আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস "পদ্মা নদীর মাঝি" অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র-"পদ্মা নদীর মাঝি"(Boatman of Padma)

১৯৯২ সালে মুক্তি পায় বাংলা চলচ্চিত্র "পদ্মা নদীর মাঝি" । বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস " পদ্মা নদীর মাঝি" অবলম্বনে পরিচালক গৌতম ঘোষ নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র- "পদ্মা নদীর মাঝি" । ছবিটির মূল গল্প ঠিক রেখে তাকে চলচ্চিত্র হিসেবে তিনি রুপদান করেন। ছবিতে লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস "পদ্মা নদীর মাঝি"কে পরিচালক তার শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেন । পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন ও জীবিকা সব এক এক করে ছবির বিভিন্ন দৃশ্যায়নের মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তুলেন ।

পদ্মাপাড়ের একজন জেলে কিংবা মাঝিকে জীবনের প্রয়োজনে কি করতে হয় , কিভাবে যে তাকে জীবন সংগ্রামে নামতে হয় তার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি চলচ্চিত্র "পদ্মা নদীর মাঝি" । কেতপুর পদ্মা পাড়ের এক অবহেলিত জেলে পল্লী । গ্রামীণ জীবনে মানুষকে দারিদ্রের যে কষাঘাতে জীবন যাপন করতে হয় তার এক বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে এ গ্রামে । অভাব এ গ্রামের নিত্য সঙ্গী , এখানে একবেলা অন্নের সংস্থান করাই অনেক বড় ব্যাপার । এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা ।

মৌসুমের সময় তারা পদ্মার বুকে নৌকা ভাসিয়ে রাত দিন মাছ ধরায় ব্যস্ত থাকে । এটাই তাদের জীবন , তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন । তারা দাদনের ওপর টাকা এনে নদীতে নৌকা ভাসায় মাছ ধরতে । অনেক সময় এই অর্থ নেয়াই তাদের জন্যে অভিশাপ হয়ে দেখা দেয় । কুবের সেই রকম একজন , যে পদ্মার বুকে নৌকা ভাসিয়ে মাছ ধরে ।

মাছ ধরার নৌকাটি আবার তার নয় , ধনঞ্জয়ের । তাকে ভালো পরিমান একটা ভাগ দিতে হয় মাছের । তার সহযোগী আবার গণেশ । মাছ ধরার এ জীবনে তাদের মাঝে প্রেম আসে কখনও , কুবেরে ঘর আছে , বউ আছে , ছেলে-মেয়ে আছে । তাদের দেখতে হয় আবার জীবনের একটা সময় কুবের তার শ্যালিকা কপিলার প্রেমে পড়ে ।

সবই হয় তাদের এ জেলেপাড়ার জীবনে । আবার কখনও পারিবারিক সংঘাত , পারিবারিক বিপর্যয় যেখানে কুবেরের মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় কুবেরকে । সেখানে বাবা হিসেবে তার দায়িত্ব কোন কিছু বাদ যায়না ছবির গল্প থেকে । সবকিছুই তার এই দরিদ্র জীবনের অংশ আর তা নিয়েই বেঁচে থাকতে কুবেরকে । একসময় কুবেরের জীবনে ঝড় আসে আর তখন নিজের পরিবারকে পদ্মারপাড়ে রেখে হোসেন মিয়ার ময়না দ্বীপে এক অনিশ্চিত অজানা জীবনের আশা নিয়ে পাড়ি জমায় পদ্মার বুকে কুবের ।

ছবিটিতে ফুটে উঠেছে পদ্মাপাড়ের জেলেদের জীবনের নানারকম সুখ-দুঃখ , আনন্দ-বেদনার কথা । ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন -রাইসুল ইসলাম আসাদ,চম্পা,রুপা গাঙ্গুলী, হাসান ইমামসহ আরও অনেকে । আর এই অভিন্রতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে পরিচালক গৌতম ঘোষ ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস " পদ্মা নদীর মাঝি'কে " চলচ্চিত্ররুপে এক স্বার্থক রুপদান করেছেন । "পদ্মা নদীর মাঝি" চলচ্চিত্রটি পদ্মাপাড়ের জেলেদের না বলা জীবনের কথাই যেন বলেছে , আর তাকে ফুটিয়ে তুলার দুঃসাহসিক কাজে যেন পরিচালক গৌতম ঘোষ নেমেছিলেন । অভিনেতা-অভিনেএীদেরদের পোষাকে বৈচিত্র্য , চরিত্রের রুপ দান , উপন্যাসের সাথে সাদৃশ্য রেখে দৃশ্যের অবতারণা , পদ্মাপাড়ের বাস্তবতা সবকিছুর যেন এক দারুন ছোঁয়া দিয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ ।

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস " পদ্মা নদীর মাঝি"র যেন এক জীবন্ত দৃশ্যায়ন ফুটিয়ে তুলেছেন " পদ্মা নদীর মাঝি" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালক গৌতম ঘোষ ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.