আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলি্লশোধর্্ব বয়সে এসে বেশিরভাগ নারীই নিজেদের শরীরকে আকর্ষণীয় মনে করেন না

আমার চিন্তা, আমার চেতনা, আমার অভিজ্ঞতা

[কেবল মাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য, একান্তই নিজস্ব ভাবনা সম্বলীত; বিশেষ কোন শ্রেনী বা কাউকে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়] পুরুষ শাসিত আমাদের এই সমাজে আমরা অনেকেই মেয়েদের অনেক সময় অবজ্ঞা করে বলে থাকি "কুড়িতে বুড়ি"। বিষয়টা কখনো গভীরভাবে চিন্তা করিনি। প্রায় ত্রিশের কোঠায় পা বাড়ানো, অবিবাহিত এই আমি যখন wewewm মারফত একটি দুঃসংবাদ শুনলাম তখন আমার হবু ইয়ের সম্পর্কে যেন একটু নেড় চেড়েই বসলাম(খাইয়ালামু)। আহ! তাকে নিয়ে কতইনা মিষ্টি মধুর স্বপ্ন দেখি, যদিও কর্মব্যস্ততার দোহাই দিয়ে বন্ধু, সহকমর্ী ও আত্মীয়দের সামনে (বাইরে বাইরে) বিষয়টাকে গায়ে না নেয়ার ভাব ধরি। এখন যেন ভাবতেই শরীর অবশ হওয়ার উপক্রম! আমার হবু ইয়ে চলি্লশ পেড়োলেই তার নিজের শরীরের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে! সে আর আমাকে আমার আহবানে সে সময়ে সেভাবে সাড়া দিবে না।

সেভাবে ভালোবাসবে না! জানি, মনোবিজ্ঞানীরা আমাকে যথেষ্ট সাহস দিবে, যথেষ্ট উহাহরণ ও বাস্তব যুক্তিও এখানে আমার পক্ষে। তারপরও কেমন যেন নিজেকে নিয়ে দুঃচিন্তা লাগছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা যায়, চলি্লশোধর্্ব বয়সে এসে বেশিরভাগ নারীই নিজেদের শরীরকে আকর্ষণীয় মনে করেন না। অনেকে আবার নিজের শরীরকে ঘৃণাও করেন। খাবারের মেনু্যতে পরিবর্তন, ডায়েট কণ্ট্রোল বা প্ল্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে শরীরের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।

সমীক্ষাতে দেখা যায়, নিজের শরীরের প্রতি আস্থা না থাকায় গত বছর 70 শতাংশ নারী ডায়েট কণ্ট্রোলের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছেন। 58 শতাংশ তাদের খাবারের তালিকায় পরিবর্তন এনেছেন। সমীক্ষাটি চালায় ব্রিটিশ ম্যাগাজিন টপ সান্তি। প্রায় 2 হাজার নারীর ওপর চালানো এ সমীক্ষায় দেখা যায়, অধিকাংশ নারীই এ বয়েসে তাদের শরীর নিয়ে খুশি নন। অপর এক হিসাবে 2005 সালে 19 হাজার 601 জন নারী প্ল্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে তাদের শরীরের সৌন্দর্য আনার চেষ্টা করেছেন যেখানে 2004 সালে এর সংখ্যা ছিল 15 হাজার 019 জন।

যেখানে স্থাস্থ্য সচেতন ও উন্নত বিশ্বে নারীদের অবস্থা এই, সেখানে আমাদের দেশের নারীদের অবস্থা বলার আর কিইবা থাকতে পারে যদিও পারিবারিক বন্ধনে আমাদের তুলনা নাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।