টেলিভিশন দেখা চলবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি বাসায় কখনও সিগারেটের গন্ধ পাওয়া যেত বা কোন পরিত্যাক্ত ফিল্টার, তাহলেই হয়েছে। খালাতো ভাইয়েরা খেয়ে থাকলেও এসে প্রথমেই আমাকে ধরবে।

প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞাসা করবে যে আমি খেয়েছি কিনা, তারপর শায়েস্তা করা হবে আমার সেই বড় ভাইদের। এই বিষয়টা নিয়ে আমি ছিলাম সবসময়ই বিরক্ত। অসহ্য লাগতো, কেন আমাকেই এতটা চোখে চোখে রাখা হয়। কিন্তু আজ যখন আমি প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি, তখন আমার পরিবারের সেই মানুষগুলোর প্রতি আমার এক অপূরণীয় ঋণ অনুভব করছি। সে সময়টায় সেই বাড়াবাড়ি না থাকলে হয়তো সত্যিই আজ এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না, হয়তো ঠিকই বখে যেতাম।

বাবা মারা যাওয়ার পর অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন মা। সে সময় এই খালা-খালুই পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আমার চাকরিজীবী মা অফিসে গেলে খালা আমাদের তিন ভাইকে ছোটবেলায় একই থালায় খাইয়ে দিতেন। নিজের ছেলে-পরের ছেলে বলে কোন পার্থক্য রাখেন নি। তাই অনেক বেশি ঋণী আমি এই মানুষগুলোর কাছে।

এখন একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে বেশ ভাল পজিশনে আছি। সেখানেই প্রথম আমার পরিচয় নিশার সাথে। ধীরে ধীরে একটা অসম্ভব ভাললাগা জন্মে গেল। একসময়ে বলেও ফেললাম সে ভাললাগার কথা। তারপর যে যার যার পরিবারে জানানো, অতঃপর বিয়ে, শুরু হল একটা গোছানো সংসার আর বছর ঘুরতেই আমার স্ত্রীর কোলজুড়ে চলে এল আমাদের সংসারের পূর্ণতা।

আমার বড় দুই খালাতো ভাইকে কখনও কাজিন হিসেবে দেখিনি, দেখেছি নিজের আপন ভাই হিসেবে। আর তারাও আমাকে নিজের ভাই হিসেবেই দেখতো। একই বাড়িতে থাকা হত বলে সারাদিনই দেখাসাক্ষাৎ, খাওয়া-দাওয়া, কথাবার্তা, লেখাপড়া, পারিবারিক সিদ্ধান্ত সবই একসাথে এক টেবিলে বসেই হত। নিশার সাথে আমার বিয়ের সিদ্ধান্তটাও হয়েছিল সেখানেই। আর আমার ইমিডিয়েট বড় যে খালাতো ভাই, তার লুকিয়ে বিয়ে করে খালুর ভয়ে বিলেতে বড় ভাইয়ের কাছে পালিয়ে যাওয়ার পর বাসায় বৌ আনা না আনা নিয়ে যে চেঁচামেচি চলছিল, সেখানেও আমিই আমার সেই ভাইকে সাপোর্ট দিয়েছিলাম।

যার জন্য আমার বিয়ের সময় নিশার বাড়ি থেকে কিছুটা গড়িমসি করা শুরু হলে আমার সেই ভাই প্রতিদানস্বরূপ আমার স্বপ্ন সত্যি করতে ঝড়ের বেগে বিমানে করে সাত দিনের জন্য চলে এসেছিল মেয়ের বাড়িতে নিজে গিয়ে আমার হয়ে কথা বলবে বলে। ফলাফল- মেয়ের বাড়ি এক পায়ে রাজি। এরপর কোন ঝামেলা ছাড়াই বেশ ঘটা করেই বিয়ে হল আমার আর নিশার। যার পুরো কৃতিত্ব আমার সেই ভাইয়ের। বড় ভাই অনেকদিন লন্ডনে ছিলেন।

সেখানে পাউন্ডের ঝলকানি থাকলেও, প্রিয় মানুষগুলোর মুখগুলোকে খুব মিস করতেন। যার জন্য এক ছেলের জন্মের বছর খানেক পর পুরোপুরিভাবে দেশে চলে এলেন। আর আমাদের পরিবারটা হল বেশ বড় আর পরিপূর্ণ। আমি, নিশা আর আমার মা থাকি দোতলায়। আর তিন তলায় থাকে খালা-খালু, বড় ভাই, বড় ভাবি আর ভাইয়ের ছেলে নিহাদ।

