আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেএস মান্নার ইনডিয়ার সাপোর্টার হবার রহস্য

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি

হঠাৎ করেই সন্ধ্যে সাড়ে 7 টার দিকে কেএস মান্নার ফোন। 'সুজন, আজ কিন্তু আমি ইনডিয়ার সাপোর্টার। ' শুনে কিছুণ স্মৃতি হাতারালাম। আমি জানতাম নাইনটি সিঙ্ থেকে মান্না ভাই শ্রীলংকার সাপোর্টার। তারওপর ভারত-শ্রীলঙকা ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভাগ্য।

কিন্তু হঠাৎ করেই ইনডিয়ার সাপোর্টার হবার কোন ব্যাখ্যা না দিয়েই 'পরে কথা হবে' বলে ফোনটা কেটে দিলেন। আমার মোবাইলে মাত্র .09 টাকা থাকায় তাকে আর ফোনও দিতে পারলাম না। অগত্যা আগ্রহ তখনকার মতো দমাতে হলো। রাতে ব্লগে ঢুকে দেখি মান্না ভাইয়ের ইনডিয়ার জন্য দোয়া কামনার পোস্ট। আগ্রহ আমার বাড়তে শুরু করলো।

মোবাইলের ব্যালান্স আমার তখনো অপরিবর্তিত। তাই এ দফায় দমানো ছাড়া আগ্রহটার কোন সৎকার করতে পারলাম না। রাতে রুমে ফিরলাম রাত 10 টার একটু পরে। সাড়ে 10 টায় মান্না ভাইয়ের ফোন। 'সুজন, চলে আসেন আমার বাসায়।

এক লগে খেলা দেখি। ' আমি বললাম, 'আপনি দেখছি নব্য রেজাকার। হুট করেই এমন দিনে ইনডিয়ার সাপোর্টার বনে গেলেন মিয়া?' মান্না ভাই হা হা হা মার্কা হাসি দিয়ে বললেন, 'আরে ভাই রুমে আসেন তো আগে। সব বলছি। মনে রাইখেন বট-পরোটাও আছে।

তারলগে কিন্তু বিড়ি ফ্রি। ' আগ্রহ দমানোর সঙ্গে ফাও ফাও বট-পরোটা আর বিড়ির নেশায় তখনই বের হলাম তার বাসার উদ্দেশ্যে। সঙ্গে আরেক ব্লগার আনিসুজ্জামান উজ্জল। দশ মিনিটের মাথায় মান্না ভাইয়ের বাসায় হাজির। ঢুকেই বললাম, 'কন দেখি তাড়াতাড়ি কাহিনী কী?' মান্না ভাই হেসে হেসে বট-পরোটার প্লেট এগিয়ে দিয়ে কাহিনী শুরু করলেন।

বললেন, 'আরে ভাই, এবার যে দলের সাপোর্ট করছি যে ম্যাচে সেই দলই হারছে। ভারত-শ্রীলংকা ম্যাচে শ্রীলংকাকে সাপোর্ট করে যদি তারা হারে তাহলে তো বাংলাদেশের বিপদ। তাই বেছে নিলাম এই কৌশল। ' কথা শেষেও হাসছেন কেএস মান্না। আমি আর কী করবো বোকার মতো বট-পরোটা চিবুতে চিবুতে যোগ দিলাম তার হাসিতে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।