আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই লেখাটি পড়তে পারেন

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও নোবেল শানস্নি পুরস্ট্কার - বদরুদ্দীন উমর বর্তমান সরকার তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পহৃর্ণ করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্টস্নানস্নরের কথা; কিন্তু এই তত্ত্বাবধায়ক সকরারের গঠন কেমন হবে এ নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোনো ঐকমত্য তো এখনো হয়ইনি, উপরন্তু শেষ পর্যনস্ন এ নিয়ে তাদের মধ্যে যে আলোচনা চলছে তার পরিণতি কী হবে সেটাও সমঙ্হৃর্ণ অনিশ্চিত। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচন সমঙ্র্কিত সংলাপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অনেক কথাবার্তা হয়েছে কিন্তু যে দুই প্রধান সংসদীয় দলের মধ্যে কথা হওয়া দরকার তাদের মধ্যে কোনো কথা শুরুর পরিবর্তে পরসঙ্রকে দোষারোপ এবং পরসঙ্রের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়িই হয়েছে। তবে এই সরকারের মেয়াদ পহৃর্ণ হওয়ার একেবারে মুখে এসে পরিস্টি্থতির চাপে শেষ পর্যনস্ন দু'পক্ষই কিছুটা সল্ফ্মত হলো কথা বলতে। দুই সংগঠনের সমঙ্াদকদের মধ্যে টেলিফোনে কয়েকদফা মতবিনিবময়ের পর স্টি্থর হলো, তারা সরকারি অতিথি ভবন 'পদ্মা'য় বসবেন। কিন্তু যেদিন তাদের এভাবে বসার কথা তার পহৃর্বদিন সল্পব্দ্যায় নাটকীয়ভাবে মার্কিন রাষদ্ব্রদহৃত বিউটেনিস উভয় সমঙ্াদককে আমন্পণ করলেন পরদিন সল্পব্দ্যায় তার বাসায় এক চায়ের পার্টিতে উপস্টি্থত হয়ে তাদের সংলাপ শুরু করতে।

এর অর্থ দাঁড়াল, বিউটেনিস কতর্ৃক দুই সমঙ্াদকের দ্বারা নির্ধারিত সংলাপ বৈঠক বাতিল করে প্রকৃতপক্ষে তার মধ্যস্ট্থতা বা সভাপতিত্দ্বে এ সংলাপ শুরু করা। এর পরবতর্ী সময়ে যা ঘটল তার থেকে দেখা গেল, বিএনপির কাছে 'পদ্মা'য় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক বাতিল ও বিউটেনিসের বাসায় চায়ের আমন্পণের ব্যাপারটি আকস্ট্মিক মনে হলেও আওয়ামী লীগের কাছে তা প্রত্যাশিত ছিল। কারণ এই আমন্পণ পাওয়ার পর হাসিনার সভাপতিত্দ্বে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর বৈঠকে তড়িঘড়ি সিদব্দানস্ন নেওয়া হলো বিউটেনিসের চায়ের পার্টিতে যোগদানের। শুধু তা-ই নয়, এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সমঙ্াদক তার প্রতিপক্ষ সমঙ্াদককে ফোন করে চাঁচাছোলা ভাষায় বললেন, তিনি যদি সংলাপ চান তাহলে বিউটেনিসের চায়ের দাওয়াতে তাকে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, এ ঘটনার আগের সল্পব্দ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর তিন জন ভারিক্কি সদস্যকে নিয়ে তাদের সমঙ্াদক বিউটেনিসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

তার আগে হাসিনা ও জলিল কাজী জাফর উল্যাহর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর এক সদস্যের এবং বিউটেনিসের বাসায় একাধিকবার ডিনার খেয়েছেন। এই জাফর উল্যাহ সাহেবের সঙ্গে বিউটেনিসের বা সাধারণভাবে মার্কিন দহৃতাবাসের সমঙ্র্ক যে অতি ঘনিষ্ঠ এটা এক সুবিদিত ব্যাপার। তার সামঙ্্রতিক ভূমিকা দেখে মনে হয়, তার দল ও মার্কিন দহৃতাবাসের মধ্যে দৌত্যগিরি মহৃলত তিনিই করে থাকেন। বিউটেনিসের চায়ের টেবিলে সংলাপ শুরু করার আমন্পণ পেয়ে বিএনপি মহলে বিরূপ প্রতিত্রিক্রয়া হয়। তারা এই আমন্পণ গ্রহণ করতে অস্ট্বীকৃতি জানিয়ে প্রস্টস্নাব করে জাতীয় সংসদ ভবন অথবা অন্যত্র এই সংলাপ বৈঠক করার।

শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি সমগ্র রাজনৈতিক মহলেও বিউটেনিসের আমন্পণের বিরুদব্দে আরো তীব্র প্রতিত্রিক্রয়া দেখা দেয়। সাধারণ জনগণের মধ্যেও দেখা দেয় একই প্রতিত্রিক্রয়া। এ প্রতিত্রিক্রয়ায় ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের 14 দলীয় জোট সংলাপে বসার জন্য ব্যস্টস্ন হয় এবং জাতীয় সংসদকে এর স্ট্থান হিসেবে তারাও উল্ক্নেখ করে। এরপর শুরু হয় সংলাপ। এখানে বলা দরকার, বিএনপির সমঙ্াদক থেকে নিয়ে অন্য মন্পী ও নেতারা বিউটেনিসের চায়ের দাওয়াতের ব্যাপারে বিউটেনিসকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগকেই এর জন্য দায়ী করে নিয়মমাফিক তাদের দোষারোপ করে সাক্ষাৎকার ও বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে থাকেন।

তাদের অবস্ট্থা দেখে মনে হয়, এই কেলেগ্ধকারির জন্য শুধু আওয়ামী লীগই দায়ী এবং বিউটেনিস ও মার্কিন দহৃতাবাস একেবারে ধোয়া তুলসি পাতা। কেউ কেউ আবার এর জন্য বিউটেনিসকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে চায়ের দাওয়াতের সমালোচনা করেন। এখানে যা খেয়াল রাখতে হবে তা হলো, কোনো দেশেই মার্কিন রাষদ্ব্রদহৃত মার্কিন সরকারের সদ্বেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে এবং তাদের অনুমতি না নিয়ে এ ধরনের কাজ করে না, করতে পারে না। কাজেই বিউটেনিস যা করেছিলেন সেটা সদ্বেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই করেছিলেন। এর প্রমাণ ঘটনার পরপরই মিলল।

ওয়াশিংটনে সদ্বেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হলো, বিএনপির বিউটেনিসের চায়ের দাওয়াতে যেতে অস্ট্বীকার করা সঠিক হয়নি। এর থেকে যা বোঝা যায় তা হলো, বিউটেনিস যে শুধু সদ্বেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই এ কাজ করেছিলেন তা-ই নয়। তিনি এটা করেছিলেন তাদের নির্দেশেই। তাদের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্র কী ধরনের ঔদব্দত্যপহৃর্ণ আচরণ করতে পারে ও করে থাকে এ ঘটনা ছিল তারই এক বড় দৃষদ্বানস্ন। একটি দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসতে যতই অসুবিধা বোধ করুক, অন্য এক বিদেশী রাষদ্ব্রদহৃত কীভাবে একটি ক্ষমতাসীন দল এবং অন্য একটি সাবেক ক্ষমতাসীন দলকে নিজেদের দহৃতাবাসে আলোচনার জন্য চায়ের দাওয়াতের নামে বস্ট্তুতপক্ষে ডেকে পাঠাতে পারে? কিন্তু বাংলাদেশের শাসকশ্রেণীর করুণ অবস্ট্থার কারণে রাষদ্ব্রদহৃতের মতো তৃতীয় শ্রেণীর একজন সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে সেটাই সল্ফ্ভব হয়েছে যা স্ট্বাভাবিক অবস্ট্থায় ও সাধারণ কূটনৈতিক নিয়ম-কানুন অনুযায়ী সল্ফ্ভব নয়।