আমাদের বাসায় এখন পরিবারটায় এমনভাবে জোড়া আছে যে কে কার বাবা-মা আর কে কার সন্তান বোঝার উপায় নেই। আমি খুব ছোটবেলায় আমার এই খালা-খালুকে আব্বু-আম্মু বলে ডাকতাম। একইভাবে নিহাদও এখন বড় ভাইকে পাপা, মেজ ভাইকে মোটু পাপা আর আমাকে ছোট বাবা বলে ডাকে। বড় ভাবিকে মাম্মি আর নিশাকে ছোট মা বলে। আমাদের বিয়ের পর বছর ঘুরতেই আমাদের ঘর আলো করা বংশপ্রদীপের সেই সোনার মুখখানা এলো নিশার কোলে।

নিশা মোটামুটি আমাদের ছেলেকে নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত। আর আমি অফিসের পর বাসায় ফিরলে ব্যস্ত হয়ে যাই নিহাদকে নিয়ে। সারাদিন নিশার চারপাশে ঘুরঘুর করবে, আর সন্ধ্যার পর আমার চারপাশে। কারণ, আমি আর নিশা একটু বেশিই আদর করি। অন্যদিকে তার বাবা-মা একটু বেশিই নাকি বকে।

আমার ছেলের জন্মের চারমাস যেতে না যেতেই বড় ভাবি এখন একটা মেটার্নিটি ক্লিনিকে ভর্তি। ভাবির শরীরের অবস্থা খুব একটা ভাল না। সবাই আল্লাহ আল্লাহ করছি। মা-সন্তান দুই-ই যেন বাঁচে। বাসার সবাই টেনশনে আছি, এমনকি অবুঝ নিহাদও টেনশনে।

কিছু বলতে পারে না, কিন্তু সবার কষ্টটা বুঝতে পারছে চারবছর বয়সী ছেলেটা। শুধু মনখারাপ ভাবটা নিয়ে সারাদিন আমার আর নিশার কাছাকাছি থাকে। এই ছেলেটাই কিছুদিন আগে কোথা থেকে জানি শুনেছে যে বাসায় নতুন বাবু আসলে বড় বাবুদের আদর থাকে না। এজন্য নিহাদের সে কি যে কান্না, নতুন বাবুকে সে বাসাতেই আসতে দেবে না। আর সেই নিহাদ আজ সেই অনাগত ভাইয়ের জন্য মনখারাপ করে নিশাকে জড়িয়ে কাঁদছে।

শহরের সবচেয়ে বড় ডাক্তারদের লাইন লাগিয়ে ফেললাম ভাবির সু-চিকিৎসায়। অবশেষে আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের কোন বিপদ ছাড়াই আমাদের পরিবারে এল আরেক নতুন অতিথি। কিন্তু একদিন পরেই বোঝা গেল সমস্যা এখনও শেষ হয় নি। এই অসহায় নবজাতক শিশুর আহারের জন্য সৃষ্টিকর্তা মায়ের দুধের ব্যবস্থা করেন নি। কিন্তু না খাইয়ে তো আর বাঁচানো যাবে না এই শিশুকে।

এজন্য হাফ-ক্রীম মিল্ক টাইপের কিছু বেবিফুড সাজেস্ট করলেন ডাক্তার। আর মায়ের জন্য স্পেশাল ট্রিটমেন্ট আর ডায়েট মেনু। মা-সন্তান দুই-ই এ যাত্রায় বেঁচে গেছে, কিন্তু তারপরও অনেকটা ধুঁকে ধুঁকে মরার একটা পূর্বাভাস ঠিকই রয়ে গেছে। বাসার এই অবস্থায় কয়েকদিন অফিসে যাই নি। আগে অফিস থেকে ফেরার পর বা ছুটির দিনগুলোতে বাসায় নিহাদের এঘর-ওঘর ছুটোছুটি আর অস্থিরতা খুব উপভোগ করতাম।

এখন বাসায় সবাই খুব নিশ্চুপ। একদমই মেপে মেপে কথা বলছে সবাই। মনে হয় যেন হাই-রেটেড ট্যাক্স চার্জ করা হবে কথা বলার উপরে। বাড়িটার মধ্যে আগের সেই প্রাণচাঞ্চল্য এখন আর নেই। পুরো বাড়িতে শুধু আমি আর নিশাই একটু কথা বলি।

