আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহী ; শিক্ষা, প্রেম, পদ্মা, পিনিক আর রাজপথের নগরী !

জীবনটাই এলোমেলো ভাবে কাটাতে চাই রাজশাহীতে আমার গ্রাজুয়েশন । তাই অনেকটা সময় রাজশাহীতে ছিলাম । প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও কিভাবে কিভাবে জানি রাজশাহীর প্রেমে পরে গেলাম । তাই রাজশাহীকে ছাড়তে পারছিলাম না । গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হবার পরেও ৬ মাস ছিলাম একটা বাসা ভাড়া নিয়ে ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঢাকা আসতেই হল । অপেক্ষায় ছিলাম কবে আবার যেতে পারবো । অবশেষে কয়েকদিন আগে তিন বন্ধু মিলে ঘুরে এলাম রাজশাহী থেকে , স্মভবত শেষ বারের মত । রাজশাহীর রাজপথ আসলেই দেখার মত । রাস্তার দুই লেনের মাঝে বিভিন্ন ধরনের গাছ ।

অনেক চওড়া রাস্তা । কাজেই যানজটের কোন ঝামেলা নাই । এইবার গিয়ে দেখি মোড়ে মোড়ে রঙ্গিন বাতি , আলোকসজ্জা , এমনকি কেয়েকটা গাছেও দেখলাম বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জা । ভালই লাগছিল । মনে হচ্ছিল পুরো শহরেই যেন একটা উতসব চলছে ।

পদ্মার পাড়ে গেলাম । পানি আগের চেয়ে অনেক কমেছে । পদ্মার পার দিয়ে সুন্দর বসার জায়গা , ছোট পার্ক করা হয়েছে । ওয়াই ফাই জোনে গেলাম । স্পিড শুনছিলাম বেশ ভালোই কিন্তু দেখলাম ১০ কে বি পি এস এর মত ।

চিড়িয়াখানায় দেখি অনেক উন্নয়ন কাজ চলছে । ঝুলন্ত সেতুর আদলে কয়েকটা ব্রিজ করেছে । নভোথিয়েটার এর কাজ চলছে । কিন্তু পশু পাখি আগের চেয়েও অনেক কম মনে হল । মেডিকেল বন্ধগেট দেখে তো এখন চেনার উপায় নেই ।

আগের চেয়ে দশগুন চওড়া রাস্তা বানানো হইছে । রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেটুকু দেখলাম তাতে খুব বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করিনি । নতুন করে মনে হয় একটা মেয়েদের হোস্টেল হয়েছে আর একটা তৈরি শুরু হয়েছে । রাজশাহী এসে কালাই রুটি খাব না তা তো হতে পারে না । তাই একদিন রাতে চলে গেলাম কালাই রুটি খেতে ।

রাস্তার ধারে সবাই মিলে ঝাল দিয়ে রুটি খাবার মজাই আলাদা । রাজশাহীতে থাকার সময় সবচেয়ে বেশি খাওয়াদাওয়া করেছি মনে হয় তৃপ্তি হোটেলে । ওদের সকালের ভুনা খিচুরি , ডাল আর ডিম মামলেট এর কথা এখনও মনে হয় । এইবার অবশ্য তৃপ্তিতে খাওয়া হয় নাই । বিদ্যুৎ আর হিলশা তে খাইছি ।

বিদ্যুৎ আগের মতই । হিলশাতে খাসির মগজ পেলাম না । কি আর করা খাশির গোস্তই খাইতে হইল । চার বন্ধু একসাথে আর পার্টি হবে না , তা ক্যামনে হয় ? সাহেব বাজার থেকে ভিজা আর দাসপুকুর থেকে শুকনা পণ্য খরিদ করে পার্টি চলল ছাত্র জীবনের মতই । চার বন্ধই একমত হলাম রাজশাহীতে আমরা সময়টা বেশে ভালই কাটাইছি যদিও আনন্দ-ফুরতি একটু বেশিই করে ফেলছি মনে হয় ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।