এই তলবী চায়ের দাওয়াতের বাস্টস্নব ভিত্তি বাংলাদেশে যে আছে এটা আওয়ামী লীগ কর্তৃক এই দাওয়াত তড়িঘড়ি করে শিরোধার্য করার মধ্যেই দেখা যায়। এটা দেখা যায়, উভয়ের দ্বন্দ্ব উদ্ভহৃত পরিস্টি্থতির কারণে বিএনপি কতর্ৃক চায়ের দাওয়াত অস্ট্বীকার করা সত্ত্বেও মার্কিন রাষদ্ব্রদহৃত ও মার্কিন সদ্বেট ডিপার্টমেন্টকে দোষারোপ না করে সব দোষ আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে। জাতীয় সংসদ ভবনে কয়েক দফা সংলাপ চলতে থাকা সত্ত্বেও যে মহৃল কয়েকটি ইসু্যতে দু'পক্ষ বিভক্ত সে ইসু্যগুলোর সমাধানের ধারে-কাছে তারা পোঁছেছেন এটা এখন পর্যনস্ন তাদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ সত্ত্বেও বলার উপায় নেই। কাজেই সংকট চলছে। এ পরিস্টি্থতিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী 12 অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্র গেছেন তার কানের চিকিৎসার জন্য এবং প্রধানমন্পী 14 অক্টোবর গেছেন সৌদি আরবে ওমরাহ করতে।

অর্থাৎ দুই দলের দুই শীর্ষ নেতাই এ সংকটজনক সংলাপের সময় দেশে অনুপস্টি্থত থাকছেন। এটা বিশেষভাবে তাৎপর্যপহৃর্ণ যে, এ ধরনের সংলাপ দলের দ্বিতীয় স্টস্নরের নেতারা করলেও শীর্ষ নেতৃত্দ্বের কাছাকাছি উপস্টি্থতি ও তাদের সঙ্গে আলোচনাকারীদের যোগাযোগ রক্ষা করে চলা এক আবশ্যিক ব্যাপার। এক্ষেত্রে ব্যতিত্রক্রম হতে পারে তখনই যখন এই আলোচনা গুরুত্দ্বহীন হয়ে পড়ে যখন আর করার কিছু থাকে না, এক কথায় আলোচনা যখন প্রকৃতপক্ষে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। লক্ষ্য করার বিষয় যে, মার্কিন রাষদ্ব্রদহৃত বিউটেনিসও এই সংকটজনক মুহহৃর্তে মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্রে। সংকটের মহৃল জায়গা হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কাকে করা হবে সেটা নিয়ে।

বিএনপি চায় সর্বশেষ সাবেক প্রধান বিচারপতি কেএম হাসানকে। আওয়ামী লীগ তাকে একেবারেই চায় না। এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্টস্নানস্নর কীভাবে সল্ফ্ভব? যদি আওয়ামী লীগের পরোয়া না করে বিএনপি সে কাজ করে, তাহলে সেই অবস্ট্থায় আওয়ামী লীগ কতর্ৃক নির্বাচন বর্জন অবধারিত। এভাবে নির্বাচন বর্জন হলে পুরো নির্বাচনই ভ-ুল হাওয়ার কথা। প্রথম থেকেই পরিস্টি্থতির এই দিকটির প্রতি লক্ষ্য রেখেই মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্র বাংলাদেশের নির্বাচন প্রত্রিক্রয়ায় নানাভাবে হস্টস্নক্ষেপের চেষদ্বা করে আসছে।

তাদের লোকেরা ওয়াশিংটন থেকে ঢাকায় এসে ইচ্ছামতো বক্তব্য দিচ্ছে। ঢাকায় বসে একের পর এক মার্কিন রাষদ্ব্রদহৃতও সে কাজ করে যাচ্ছেন। মেরি অ্যান পিটার্স, হ্যারি কে টমাস এবং বর্তমানে বিউটেনিসের এ আচরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবং সংকটের গভীরতা উপলব্ধি করেই মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্র নিজেদের আয়ত্তের মধ্যে পরিস্টি্থতিকে রাখার জন্যই বিউটেনিসকে দিয়ে দু'পক্ষকে একই ঘাটে পানি খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেই চাল বেচালে পরিণত হওয়ায় এখন তারা অন্য পথ ধরে সেই অভিল্পম্ন লক্ষ্য অর্জন অর্থাৎ পরিস্টি্থতিকে নিজেদের নিয়ন্পণে রাখার জন্য অন্য পথ অবলল্ফ্বন করেছে।