আমরা আগ বাড়িয়ে কথা না বললে আর কেউ কোন কথাই বলে না। একদমই ভুতুরে একটা পরিবেশ। ভাবি বাড়িতে ফেরার পরে একদিন বড় ভাইয়ের সাথে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে তাদের রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে একটা দৃশ্য দেখে হঠাৎ-ই ভিতরটায় ছ্যাঁৎ করে উঠলো। দেখি চার বছর বয়সী নিহাদ তার বিকালের দুধের গ্লাসটা নিয়ে তার মার কাছে গিয়ে বলছে, "মাম্মি, আমি খাব না, এটা ছোট বাবুটাকে দাও।

না খেলে নাকি বাবুটা মরে যাবে?" কোন মানুষ এই দৃশ্য দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। আমিও পারি নি। কিন্তু বড় ভাবি কিভাবে জানি পেরেছিলেন। ছেলেটাকে খুব নরমভাবে বললেন, "দেখ বাবা, তুমি রোজ দুধ খাও, কিন্তু আমি কি রোজ দুধ খাই? তোমার পাপা কি রোজ দুধ খায়? সবার খাবার আলাদা। এই বাবুটার খাবারও আলাদা।

তোমার মত বড় হলে সেও তোমার মত একটা বড় গ্লাসে দুধ খাবে। এখন তুমি খাও, কেমন। " দৃশ্যটা সত্যিই আর সহ্য করতে পারলাম না। সবার অগোচরে ফাইল খোঁজার নাম করে গেস্টরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলাম। যদিও এটা আমার কান্নার বয়স না, তবুও পারি নি।

এরপর রুমে ফিরে দেখি নিহাদ আবারও মনখারাপ করে নিশার গলা জড়িয়ে বসে আছে। আমাকে দেখে এবার নিহাদ আমার কাছে এলো। কিন্তু তাকে সান্ত্বনা দেয়ার কোন ভাষা আমার নেই। পরদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সারাটা রাত ছটফট করছিলাম আর সকালে এদিক-সেদিক ছুটোছুটি।

দুপুরে নামাজের পর যখন নিশা মুখে তুলে নিহাদকে খাইয়ে দিচ্ছিলো, তখন বার বার সেই কথাগুলো মনে পড়ছিল যে একটা ১০ দিনের নিষ্পাপ শিশুর জন্য খাবার নেই এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে। এরপর কেন যেন অনেকটা নিহাদের মত নিশার আশেপাশে ঘুরঘুর করা শুরু করলাম। নিশা বুদ্ধিমতি মেয়ে, মনে হয় বুঝতে পেরেছিল। বলেছিল, "তোমার শার্টের পকেটেই আছে, সেখানে দেখো। " > "শার্টের পকেটে কি?" > "তোমার সিগারেটের প্যাকেট।

" প্যাকেটটা নিয়ে বারান্দায় গিয়ে লাইটারটা জ্বালাতেই মনে পড়লো, আমার ছেলের জন্মের পর আমি তো বাসায় কখনও সিগারেট খাই না। তাহলে নিশা এ কথা বললো কেন? > "তুমি জান না, বাবুর জন্মের পর আমি বাসায় সিগারেট খাই না। " > "ও, তাই তো... কিন্তু সেটা ধরাতেই তো বারান্দায় গিয়েছিলে, নাকি?" > "না মানে..." (আমতা আমতা করে কি বললাম নিজেই জানি না) > "কিছু বলবে?" > "নাহ... কিছু না। " > "তাহলে রুম থেকে বের হও, বাবু এখন খাবে। আর দেখ তো নিহাদ কোথায় আছে?" > "দেখছি।

" বলেই বের হয়ে গেলাম। কারণ, নিশার চোখ এড়ানোর একটা সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু নিজেকে এড়িয়ে যাব কিভাবে? কি যেন একটা যন্ত্রণা আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কারও সাথে শেয়ার করতে পারছি না, এমনকি নিশার সাথেও না। আধ-ঘন্টা পর আবার রুমে গেলাম।

