আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাখিরাও ডিভোর্স দেয়!

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

আপনি যদি ধারণা করে থাকেন যে মানুষেরাই শুধু দাম্পত্য কলহ বাধায়, সনত্দান নিয়ে ঝগড়া করে, এক সনত্দানের চেয়ে অন্যটিকে বেশি যত্ন করে কিংবা মতের অমিল হলে ডিভোর্স দিয়ে বসে তাহলে চরম ভুল করবেন! একদল মার্কিন প্রাণী বিজ্ঞানী দীর্ঘদিনের এক ব্যতিক্রমী গবেষণার পর ঘোষণা করেছেন যে, পাখি সমাজেও বিবাহবিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের ঘটনা ঘটে! গতকাল বৃহস্পতিবার এই গবেষণার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞানীরা ফ্রান্সের লা ভালস্না সুর রেবফোর্ট গ্রামের একটি ছোট পর্বতে বসে দীর্ঘ 5 বছর যাবৎ গবেষণা চালান। তারা ফেনিকিউরাস অসরম্নরোচ প্রজাতির পাখির ওপর গবেষণা চালান। তারা লৰ্য করেন, সনত্দান-সন্তুতি এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পুরম্নষ এবং স্ত্রী পাখির মধ্যে নিত্য কলহ বাধছে।

কিংবা এক সনত্দানকে অপর সনত্দানের চেয়ে পিতা পাখিটি বেশি আদর-যত্ন করছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর খুনসুটি লাগছে। মারাত্মক ঝগড়ার পর দুই-এক দিনের জন্য আবার স্বামী এবং স্ত্রী পাখির মধ্যে 'ভালোবাসাবাসি' বন্ধ থাকছে। একজন 'অভিমান' ভাঙ্গাতে গেলে অন্যজন পেছন ফিরে রাগ বুঝাচ্ছে। ঠিক যেমনটি মানব সমাজে ঘটে থাকে।

এক পর্যায়ে দেখা যায় স্বামী কিংবা স্ত্রী প্রিয় সনত্দানটিকে সঙ্গে করে অন্য কোন দলের মধ্যে কিংবা ভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংসার পাতছে ভিন্ন কোন স্ত্রী পাখির সঙ্গে। গবেষক দলের প্রধান ড্রাগানু টিউডর বলেন, পাখির এই বৈশিষ্ট্য সব প্রজাতির মধ্যে কমবেশি বিদ্যমান। ডিসকভারি নিউজে বলা হয়েছে, স্বামী এবং স্ত্রী পাখির মধ্যে কে বেশি কাজ করছে কিংবা কে শুধু বসে বসে খাচ্ছে এসব বিষয় নিয়েও তুমুল ঝগড়া বাধে! কখনো কখনো এই ঝগড়া ডিভোর্স পর্যনত্দ গড়ায়। গবেষকরা বলেন, ইতিপূর্বে আরো এক ডজন পাখির ওপর গবেষণা করে মানব সমাজের কিছু বৈশিষ্ট্য এদের মধ্যে পাওয়া গেছে। **ইত্তেফাক **



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.