আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরআন সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের উক্তি (2য় ও শেষ পর্ব)



কুরআন সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের উক্তি 4)Dr. E. Marshall Johnson, প্রফেসর ইমেরিটাস অব অ্যানাটমি এন্ড ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি, থমাস জেফারসন বিশ্ববিদ্যালয়, ফিলাডেলফিয়া, পেনসালভানিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি সেখানে 22 বছর যাবৎ অ্যানটমির প্রফেসর ছিলেন, ছিলেন অ্যানটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ড্যানিয়েল বাফ ইনস্টিটিউটের পরিচালক। তাঁর দুশোরও বেশী প্রকাশনা রয়েছে। 1981 সালে সৌদি আরবের দামামে অনুষ্ঠিত সপ্তম মেডিক্যাল সম্মেলনে তিনি তাঁর রিসার্চ পেপারে বলেন: "সারাংশ: কুরআন কেবল বাহ্যিক রূপের ক্রমবৃদ্ধির বর্ণনাই দেয় না, বরং আভ্যন্তরীণ পর্যায়গুলোকেও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করে, ভ্রূণের পর্যায় সমূহ, এর সৃষ্টি এবং গঠন, বর্তমান বিজ্ঞান কতর্ৃক স্বীকৃত এসব মূল ধাপগুলোকে চিহ্নিত করে। " তিনি আরও বলেন: "একজন বিজ্ঞানী হিসেবে আমি কেবল সেসব জিনিস নিয়েই কাজ করতে পারি, যা আমি সুনির্দিষ্টভাবে দেখতে পাই।

আমি এম্ব্রায়োলজি এবং ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি সম্পর্কে বুঝতে পারি। ... যদি আমি নিজেকে আজ আমার যে জ্ঞান রয়েছে, সেই জ্ঞানের অধিকারী সেই যুগের (কুরআন নাযিল হওয়ার সময়কালের) একজন (ভ্রূণের ক্রমবিকাশ) বর্ণনাকারী হিসেবে (কুরআন নাযিল হওয়ার সময়) কল্পনা করি, তবে আমি সেভাবে বর্ণনা দিতে পারব না যেভাবে (কুরআনে) বর্ণনা করা হয়েছে। মুহাম্মাদ যে এই তথ্য অন্য কোথাও থেকে পেয়েছেন, তা অস্বীকার করার কোন যুক্তি আমি দেখি না। তাই তিনি যা লিখেছেন, তাতে অতিপ্রাকৃত সত্তার হাত ছিল - এ ধারণার বিরুদ্ধাচরণ করার মত কিছু আমি দেখতে পাই না। " 5)Dr. William W. Hay, একজন বিখ্যাত সমুদ্র বিশেষজ্ঞ।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিকাল সায়েন্সেস এর প্রফেসর। তিনি ফোরিডায় অবস্থিত মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোসেন্সটিয়েল স্কুল অব মেরিন এবং এটমস্ফেরিক সায়েন্সেস অনুষদের ডীন ছিলেন। কুরআনে বর্ণিত সমুদ্র সংক্রান্ত কিছু বর্ণনা নিয়ে ড: হের সাথে আলোচনার প্রাক্কালে তিনি বলেন: "পবিত্র কুরআনের প্রাচীন গ্রন্থে যে এ ধরনের তথ্য সনি্নবেশিত রয়েছে, তা আমার নিকট বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়, এবং আমার এটা বোঝার কোন উপায় নেই যে এ তথ্য কোথা থেকে আসতে পারে, তবে এটা সত্যিই আশ্চর্যজনক যে এ ধরনের বক্তব্য এতে রয়েছে এবং (কুরআনের) কিছু কিছু অধ্যায়ের অর্থের মাঝে এগুলো খুঁজে বের করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। " এবং যখন তাকে কুরআনের উৎস কি হতে পারে, এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি বলেন: "বেশ, আমার মনে হয় এটা নিশ্চয়ই সেই ঐশী সত্তা। " 6)Dr. Gerald C. Goeringer, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি.সি.তে অবস্থিত জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের সেল বায়োলজি বিভাগে মেডিকেল এম্ব্রায়োলজির প্রফেসর।

সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম সৌদি মেডিকেল সম্মেলনে তিনি তাঁর উপস্থাপিত গবেষণাপত্রে বলেন: "তুলনামূলকভাবে অল্প কয়েকটি আয়াতে গ্যামেটের মিলন থেকে নিয়ে শুরু করে অঙ্গগঠনের সময় পর্যন্ত মানুষের ক্রমগঠনের যথেষ্ট ব্যাপক বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর পূর্বে মানুষের ক্রমবিকাশের এরূপ কোন স্পষ্ট এবং পরিপূর্ণ তথ্য যেমন, শ্রেণীবিভাগ, পরিভাষা, বিবরণ ইত্যাদি ছিল না। অন্ততপ েবেশীর ভাগ েেত্রই বর্ণনাগুলো মানুষের ভ্রূণীয় এবং ফিটাল ক্রমবর্ধনের বিভিন্ন ধাপগুলো নির্ধারিত হওয়ার এবং প্রচলিত বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে আবিভর্ূত হওয়ার বহু পূর্বের। " 7) Dr. Yoshihide Kozai, জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। তিনি টোকিওর মিতাকায় অবস্থিত জাতীয় অ্যাস্ট্রোনমিকাল অবজারভেটরীর পরিচালক ছিলেন।

তিনি বলেন: "আমি কুরআনে সঠিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের তথ্য পেয়ে চমৎকৃত,...। আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে নিবদ্ধ করেছি (মহাবিশ্বের) অতি ুদ্র অংশের পেছনে। কেননা টেলিস্কোপ ব্যবহার করে আমরা গোটা মহাবিশ্বকে নিয়ে চিন্তা করার পরিবর্তে আকাশের খুব সামান্য অংশই দেখতে পাই। তাই কুরআন অধ্যয়ন করে এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার মাধ্যমে আমি মহাবিশ্ব সংক্রান্ত অনুসন্ধানে ভবিষ্যত পথের সন্ধান পাই। " 8)Professor Tejatat Tejasen, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইতে অবস্থিত চিয়াং মাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

পূর্বে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন অনুষদের ডীন ছিলেন। রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম সৌদি মেডিকেল সম্মেলনে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বলেন: "বিগত তিন বছর যাবৎ আমি কুরআনকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি। ... আমার ব্যক্তিগত অধ্যয়ন এবং এই সম্মেলনে আমি যা জানলাম, তা থেকে আমার বিশ্বাস এই যে 1400 বছর আগে কুরআনে যা কিছু লিপিবদ্ধ হয়েছে, তা সত্য হতে বাধ্য, যা কিনা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা যায়। যেহেতু মুহাম্মাদ পড়তে বা লিখতে পারতেন না, তিনি অবশ্যই একজন সত্যের বাহক ছিলেন, যে সত্য তাঁর প্রতি আলোকপ্রদানকারী রূপে প্রেরিত হয়েছে তাঁর প হতে, যিনি প্রকৃত প েস্রষ্টা রূপে পরিগণিত হওয়ার যোগ্য। আর এই স্রষ্টা 'গড' ছাড়া আর কেউ নন।

তাই আমি মনে করি, আমার এ কথা বলার সময় এসেছে যে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' - 'আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কেউ নেই। ', 'মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ', 'মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। ' সবশেষে আমি এই সম্মেলনের চমৎকার এবং অত্যন্ত সফল আয়োজনকে স্বাগত জানাই... আমি যে কেবল বৈজ্ঞানিক এবং ধমর্ীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে সমৃদ্ধি অর্জন করেছি তাই নয়, বরং বহু বিখ্যাত বিজ্ঞানীগণের সাথে সাাৎ লাভ করার এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে বন্ধু অর্জনের সুফলও লাভ করেছি। তবে এখানে সবচেয়ে দামী যে জিনিস আমি লাভ করেছি, তা হচ্ছে: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ, এবং মুসলিম হতে পারা। '" 9) "অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে আকাশ ও পৃথিবী একসময় একত্র ছিল অতঃপর আমরা (সম্মানসূচক অর্থে) উভয়কে পৃথক করলাম?..." (সূরা আম্বিয়া, সূরা নং 21, আয়াত নং 30) কুরআনের এ আয়াত সম্পর্কে জার্মানীর জোহানেস গুটেনাবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব জিওসায়েন্সেস এর জিওলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান জিওলজির প্রফেসর Dr. Alfred Kroner এর ভাষ্য হচ্ছে: "আমার মতে 1400 বছর আগে নিউকিয়ার ফিজিঙ্রে জ্ঞান ছাড়া কারও প েপৃথিবী ও মহাবিশ্বের উৎস একই - এ কথা নিজের মন থেকে ভেবে বের করা সম্ভব নয়।

" (সমাপ্ত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।