একটা জিনিস পৃথিবীতে দেখা যায় যে প্রায়শই বড়রা তথা ক্ষমতাবানরা দরিদ্রদের দুর্বলদের গিলে খায়। আগে ব্যাপারটা একেবারে সুজাসুজি ছিল। এখন ব্যাপারটা ঘোরালো প্যচালো। রোমান সাম্রাজ্যের জয়জয়কারের সময়ের ঘঠনা। তখন যেখানেই রোমানরা যাচ্ছে।
যুদ্ধবন্দী হিসাবে ধরে নিয়ে আসে হাজার হাজার মানুষ। আর তাদেরকে কাজে লাগায় খনির অতল অন্ধকারে। নয়তো অমানুষিক পরিশ্রম করায় তাদের দিয়ে। তাদের দিয়ে নিমর্াণ করায় দৈত্যকায় অট্টালিকা। আজকে এই যে প্রাচীন সম্রাটদের এত এত প্রাসাদ যাদুঘর তাতে কত মানুষের রক্ত আর ঘাম মিশে আছে কে তা হিসাব রাখে।
এ উপন্যাসে নায়ক স্পাটর্াকাস ছিলেন গ্রীসের স্পার্টার লোক। তাই তার এই নাম। তবে তাকে ধরে আনা হয়েছিল মিশর থেকে। তার পর গ্লাডিয়েটর হিসাবে তাকে কাজে লাগায় রোমের গ্লোবে। যেখানে আরো অনেকেই।
এই আত্মঘাতী পেশাজীবিদের হাতে বন্দী হয়েছিল। রাজকার্যে নিয়োজিত ধনীদের স্ত্রীরা অবসর সময়ে মানুষে মানুষে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দেখে নিজেরা আমোদ পেত। আর এক সময় বিদ্রোহী হয়ে উঠে স্পাটর্াকাশ। তার পর মুক্ত করতে এগিয়ে যায় সমস্ত দাশ দের। যদিও শেষ রক্ষা তাদের হয়না।
এখানে এ উপন্যাসটা আসলেই অন্যরকম। হাওয়ার্ড ফাষ্টের দৃষ্টিভঙ্গির কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন প্রলিতারিয়েতরা বিদ্রোহ করেছে ঠিক কিন্তু তারা বার বার পরাজিত হয়েছে। এর পর দাশদের কে ক্রুশে চড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তাদের শরীরে। মাসজুড়ে ভয়াবহ গন্ধ ছড়িয়ে দাসদের দেহ জ্বলতে থাকে রোমের আনাচে কানাচে।
স্পার্টাকাস পরাজিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদটা সরাসরি বিদ্ধ করে পাঠক কে। না পড়লে পাঠকদের এই বইটা আমি আজই পড়তে বলি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।