এই অন্য পথ হলো তাদের একজন শতভাগ নির্ভরযোগ্য লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চত্রক্রানস্ন। ডক্টর মুহাল্ফ্মদ ইউনহৃসকে এ বছরের নোবেল শানস্নি পুরস্ট্কার প্রদান এ চত্রক্রানস্নেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেভাবে এবার নোবেল শানস্নি পুরস্ট্কার দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিবিসির অসলো সংবাদদাতা লারস বিভাঙ্গারের রিপোর্ট প্রথমেই উল্ক্নেখযোগ্য। অসলো থেকে পাঠানো রিপোর্টটিতে তিনি বলেছেন, 'এ বছরের নোবেল শানস্নি পুরস্ট্কার ঘোষণার সময় অসলোতে জড়ো হওয়া সাংবাদিকরা বিস্ট্ময়ে মুহহৃর্তের জন্য স্টস্নব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। পুরস্ট্কার ঘোষণার দিন যত ঘনিয়ে আসছিল, সবার দৃষদ্বি নিবদব্দ হচ্ছিল ইন্দোনেশিয়া সরকার ও আচেহ বিদ্রোহী প্রতিনিধিদের ওপর সামঙ্্রতিক সময়ে যে কয়টি পক্ষ সফল শানস্নিচুক্তি সমঙ্াদন করেছে, সেগুলোর প্রথম সারিতে ছিলেন তারা।

সশস্ট্প সংঘাত বল্পেব্দ এমন সঙ্ষদ্ব ও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের বছরে নোবেল শানস্নি পুরস্ট্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মুহাল্ফ্মদ ইউনহৃস ও তার গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে যাবে এমন অনুমান যদি কেউ করে থাকেন, তাদের সংখ্যা নগণ্য। ' (দৈনিক যুগানস্নর 15-10-2006)। আসলে তাদের সংখ্যা নগণ্য নয়, একেবারে শহৃন্য। ইউনহৃসকে নোবেল শানস্নি পুরস্ট্কার দেওয়ার জন্য যারা কলকাঠি নেড়েছেন তারা ছাড়া বাইরের কারো পক্ষেই এটা অনুমান করা সল্ফ্ভব ছিল না। কারণ এ সিদব্দানস্ন সমঙ্হৃর্ণভাবে সাম্রাজ্যবাদী, বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী প্রয়োজনে খুব হঠাৎ করেই নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিস্টস্নারিত আলোচনায় পরে আসছি। এখন অসলোর থেকে উদ্ভহৃত আরো কয়েকটি রিপোর্টের দিকে তাকানো দরকার। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রথম সহকারী প্রধান সেভেরে লোজার্ড পুরস্ট্কার ঘোষণাস্ট্থলে বিবিসিকে বলেন, 'পুরস্ট্কার প্রদানের ক্ষেত্র প্রসারে গত কয়েক বছর ধরেই আলাপ-আলোচনা ও উদ্যোগ গ্রহণ চলছিল। তারই ফল হিসেবে উল্পম্নয়ন ক্ষেত্রকেও শানস্নি পুরস্ট্কারের আওতায় আনা হলো। তার মতে, প্রতি বছর যুদব্দের চেয়ে বেশি লোক মারা যায় দারিদ্র্যের কারণে।

সুতরাং পৃথিবীর সমঙ্দ নিয়ে যে চরম বিভক্তি রয়েছে, সেই সহিংসতার বিরুদব্দে লড়াই বেশি সঙ্গত'। (যুগানস্নর 15-10-06)। শানস্নি পুরস্ট্কার প্রদানের ক্ষেত্র সমঙ্্রসারণ করে এ বছর যাকে পুরস্ট্কার দেওয়া হয়েছে তিনি তাহলে হলেন 'যুদব্দের চেয়ে দারিদ্র্যের কারণে যে লোকরা মারা যাওয়ার কথা তাদের জীবনদাতা' এবং পৃথিবীর সমঙ্দ নিয়ে যে চরম বিভক্তি রয়েছে, সেই সহিংসতার বিরুদব্দে লড়াই'-এর সিপাহসালার। যে কোনো সৎ ও শিক্ষিত লোকের এ কথা অজানা নয় যে, উপরোক্ত যে দুই লক্ষ্য অর্জনে ইউনহৃসের সাফল্যের কথা বলা হয়েছে সে দুই লক্ষ্যই অর্জন করা সল্ফ্ভব সরাসরি রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে, আমহৃল সমাজ পরিবর্তনের মাধ্যমে। ভিক্ষা দিয়ে, সাম্রাজ্যবাদী ঋণ নিয়ে যেমন একাজ সল্ফ্ভব নয়, তেমনি সল্ফ্ভব নয় গ্রামের গরিব নারী-পুরুষকে ক্ষুদ্রঋণের নামে সুদী কারবারের কর্মসহৃচির মধ্যে আটকে রেখে।

