আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওরে বাবারে....

andharrat@জিমেইলডটকম

নতুন নামে জঙ্গিরা সত্রিক্রয় হচ্ছে ঢাকা বরিশালে গ্রেফতার 8 সমকাল প্রতিবেদক দেশে নতুন জঙ্গি সংগঠনের আত্দ্মপ্রকাশ ঘটেছে। এ জঙ্গি সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে 'হিজবে আবু ওমর'। সংগঠনের আমির মাওলানা আবদুর রউফকে বেশ কিছুদিন আগে জেএমবি সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। 10 দিনে দেশের বিভিল্পম্ন জায়গা থেকে নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের 8 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দু'জন এ সংগঠনের শহৃরা সদস্য।

অন্যরা সদস্য। গ্রেফতারকৃত শহৃরা সদস্যের নাম হারুন ও মোস্টস্নফা। অন্য সদস্যরা হলো আবু ইউসুফ ওরফে সৌরভ, মাহাদী হাসান ওরফে কস্ফাফী, নাজমুল, মাহবুব ও করিম। বরিশাল থেকে গতকাল আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, নতুন জঙ্গি সংগঠনের কার্যত্রক্রম শুরু হয়েছে বছরখানেক আগে থেকে।

বরিশাল, ময়মনসিংহ ও কুমিল্ক্নায় প্রাথমিকভাবে জঙ্গি সংগঠনের কার্যত্রক্রম চলছিল। নতুন সংগঠনে তিনজন শহৃরা সদস্য ও অর্ধশতাধিক সদস্য রয়েছে। ওই সদস্যরা কিছুদিন আগে ময়মনসিংহের ভালুকার একটি মাদ্রাসা থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছে। নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা অভিনব পন্থায় অর্থ সংগ্রহের পথ বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা অপহরণ নাটক সাজিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করছে।

অপহরণ নাটক সাজিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের চেষদ্বার সময় ঢাকায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে নাজমুল নামে এক সদস্য। র্যাব-2 এর এএসপি বাবুল আক্তার জানান, গত 15 ফেব্রুয়ারি কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী হাজী আবদুল খালেকের ছেলে মোঃ নাজমুল হক কারওয়ান বাজারের সুপার মার্কেটের 37 নল্ফ্বর 'নাজমুল ক্লথ সদ্বোর' থেকে মগবাজারের বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। পরদিন নাজমুলের খালু আবদুর রউফের মোবাইলে জনৈক সৌরভ নিজেকে হিন্দু ধর্মাবলল্ফ্বী পরিচয় দিয়ে নাজমুলকে অপহরণের কথা বলে 20 লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ব্যাপারে নাজমুলের পরিবারের পক্ষ থেকে 16 ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করা হয়। সৌরভের ব্যবহূত মোবাইল নল্ফ্বরের সহৃত্র ধরে র্যাব গত 29 মার্চ মাহাদী হাসান ওরফে কস্ফাফী নামে এক জঙ্গিকে মধ্যবাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

সে স্ট্বীকার করে, অপহরণ ঘটনাটি সাজানো। সে নিজেও সাজানো অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে তার বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে জঙ্গি সংগঠনকে দিয়েছে। পরে কস্ফাফীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব একাধিক স্ট্থানে অভিযান চালিয়ে গত 2 এপ্রিল আবু ইউসুফ ওরফে সাগর ওরফে সৌরভকে (26) গ্রেফতার করে। এ সময় সৌরভ ধরা পড়ার কথা শুনে নাজমুল বাসায় ফিরে গিয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসার কথা বলে। পরে তাকে গ্রেফতারের পর সেও স্ট্বীকার করে অপহরণের ঘটনাটি সাজানো।

পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ময়মনসিংহের ভালুকার নুরুল উলুম জামিয়া মাদ্রাসা থেকে মোঃ বায়েজীদকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে 2টি পয়েন্ট থ্রি টু বোরের রিভলবার, একটি শুটারগান ও 10 রাউন্ড গুলি উদব্দার করা হয়। এ ব্যাপারে সংশি্নষদ্ব থানায় মামলা হয়েছে। বরিশাল বু্যরো জানায়, বুধবার সদর উপজেলার শায়েস্টস্নাবাদ গ্রাম থেকে মাদ্রাসা ছাত্র ও ইমাম আকরামুজ্জামান গ্রেফতার হওয়ার পর এ তথ্য আরো জোরালো হয়েছে। গতকাল বৃহসঙ্তিবার বিকেলে হিজবে আবু ওমর নামক জঙ্গি সংগঠনের অপর এক সত্রিক্রয় সদস্য নগরীর ধল্ফর্্মাদী এলাকার ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ জোবায়ের সিকদারকে গ্রেফতার করেছে। আকরামুজ্জামানের স্ট্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাওলানা জোবায়েরকে গ্রেফতার করা হয়।

র্যাব সহৃত্র জানায়, হিজবে আবু ওমরের অন্যতম সদস্য আকরামুজ্জামান ধল্ফর্্মাদী মাদ্রাসার ছাত্র থাকা অবস্ট্থায় হরকাতুল জিহাদে যোগদান করে। তার 5-6 জন সহযোগীও হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সংশি্নষদ্ব হয়। সহৃত্র মতে, হিজবে আবু ওমরের সদস্যরা প্রথমে 'তামিরাতে দ্বীন' নামক সংগঠন নিয়ে তৎপরতা শুরু করে। জেএমবি অথবা হরকাতুল জিহাদের কর্মকা- সমঙ্র্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও ঘৃণা সৃষদ্বির পর জঙ্গিরা সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে কৌশলে তৎপরতা চালাতে থাকে। এদিকে গতকাল বৃহসঙ্তিবার গ্রেফতারের পর মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও হিজবে আবু ওমরের সত্রিক্রয় সদস্য মোঃ জোবায়ের সিকদার র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, 2005 সালের 17 আগসদ্ব সিরিজ বোমা হামলার আগে তারা বরিশালে অন্য সহযোগীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করে।

ওই বৈঠকে সিরিজ বোমা হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জাহিদ বাবু ওরফে জেএমবি বাবু, আবু ইউসুফ, আবুল বাশার, মাহাদী হাসান ওরফে কস্ফাফীসহ 8-10 জন জঙ্গি উপস্টি্থত ছিল। ওই বৈঠকগুলো জেএমবি বাবুর সিএন্ডবি রোডস্ট্থ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হতো। এদিকে বুধবার গ্রেনেড ও বোমার সরঞ্জামসহ গ্রেফতারকৃত জঙ্গি আকরামুজ্জামানকে গতকাল দুপুরে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদব্দে র্যাব বাদী হয়ে বিসম্ফোরক ও রাষদ্ব্রদ্রোহ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।