এবার অনেকটা সাহস করেই বলে ফেললাম, "নিশা, তোমাকে কিছু কথা বলতাম। একটু কি শুনবে?" > "হুমম, শুনবো, মন দিয়ে শুনবো... সেজন্যই তো অপেক্ষা করছি। কিছু একটা বলব বলব করেও বলছো না তুমি। এবার বলে ফেলো। " এবার একটু মনে সাহস পেলাম।

মনে হল, নিশা আসলেই আমার কথাগুলো শুনতে আগ্রহী। খাটের কিনারে বসে থাকা নিশার কোলের কাছে গিয়ে খুব আলতো করে হাত দুটো ধরে ফেললাম। তারপর বললাম, "তোমার মনে আছে? একবার হঠাৎ-ই গাড়ি কিনতে কিছু টাকার শর্ট পরে গিয়েছিল আমার। " > "হুমম... খুব মনে আছে। " > "মার কাছে চাইনি, খালা-খালুকেও বলিনি, ভাইদেরকেও না।

কারণ, তারা চাইলেই দিবে। " > "হুমম, তা তো দিতই। কিন্তু তুমি চাও নি। " > "আমি আসলে কখনও কারও কাছে চাইতে পারি না। একটু ইতঃস্তত বোধ করি।

কিন্তু তোমাকে বলতে হয়নি, তুমি নিজে থেকেই দিয়েছিলে। আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস খুব ভাল ভাবে চেনো তুমি। " > "হায়রে, কি কপাল আমার! এত দিনেও কি এটা বিশ্বাস করাতে পারি নি?" > "হ্যাঁ, বিশ্বাস করি। তাই আজ একটা জিনিস চাইবো তোমার কাছে। দিবে?" > "একবার চেয়েই দেখো না।

" > "আমার ছোটবেলার অনেক কিছুই তো তুমি জানো। এই খালা-খালু না থাকলে আমি হয়তো আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। " > "হুমম... জানি। " > "আমার জীবনের প্রতিটা মূহুর্তে এই মানুষগুলোর অবদান অনেক। আমাদের অসহায়ত্বের সময়টায় মুখ ফিরিয়ে না নিয়ে তারাই আপন করে নিয়েছিলেন।

> "হ্যাঁ, আসলেই তাদের অবদান অনেক। " > "তাই আজ যদি আমি তোমাকে অনুরোধ করি, নিহাদের মত করে সেই ১০ দিনের শিশুটিকেও আপন করে নিতে... তাহলে..." (Pin drop silence) আর কিছু বলার সাহস হল না। মনে হয় অনেক বড় কথা বলে ফেলেছি নিশাকে। এতটা সাহস দেখানো মোটেও ঠিক হয় নি। হঠাৎ করে কি বলে ফেললাম আর নিশা এর কি উত্তর দিবে, তা ভেবেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে আমার।

কিছুক্ষণ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে পরে নিশা বললো, "আমি নিজে থেকেই তোমাকে এই কথা বলবো বলে ভাবছিলাম। মাত্র দেড় বছর হল এই বাড়িতে বৌ হয়ে এসেছি। আমি বললে কে কি মনে করে, তাই ভাবে বলিনি। ভালই হল যে তুমি নিজে থেকেই বলে ফেললে। এখন একটা ভরসা পাচ্ছি।

" > "তুমি সত্যি বলছো তো?" > "কেন? আমার যমজ ছেলে হলে কি এদের মধ্যে কেউ তার মায়ের দুধের ভাগ থেকে বঞ্চিত হত? ধরে নিবো, এটাও আমার আরেকটা ছেলে। " এবার আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। কিছু মানুষের কাছে আজন্ম ঋণ ছিল আমার। সে মানুষগুলোর ঋণ আজ থেকে কিছুটা হলেও শোধ করতে পারব। কিন্তু যে নতুন ঋণের জালে জড়িয়ে গেলাম নিশার কাছে, সে ঋণ কিভাবে শোধ করব? নিশার হাতটা তখনও ছাড়িনি, জানি না কেন।

এরই মধ্যে নিহাদ রাতে নিশার হাতে ভাত খাবে বলে ঘরে চলে এল। এসে সে দেখল যে আমি নিশার হাত ধরে কাঁদছি। হয়তো কিছুই বুঝতে পারেনি সে, কিন্তু জীবনে প্রথমবার সে আমাকে কাঁদতে দেখছে। অতীতের ঋণ শোধের কান্না, নতুন ঋণের বোঝার কান্না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।