শুধু তা-ই নয়, এ লক্ষ্য অর্জন সাম্রাজ্যবাদ, বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদব্দে সংগ্রাম ছাড়াও সল্ফ্ভব নয়, কারণ 'পৃথিবীর সমঙ্দ নিয়ে যে চরম বিভক্তি রয়েছে' তার মহৃলে আছে পুঁজির শোষণ (সুদী কারবারের শোষণও এর অনস্নভর্ুক্ত), সাম্রাজ্যবাদী ঋণ ও মুক্তবাজারের শোষণ যার কর্ণধার হলো মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্র। এই শোষণের বিরুদব্দে সংগ্রাম ডক্টর ইউনহৃসের কাছে বিষবৎ পরিত্যাজ্য। তিনি কোনোদিনই এর ধারেকাছে নেই। উপরন্তু গ্রামাঞ্চলের মানুষ যাতে ঐক্যবদব্দ হয়ে দেশীয় এবং আনস্নর্জাতিক শত্রুদের বিরুদব্দে রাজনৈতিক সংগ্রাম করতে না পারেন যথাসাধ্য সেই চেষদ্বাতেই তিনি নিযুক্ত। জনগণকে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে রাখাই হলো ক্ষুদ্রভাবে হলেও তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসহৃচির মহৃল উদ্দেশ্য।

কিন্তু তার এই কীর্তি বিষয়ের আলোচনা এখনকার উদ্দেশ্য নয়। আমরা এখানে ডক্টর ইউনহৃসের শানস্নি পুরস্ট্কারের রাজনৈতিক দিকটিই বিবেচনা করব। অসলোর ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনসদ্বিটিউট প্রতি বছর নোবেল পুরস্ট্কারের সময় কিছু অগ্রিম ধারণা দিয়ে থাকে। এবার তাদের ধারণায় ইউনহৃসের কোনো স্ট্থান ছিল না। তার নাম তাদের তালিকায় ছিল না (অসলো পিস রিসার্চ ইনসদ্বিটিউটের ওয়েবসাইট)।

এ প্রসঙ্গে উল্ক্নেখযোগ্য যে, গত বছর 2005 সালে নোবেল পুরস্ট্কারের জন্য অন্য বহু লোকের সঙ্গে ইউনহৃসের নামও ছিল। কিন্তু এ বছর তার কোনো নমিনেশনও ছিল না। বিবিসির অসলো সংবাদদাতার রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, 'অনেকে অবশ্য মনে করছেন, এ বছর সরাসরি সংঘাত প্রতিরোধকে পুরস্ট্কৃত করার একটি বিরল সুযোগ হারিয়েছে নোবেল কমিটি। অসলোর ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স ইনসদ্বিটিউটের পরিবেশক সদ্বেইন টেনিসদ্বন বলেছেন, ডক্টর ইউনহৃস নোবেল পাওয়ায় তিনি খুশি। তবে ইন্দোনেশিয়া ও আচেহ প্রদেশের জনগণ বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।

তিনি মনে করেন, আচেহ ইসু্যটি এ বছরের নোবেল শানস্নি পুরস্ট্কারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ছিল। মুহাল্ফ্মদ ইউনহৃসকে যে কোনো বছরই এই পুরস্ট্কার দেওয়া যেত। ' (যুগানস্নর 15-10-06) কাজেই এ বছর পুরস্ট্কার ইউনহৃসকে না দিয়ে ইন্দোনেশিয়া সরকার ও আচেহর জনগণকে দেওয়া উচিত ছিল একথা বলছেন এমন এক ব্যক্তি যিনি এটাও মনে করেন যে, ইউনহৃস নোবেল পুরস্ট্কার পাওয়ার যোগ্য। এটা এমন একজনের বক্তব্য যিনি ডক্টর ইউনহৃসের প্রতি 'বিদ্বেষের' বশবতর্ী হয়ে একথা বলছেন না। বলছেন এ বছর যেখানে নোবেল পুরস্ট্কার সঙ্গতভাবে যাওয়া উচিত ছিল তার কথা।

