আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাব্বী, বিশ্বজিৎ তোমরা আমাদের ক্ষমা করো! ওরা ছাত্রলীগ! তোমরা ওদের ভুলের মাসুল নও! ওরা অনেক মহান দায়ীত্বে নিয়োজিত!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ থেকে আমার ব্লগিং শুরু ছাত্রলীগ নিয়ে কিছু বলা যাবেনা। কারন তারা জামায়াত শিবির প্রতিহত করার মহান দায়ীত্ব পেয়েছে আমাদের সম্মানিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। আর এই গুরুদায়ীত্ব পালনের জন্য নিজেদের মধ্যে একটু আধটু প্র্যাক্টিসের প্রয়োজন আছেনা? এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তো দেখছেনই তাদের অস্ত্রধারী ক্যাডার গুলা পুলিশের সাথে সাথে কী মহান দায়ীত্ব পালন করে দেশ ও জাতীর খেদমতে নিয়োজিত ছিল। পুলিশ তাদের ধরে নাই। ধরতে গিয়েও খুঁজে পায় নায়।

তাদের অস্ত্রের ও কোন সন্ধান এখন পর্যন্ত পায় নাই। বরং আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই অস্ত্রধারী ক্যাডারদেরই একজনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে চোখের অশ্রু বিসর্জন করেছিল আর বিমূর্ত আক্রমনকারীর ছায়ার মধ্যে শিবিরের প্রেত্বাত্তা দেখে তাদের বিরুদ্ধে চলতে থাকা জেহাদ নতুন করে শুরু করার আহবান জানাল। সত্যিই কী বিচিত্র সেলুকাস এই দেশ! ছাত্রলীগকে যে ছাত্রলীগও মারতে পারে বা আসলেই যে তারা মারামারির সাথে জড়িত সেটা দশ বছরের শিশু রাব্বী প্রাণ দিয়েও হয়তো এদেশের অন্ধ গোঁড়া আওয়ামী সমর্থকদের বিশ্বাস করাতে পারবেনা। যেমনটি পারেনি বিশ্বজিৎ। তার উপর আক্রমনকারী নরপশুরা ছাত্রলীগ ছিলনা।

তারা ছিল নাকি শিবির। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সেটাই প্রজ্ঞাপিত হয়েছিল। জামায়াত শিবিরই যদি ঐ অপরাধ করে থাকে তবে কেন আজো উন্মোচিত করা হয়নি রাজশাহীর অস্ত্রধারী ক্যাডার তাকিমের সেই কথিত আক্রমনকারীদেরকে। সরকার তো জামায়াত শিবিরকে বেশ জামাই আদরেই রেখেছে সেটাতে দেশ বাসীর উপলব্ধিবোধের মোটেও ঘাটতি নেই। তারপরও কেন দেশবাসী আজও জানতে পারলোনা কে তাকে আক্রমন করেছিল? প্রশ্নটি এবং আজকের লেখাটি এজন্যই যে এই জামায়াত শিবিরের অজুহাতে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকিমের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছিলেন।

দেখিয়েছিলেন কুয়োর ব্যাং এর মায়াকান্না। আর এর মাধ্যমে তিনি একমাত্র সেই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীর সব বেআইনী কাজের বৈধতাই দেননি প্রকারান্তরে ছাত্রলীগের সব সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র বহনের লাইসেন্সও দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা হারিয়েছি বিশ্বজিৎকে। আবার গতকালকে হারালাম নিস্পাপ শিশু রাব্বীকে। আগামীকাল বা আগামী পোরশুদিন যে আমার বা আপনার আর কোন ভাই বা সন্তানকে হারাবোনা তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাই আসুন আমরা আমাদের আত্বাটাকে অনেক শক্ত করি।

একটা বিশ্বজিৎ বা রাব্বীর লাশের এর বিনিময়ে যদি এভাবে ছাত্রলীগের হাতে দশটা জামায়াত শিবিরের লাশ ভবিষ্যতে রাস্তাই পড়তে পারে তাহলে ক্ষতি কি! পাঁচটা ছাত্রলীগের হাতে অবৈধ রামদা, চাপাতি আর পিস্তল দেখে যদি দশটা শিবির ভয়ে গর্তে মুখ লুকিয়ে থাকে তাহলে তো আর আমাদের দূর্বল (?) পুলিশ বাহীনীর উপর ঝটিকা হামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকবেনা! সেই সাথে আসুন আমরা সবাই আওয়ামিলীগ করি আর আমাদের সন্তানদের দিই ছাত্রলীগের পাঠশালাতে। দেখবেন সপরিবারে আইনের উর্ধ্বে থাকাটা শূন্যে ভাসার চেয়েও কম রোমাঞ্চকর নয়! জীবনে কখনো শূন্যে ভাসার অভিজ্ঞতা না পেলেও অন্তত আইনের উর্ধ্বে থাকার অভিজ্ঞতা পাবেন এটা নিশ্চিত।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.