আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেস্টিনেশন: বাংলাদেশ...........(2)

স্মৃতিচারণ ও এলোমেলো ভাবনা। বেশিরভাগই জগাখিচুড়ি।

ক্রমাগত ইন্টারনেটে বসে থেকে একটু হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই একটু চককর দিয়ে আসলাম। ভালোই লাগল।

চককর দিলে অনেক মজার মজার জিনিস দেখা যায়। অনেক নতুন জিনিস আছে। যেমন এক্স বক্স। ফ্রি গেম খেলা যায়। যতক্ষন খুশি।

আমার ল্যাপটপ ইউজের মত কিছু ছেলে-ছোকরা মেশিনগুলোকে পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে ধুন্ধুমার খেলে যাচ্ছে। আমিও কিছুক্ষন দেখলাম। কিন্তু খেলার সুযোগ পেলাম না। আরেকটা ব্যাপার মিস করছি এই মুহুর্তে ভিসা না লাগানোর কারনে তা হলো শাটল বাস সার্ভিস আছে, যা ফ্রি। এতে করে ফ্রি সিটি ঘুরা যায়।

দেখি এয়ারপোর্টের বাইরে যেতে হলে এতে করে একটু ঘুরতে দিতে হবে। দোকানপাটে কেমন জানি একটা ভাব আছে। সেলসম্যান/উইম্যানরা এগিয়ে আসে। কিন্তু কিছু না কিনলে কেমন জানি একটা তাচ্ছিল্যপূর্ণ ভাব করে। অস্ট্রেলিয়াতে এরকম করে না।

না কিনলেও দোকানির ঠোঁটের কোণের মধুর হাসিটা যেন আরও মধুময় হয়। আরে বেটা দাম ডিউটি ফ্রিতে 5 গুন। আমার কি ঠ্যাকা পড়ছে যে ঐ জিনিস আমি কিনব? কিনলাম না। যা পারিস কর, এমন একটা ভাব নিলাম। আর চৈনিক দোকানদাররা কেমন যেন একটা নাক উঁচু ভাব নিল আমার সাথে।

এই উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের হেতু বুঝতে পারলাম না। যাইহোক, আজকে রাত 8 টা ও 9টায় 2 টা ফ্লাইট আছে ঢাকার। ঐ 2টাতে ট্রাই নেব। বলা যায় না, যদি লাইগ্যা যায়। তাহলে তো কথা নেই।

একজনের ক্যান্সেলেশন দরকার আমার। ইমিগ্রেশনে এখনও যাই নি। একবারে 9টায় যাব। এই দুই ফ্লাইট মিস করলে হোটেলে যেতে হবে। এয়ারপোর্টের ভেতরে যে হোটেল আছে এটা খুব বেশি এক্সপেনসিভ।

আমার জন্য না। এতক্ষন ব্যস্ত ছিলাম তার অন্যতম কারন হলো রানিয়া। অস্ট্রেলিয়ান পরিভাষায় "হট ইন্ডি চিক"। আর বাংলায় একটা টার্ম আছে, সেটা বেশ অশালীন। যাই হোক অনেকক্ষন প্যাঁচাল পাড়লাম দু'জনে।

পিওর টাইম পাস যাকে বলে আর কি। বেশিরভাগ আজাইরা প্যাঁচাল। দেখা হলো কোরিয়ান রেস্টুরেন্টে। লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশি যে না তা বুঝতে পেরেছিলাম।

তাও ঢঙ করে জিজ্ঞাসা করলাম, "আর ইউ ফ্রম বাংলাদেশ?" এটা দিয়েই শুরু। মোটামুটি ছ্যাবলামি বলা যায়। তাতে কি এখন আফসোস হচ্ছে না। 3/4 ঘন্টা ভালো টাইম পাস হয়েছে। কাশ্মিরী মেয়ে রানিয়া।

থাকে মেলবোর্নে। জব করে "দ্য এজ" এ। আমার ই মেইল এ্যাড্রেসটা নিয়ে গেছে। দেখা যাক, যোগাযোগ করে নাকি। আমি আর চাই নি।

অনেক ছ্যাবলামি তো করলাম। তাই চূড়ান্তটা না করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আশা ছিল দিবে। কিন্তু না। অনুমানে ভুল ছিল।

দিল না নিজে থেকে...........:-( (চলতে পারে) পুনশ্চ: এই লেখাটি শুরুর সময় চলছিল ক্রিডের "হোয়াট'স দিস লাইফ ফর"। আর এখন চলছে ক্রেইগ ডেভিডের "সেভেন ডে'জ"। ধন্যবাদ পাবে আমার জামর্ানী প্রবাসী বন্ধু যে পড়াশুনার নামে আমার সাথে সমানে চ্যাট চালাচ্ছে আর আমার কোরিয়া প্রবাসী বন্ধু যে সিংগাপুর ভিজিটে আসবে শীঘ্রই আমার দেয়া রিপোর্ট পজেটিভ হলে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।