রিপোর্টটিতে আরো বলা হচ্ছে, 'ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ইন্দোনেশিয়ার সরকার ও আচেহ বিদ্রোহীদের রক্তাক্ত সংঘাতে মধ্যস্ট্থতাকারী মার্তি আতিসারি মনে করেন ওই দুই পক্ষকে আসছে বারও পুরস্ট্কৃত করা যেতে পারে। ' কেন? এ বছর শানস্নির ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্দ্বপহৃর্ণ যে ঘটনা ঘটল তাকে এ বছর বাদ দিয়ে সামনের বছর বিবেচনা করা হবে কেন? তাদের বাদ দিয়ে কোন যুক্তিতে এ বছর ডক্টর ইউনহৃসকে শানস্নি পুরস্ট্কার দেওয়া হলো? এর জবাব একমাত্র সাম্রাজ্যবাদী চত্রক্রানস্ন ছাড়া অন্য কিছুর মধ্যেই পাওয়া যাবে না। এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য সঙ্গত কারণই নেই। বিবিসি রিপোর্টটির শেষে বলা হচ্ছে, 'অবশ্য পুরস্ট্কারের উপযুক্ত পাত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমালোচনার খুব কমই প্রভাব পড়ে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিতে। পাঁচ সদস্যবিশিষদ্ব অতি গোপন এই কমিটির প্রায় সবাই সাবেক রাজনীতিক'।

তারা কোন ধরনের রাজনীতিক এটা কী বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন আছে? নোবেল পুরস্ট্কার দুনিয়ার সব থেকে বিখ্যাত পুরস্ট্কার হলেও এই পুরস্ট্কারের রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে বিতর্ক খুব পরিচিত ব্যাপার। এই বিতর্ক অর্থনীতি, সাহিত্য ও শানস্নি বিষয়ে, বিশেষত শানস্নি বিষয়েই সব থেকে ব্যাপক ও তিক্ত। এর কারণ বোঝার অসুবিধে নেই। কয়েকজন মার্কিন লুথার কিং ডেসমন্ড টুটু, নেলসন ম্যান্ডেলা বা মাদার তেরেসাকে পুরস্ট্কার দিয়ে এক্ষেত্রে কিছুটা বিভ্রানস্নির সৃষদ্বি করলেও অন্য আরো অনেককে এই পুরস্ট্কার দেওয়া হয়েছে যারা চরম প্রতিত্রিক্রয়াশীল, জনগণের প্রবল শত্রু ও সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বস্টস্ন এজেন্ট ছাড়া আর কিছু নয়। এদের মধ্যে আছেন হেনরি কিসিঞ্জার, আন্দ্রে সাখারভ, আনোয়ার সাদাত, ইসরাইলের মেলহিম ভেগিন, পোল্যান্ডের লেচ ওয়ালেসা, দালাইলামা, মিখাইল গর্বাচেভ, দক্ষিণ আফিদ্ধকার সাবেক শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ক্লার্ক, ইসরাইলের শিমন পেরেজ, আইজাক রবিনের মতো আরো অনেকে।

রাজনৈতিক প্রয়োজনে বিভিল্পম্ন দেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদব্দের পর থেকে বেশ সঙ্ষদ্বভাবেই নোবেল পুরস্ট্কারকে অর্থনীতি, সাহিত্য এবং বিশেষভাবে শানস্নি পুরস্ট্কারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। এ বছরের শানস্নি পুরস্ট্কারের ক্ষেত্রেও এদিক দিয়ে কোনো ব্যতিত্রক্রম হয়নি। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্ট্থায় এখন এক চরম সংকটজনক পরিস্টি্থতি সৃষদ্বি হয়েছে। বর্তমান সরকার এ মাসেই তার পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্টস্নানস্নরের কথা। কিন্তু এই সরকারের প্রধান কে হবেন তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে এক তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।

