আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টেরিয়র পরামর্শ

জীবন যখন ব্যস্ত যেমন দুই পরতা

প্রতিদিন আপনার আশপাশে একই চিত্র দেখতে দেখতে আপনার মনের কৌতূহল দমে যেতে পারে। সৌন্দর্যের প্রতি আপনার আকাঙা কমে যেতে পারে। তাই ইন্টেরিয়র বা ঘরের অন্দর সজ্জায় কিছু কিছু পরিবর্তন মাঝে মাঝে করা ভাল। এতে পুরানোটা ভাবটা ঝরে যায় এবং ঘরের আসবাবপত্রকে নতুনভাবে বিন্যাস করলে নতুনের মতো মনে হয়। ফলে একটা চনমনে অনুভূতি মনের ভেতর জেগে উঠে।

সাধারণত আসবাবপত্রের বিন্যাস এমনভাবে করা উচিত যেন তা ঘরের বিভিন্ন কোণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং মানানসই হয়ে উঠে। যেমনটি ধরুন আপনি যদি আলোর বিপরীতে একটি উঁচু আসবাব রাখেন, তাহলে তা সমস্যা করবে না। কিন্তু আলোর গতি পথে যদি এ আসবাবটি রাখেন তাহলে ঘরটি অন্ধকার হয়ে উঠবে। সুতরাং নতুন সজ্জায় যাওয়ার আগে আপনার এ বিষয়গুলি খেয়াল করা উচিত। আমাদের দেশে সাধারণত ঘরের ভেতর জায়গা খুব বেশি থাকে না।

যদি সজ্জা পরিবর্তন করতে হয় তাহলে খেয়াল রাখতে হবে এই জায়গা যেন বাড়িয়ে নেওয়া যায়। পুরানো থেকে নতুন সজ্জায় যাওয়ার েেত্র একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হচ্ছে- পরিষ্কার করা। সাধারণত দেখা যায়, আসবাবের বিভিন্ন জায়গায় নানা ময়লা জমে, মাকড়সার জাল জন্মে। যদি সজ্জায় পরিবর্তন আনেন, তাহলে এই পরিষ্কার করাটা খুব সহজেই হয়ে উঠে।

সজ্জায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে বিশেষ করে বেডরুম কিংবা ড্রইংরুমের েেত্র যে বিষয়টির উপর সবচেয়ে আগে যত্নশীল হওয়া উচিত তা হচ্ছে জানালার পর্দা। চেষ্টা করা উচিত প্রতি বছরই নতুন ধরনের প্রিন্ট কিংবা নতুন চেকের পর্দা বা নতুন রঙের বিন্যাস পর্দাতে আনার। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে যা করা উচিত, সেটি হচ্ছে পুরানো পর্দার সঙ্গে নতুন কিছু ব্যবহার করা। যেমন কোনো ঝালোর তৈরি করা যা পুরানো পর্দাকে নতুন রূপ দিবে। একই কথা বিবেচ্য হয় ফটো ফ্রেমের েেত্র।

আমরা সাধারণত ঘরের দেয়ালে বিভিন্ন ফটো ফ্রেম ব্যবহার করি। যেগুলোতে আমাদের ছবি বা কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির ছবি বা কোনো জল রঙ, তেল রঙ-এর ছবি থাকে। চেষ্টা করা উচিত ছ'মাস অনত্দর এ ছবিগুলোর অবস্থান বদলে দেওয়া। এতে ঘরের বিন্যাসে নতুনত্বের ছোঁয়া পাওয়া যায়। বিভিন্ন শো পিসের েেত্রও একই কথা খুব প্রযোজ্য।

যদি শো পিসগুলো অদল বদল করে ব্যবহার করা যায় তাহলে দেখবেন জায়গাটি আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। পুরানো থেকে নতুন সজ্জায় যাওয়ার সময় একটি বিষয় খুব প্রবলভাবে খেয়াল রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে প্রাকৃতির আলোর উৎস যেন উন্মুক্ত রাখা যায়। এেেত্র জানালাটি যে পাশে চেষ্টা করবেন সেই পাশে বড় বা উঁচু ফার্নিচারটি না রাখতে। ফার্নিচার অদল বদলের েেত্র খেয়াল রাখতে হবে যেন ফার্নিচারটি যুগোপযোগী হয় এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়। যেমন- আপনি যদি বেড রুমের ফার্নিচার অন্য কোথাও নিয়ে যান সেেেত্র একেবারে প্রয়োজনীয় ফার্নিচারটি না সরানোই ভাল।

ওয়ারড্রোবটি বেডরুমে রাখাই ভাল। সেটি ডাইনিং স্পেসে নিয়ে যাওয়া খুব একটি জরুরি কিছু নয়। কিন্তু যদি আপনার ঘরের কোনো শোকেস বেড রুমে থাকে তাহলে সেটি ডাইনিং স্পেসেই বেশি শোভা পায়। তাই যখন আপনি সজ্জা বদল করছেন তখন এই ফার্নিচার বা আসবাবপত্রের উপযোগিতা নিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। যখন আপনি সজ্জা পরিবর্তন করছেন, যদি আপনার সামর্থে কুলায় তাহলে সেসময় নতুন রঙ করার চেষ্টা করুন ঘরের দেয়ালে।

দেয়ালের সব অংশে না হলেও কিছু কিছু অংশে একটি ভিন্ন শেড বা কালার আনার চেষ্টা করুন যাতে ঘরের ফার্নিচার বা অন্যান্য আসবাবপত্রে একটি নতুনত্বের ছোঁয়া লাগে। আলোর উৎসও পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। ঘরে দু'তিন রকমের আলোর উৎস থাকা ভাল। খুব ফর্সা বা টিউব লাইট কখনো কখনো ভিন্ন রকমের আলোর উৎস হিসেবে কাজ করে। সুতরাং রঙ বদল, ফার্নিচার বদল, পর্দা বদল যেকোনোভাবে আপনি আপনার ইন্টেরিয়রে নতুন সজ্জা সংযোজন করতে পারেন যা আপনার রুচির পরিবর্তন ঘটাবে এবং আপনার মনজগতে সূ পরিবর্তনের একটি ছাপ ফেলবে যা হবে সম্পূর্ণ রূপে ইতিবাচক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।