আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গোপসাগরে ৬৫ জেলে অপহরণ ১০ জনকে সাগরে নি

বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরের কাছে ডুবো জাহাজ এলাকায় ফিশিং ট্রলারে গণডাকাতি হয়েছে। ৫০ লক্ষাধিক টাকার ইলিশ ও অন্যান্য মালামালসহ মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা হয়েছে ৬০ জেলেকে। অপরদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলায় চার জেলে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে। অপহরণ করা হয়েছে পাঁচ জেলেকে। গতকাল সকালে কুয়াকাটার প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এক নম্বর বয়া পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

বাগেরহাট প্রতিনিধি আহসান করিম জানান, গতকাল ভোররাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দস্যুরা জেলেবহরে হামলা চালায়। দস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ট্রলারে হানা দিয়ে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ইলিশ ও অন্যান্য মালামালসহ মুক্তিপণ দাবিতে ৬০ জেলেকে অপহরণ করে। অপহৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট, খুলনার পাথরঘাটা ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে। দুবলার চর এলাকার ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে জাহাঙ্গীর বাহিনীর ৪০-৪৫ জন সশস্ত্র দস্যু দুটি ট্রলারে এসে বঙ্গোপসাগরের ডুবো জাহাজ এলাকায় মাছধরা ৪০-৫০টি ট্রলারে হামলা চালিয়ে জেলেদের মারধর করে। এ সময় তারা ট্রলারের ইলিশ মাছ, মোবাইল ফোন সেটসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। দস্যুরা যাওয়ার সময় অস্ত্রের মুখে ৫৫ থেকে ৬০ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। মংলার কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মহিউদ্দিন জানান, জাহাঙ্গীর বাহিনীর হাতে জেলেদের অপরহরণের খবর তাদের জানা নেই।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, কুয়াকাটা সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলায় চার জেলে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সশস্ত্র জলদস্যুরা এফবি ফাতেমা ট্রলারসহ পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে। জলদস্যুদের ছোড়া গুলিতে জখম মিছির আহমেদ (৫২), আ. রবকে (৪৪) বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও লিটন (৩২), নুরআলমকে (৩৫) কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় আহত আ. মালেক, সেলিম মাঝি, বিল্লাল, নুর ইসলাম, ইউসুফ মাঝিসহ অপর আহতদের মহীপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। জলদস্যুদের হাতে অপহৃত জেলেদের মধ্যে ইউসুফ মাঝি, ফারুক মিস্ত্রী ও খায়ের মাঝির নাম জানা গেছে। আহত ও অপহৃত জেলেদের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ গ্রামে। জেলে তাজুল ইসলাম জানান, ৩০/৩৫ জনের সশস্ত্র জলদস্যু অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর পাশাপাশি জলদস্যুরা অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে সাগরে নিক্ষেপ করে। প্রায় এক ঘন্টা সাগরে ভাসার পর আহত জেলেদের অন্য মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে দুপুরে মহীপুর বন্দরে নিয়ে আসে। মহীপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই জসিম সাগরে ট্রলার ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে জানান, তিনি ডাকাতির কথা শুনেছেন। এ পর্যন্ত কেউ তাদের কাছে অভিযোগ না করলেও তারা খোঁজ নিচ্ছেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.