এই দ্বন্দ্ব সংঘাতে রূপ নেওয়ার পর্যায়েও যেতে পারে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ঘোষণা করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে বিচারপতি হাসানের কাছে ক্ষমতা হস্টস্নানস্নর করলে তারা সারাদেশ থেকে বাঁশ, লগি, বৈঠা ইত্যাদিতে সজ্জিত লাখ লাখ লোক নিয়ে এসে ঢাকা ঘেরাও এবং অচল করবেন। এভাবে অচল করতে পারুন অথবা না-ই পারুন, তারা নির্বাচন বর্জন অবশ্যই করতে পারবেন এবং তাতে সংকট ঘনীভূত হবে। এ অবস্ট্থায় সমগ্র পরিস্টি্থতি নিজেদের নিয়ন্পণে রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্র অব্যাহতভাবে চেষদ্বা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তাদের অনেক চত্রক্রানস্ন ও উদ্যোগের একটি অংশ হিসেবে তাদের রাষদ্ব্রদহৃত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চায়ের টেবিলে বসে সংলাপ শুরু করার আমন্পণ জানিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পহৃর্ণ সমর্থন থাকলেও দেশের সর্বস্টস্নরের জনগণের প্রবল বিরোধিতার মধ্যে চায়ের পার্টির সংলাপ ভ-ুল হয়। এরপরই শুরু হয় মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্রের পরবতর্ী পর্যায়ের চত্রক্রানস্ন। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সংলাপ এখনো চলছে, আজো চলার কথা। এ অবস্ট্থায় আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা ও বিএনপির খালেদা জিয়া দেশের বাইরে। তাদের কাছে এই সংলাপের গুরুত্দ্ব কতখানি এর থেকেই সেটা বোঝা যায়।

সংলাপের পরিবর্তে এখন চলছে মার্কিন চত্রক্রানস্নের জাল গুটিয়ে আনার খেলা। চায়ের দাওয়াত ভেস্টেস্ন যাওয়ার পরই মার্কিন রাষদ্ব্রদহৃত বিউটেনিস গেছেন তার দেশে। তার পিছু পিছু কানের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা গেছেন শেখ হাসিনা এবং সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের জন্য গেছেন খালেদা জিয়া। উভয় নেত্রীই মার্কিনের অনুগত মিত্র হলেও বর্তমান পরিস্টি্থতিতে আমেরিকার শুয়ো রানী হলো আওয়ামী লীগ। গত কিছুদিনের ঘটনায় এটাই দেখা গেছে।

বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্টি্থতিতে একজন 'সর্বসল্ফ্মত' ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গদিতে অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার সল্ফ্ভব না হলে একটি 'জাতীয় সরকার'-এর প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠিত করা মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্রের জন্য খুবই গুরুত্দ্বপহৃর্ণ। গুরুত্দ্বপহৃর্ণ এ কারণে যে, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পহৃর্ব এশিয়ায় সদ্ব্র্যাটেজিক কারণে অতি গুরুত্দ্বপহৃর্ণ। এই 'সর্বসল্ফ্মত' ব্যক্তি তৈরি করার জন্যই নোবেল কমিটিকে দিয়ে তড়িঘড়ি ইউনহৃসকে শানস্নি পুরস্ট্কার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে শানস্নি স্ট্থাপনকারীদের শানস্নি পুরস্ট্কার না দিয়ে নমিনেশন ছাড়াই মুহাল্ফ্মদ ইউনহৃসকে শানস্নি পুরস্ট্কার প্রদানের অন্য কোনোই কারণ নেই। কিছুদিন থেকেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তার পত্দম্নী হিলারি ক্লিনটন এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দেশী-বিদেশী এজেন্টরা ডক্টর ইউনহৃসকে শানস্নি পুরস্ট্কার দেওয়ার জন্য বাতাস উতালা করে আসছেন।

যে কোনো প্রয়োজনীয় সময়ে তাকে শানস্নি পুরস্ট্কার দিয়ে খাড়া করার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করা হচ্ছিল। এখন এই প্রয়োজনের সময় এসেছে। বিচারপতি হাসান বাতিল হলে এখন বাংলাদেশে ডক্টর ইউনহৃস ছাড়া এই পদে অধিষ্ঠিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্রের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করার মতো 'সর্বসল্ফ্মত' ব্যক্তি আর কেউ নেই। শেখ হাসিনা মাত্র কয়েক সপ্টস্নাহ আগেও ইউনহৃস সমঙ্র্কে অনেক বিরূপ সমালোচনা, এমনকি তাকে সুদখোর বলে অভিহিত করলেও ইউনহৃস নোবেল পুরস্ট্কার পাওয়ায় তিনি এখন উচ্ছ্বসিত। ইউনহৃসের প্রতি বিএনপির বিরূপ দৃষদ্বি কোনো সময়েই ছিল না।

