আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্লাডিং

সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়াই

ফ্লাডিং কাকে বলে, এটা নিয়ে কোন বিতর্ক ছিলো না, কিন্তু যখনই মুক্তচিন্তাকে ব্যক্তিগত কোম্পানী হিসেবে নিবন্ধিত করে কয়েকজনের নামে সরাসরি আক্রমণ হলো, জনমনে ফ্লাডিঙের সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রয়োজন অনুভূত হলো। সাদা বাংলায় আমরা ফ্লাডিং বলে অভিহিত করি পরপর অনেকগুলি পোস্টকে। অর্থনীতির ডিমিনিশিং মার্জিনাল ইউটিলিটির সূত্রানুযায়ী, যতই ঝাঁক-পোস্টের সংখ্যা বাড়তে থাকে, ততই তার আবেদন কমে আসে। পোস্টের ফ্রিকোয়েন্সি জনমনে দারুণ চাপ ফ্যালে। উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির সাথে জড়িত স্কিন এফেক্ট বলে একটি ঘটনা আছে, এক্ষেত্রেও তা-ই ঘটে, ফ্লাডপোস্টের বিষয়বস্তু অনেকসময় গুরুত্ব হারিয়ে ফেলতে পারে হাই ফ্রিকোয়েন্সির, তার মূলে না গিয়ে লোকে দৃষ্টি দেয় ছালচামড়ার দিকে, পোস্টের মজ্জায় শেষ পর্যন্ত আর কারো মনোযোগ যায় না।

জনমনে ঘুরপাক খায় একটি কথাই, ব্যাটা ফ্লাডিং করে। এ কারণেই ব্লগে অনেক কবি ফ্লাডার হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়, তাদের কবিতাকে লোকে বালছাল বলে ব্যঙ্গ করে। এ কারণেই ইন্টারেস্টিং সংবাদকণিকাও সবার বিরক্তি উদ্রেক করে। ফ্লাডিং ঠেকাতে শুরুতে ফ্লাডারদের করুণ অনুনয় জানানো হয়, তারা পাত্তা দেন না, তখন বিষে বিষক্ষয় মেথডে ফ্লাডিং দিয়ে ফ্লাডিং ঢাকার একটা চেষ্টা চলে। নীরস ফ্লাডিংকে সরস ফ্লাডিং দিয়ে প্রতিস্থাপিত করার ক্ষীণ আন্দোলন হয় মাঝে মাঝে।

প্রথম পাতায় পোস্ট করার উদ্দেশ্য তো একটাই, সবাইকে পড়তে দেয়া। কেউ যদি অনলাইন আর্কাইভ হিসাবে ব্যবহার করতে চান এই ব্লগ, দিনে একশোটা করে লেখা আপলোড করলেও কারো কিছু বলার নেই, প্রথম পাতায় এসে সবাইকে হটিয়ে না দিলেই হলো। কিন্তু টিভিক্যামেরার সামনে উপস্থাপকের আশেপাশে ঠেলাঠেলি করে কিছু লোক সবসময়, যেভাবেই হোক বদনখানি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরতেই হবে, এ নিয়ে মারপিট করতেও তারা পিছ পা হয় না, ঐ কিসিমের কেউ যখন একের পর এক পোস্ট দিয়ে প্রথম পাতায় নিজের নামাঙ্কণ করতে থাকে, তখনই ব্যাপারটা বিরক্তিকর হয়ে যায়। তখন আমরা বলি, ফ্লাডিং ফ্লাডিং।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।