এখন হাসানকে শেষ পর্যনস্ন বাতিল করতে হলে তাদের কাছে ইউনহৃস অগ্রহণযোগ্য নন। এ তো গেল এক দিক, এর অন্য দিক হলো নোবেল পুরস্ট্কার পাওয়ার পর দেশে এমন পরিস্টি্থতির সৃষদ্বি হয়েছে যাতে গণ্যমান্য বলতে যাদেরই বোঝায় তাদের সবারই মনে হয় মার্কিন পক্ষাঘাতগ্রস্টস্ন এবং যুক্তি বিচার ক্ষমতা রহিত হয়েছে। তারা বিকারগ্রস্টেস্নর মতো এমন হুলস্ট্থুল করছেন যা কোনো জাতির পক্ষে সল্ফ্মানজনক নয়। 'আমরা কী হনুরে' ভাব যাদের পেয়ে বসে তাদের অবস্ট্থা সত্যিই বড় করুণ। যা-ই হোক, এই হুলস্ট্থুল পরিস্টি্থতিতে ডক্টর ইউনহৃস এক মহাপুরুষ হিসেবে আবিভর্ূত হয়েছেন অথবা তাঁকে আবিভর্ূত করা হয়েছে এবং এর বিপরীত কিছু বলা মনে হয় এ মুহহৃর্তে দেশদ্রোহিতার শামিল।

কিন্তু যা সত্য তা হলো, মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্রের এক বিরাট চত্রক্রানস্নের মাধ্যমেই এ পরিস্টি্থতি সৃষদ্বি করা হয়েছে। আমরা গণক ঠাকুর নই, কিন্তু অবস্ট্থাদৃষদ্বে মনে হয় আগামী তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা কোনো ধরনের 'জাতীয় সরকারের' প্রধান হিসেবে ডক্টর ইউনহৃসকে অধিষ্ঠিত করার জন্য তাঁকে যে রথে চড়ানো হয়েছে সে রথ অপ্রতিরোধ্য। এই রথে চড়েই এখন ইউনহৃস নিজে ইচ্ছেমতো রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। বিএনপি-আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব এক বৈঠকেই সমাধান হওয়া সল্ফ্ভব বলে তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন। মাত্র কিছুদিন আগেই তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম একশ' দিনের করণীয় সমঙ্র্কে এক কর্মসহৃচি হাজির করেছিলেন।

কাজেই মার্কিন যুক্তরাষদ্ব্রের ডযধৎঃড়হ ংপযড়ড়ষ ড়ভ ইঁংরহবংং দ্বারা 'বিগত 25 বছরের সব থেকে প্রভাবশালী 25 ব্যবসায়ী ব্যক্তির একজন' হিসেবে নির্বাচিত (এই তালিকায় আছেন বিল গেটস, জর্জ সেরেসের মতো কুখ্যাত প্রতারকের মতো লোকজন) এবং সড়হংধহঃড়সহ অনেক সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোমঙ্ানির সঙ্গে ব্যবসায়ী স্ট্বার্থে সমঙ্র্কিত ডক্টর মুহাল্ফ্মদ ইউনহৃস ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের দারিদ্র্য দহৃর করতে সমর্থ হওয়ার কারণে নোবেল পুরস্ট্কার লাভ করে এখন বাংলাদেশের জনগণের পরিত্রাতা হিসেবে রাজনীতির এক মস্টস্ন নায়ক হিসেবে ক্ষমতার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে। গরিবের ব্যাংকার হিসেবে গরিবদের উচ্চহারে সুদ দিয়ে, 98 শতাংশ সুদে-আসলে উসুল করে আমাদের দেশের গ্রামীণ মহাজন ও কাবুলিওয়ালারা মহলী খেতাব অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু দারিদ্র্যকে বাণিজ্য করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কৃপায় ডক্টর ইউনহৃস ধনী ও দরিদ্র দুই দুনিয়াই জয় করেছেন। কথায় আছে বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। ডক্টর ইউনহৃস দুনিয়াকে দেখিয়ে দিলেন বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী তো বটেই।

তবে তার ওপরে হলো দারিদ্র্য বাণিজ্যে বসতি গৌরব। 16-10-2006 17 অক্টোবর সমকালে প্রকাশিত হয়েছে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।