একবার আমার কিছু রিলেটিভের সাথে আজমীর শরীফ গিয়েছিলাম। এক খাদেমের বাসায় আমাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা ছিলো। খাদেম আমাদের অভ্যতনা জানালেন। খাওয়া এবং বিশ্রামের পর তিনি তার অফিসে আমাদের ডেকে পাঠালেন। সবাই উপস্থিত হলে তিনি সবার পাসপোটগুলো সংগ্রহ করেন এবং নিজের কাছে রেখে দেন।
এবার তিনি বয়ান শুরু করেন: আপনারা যেহেতু নতুন এসেছেন তাই আপনাদের গিলাব দতে হবে। (মাঝারগুলোতে কবরের উপর যে চাকচিক্যময় কাপড়টা দেয়া হয় )। আপনারা যত বেশী দামের পারেন দিতে পারেন। আপনারা টাকা দিলে আমি সেটা কেনার ব্যবস্থা করবো। এরপর আমার রিলেটিভরা সবাই মিলে এক হাজার রুপি দিলে খাদেম ক্ষেপে যান।
খাঁজা বাবার ঘরে এক হাজার রুপি কেন দশ হাজার পনের হাজার দেন। মনবাসনা পূণ হবে। এবার সবাই কো অপারেট করে পাঁচ হাজার দিল খাদেম কে। এরপর খাদেম জিয়ারতের জন্য লোকজন যে টাকাগুলো দিয়েছে সেগুলো চাইলেন। সবারই কেউ না কেউ নিয়ত করে জিয়ারতের জন্য টাকা দিয়েছিলেন ।
সেগুলো জমে আরো তিন হাজার টাকা। এবার আজমীর শরীফের ডেক (বড় একটা ডেকচি) এ ফালানো জন্য যে টাকা আনা হয়েছে সেগুলো চাইলেন খাদেম। আরো এক হাজার টাকা বের হলো। বিকালে তিনি আমাদের কবরে গিলাব দেওয়ার জন্য নিয়ে গেলেন। তার একজন সহযোগী একটা বড় চাকচিক্যময় কাপড় এবং সাথে এক থালা গোলাপের পাপড়ি নিয়ে পাশে হাজির।
এরপর অনেক কিছুই করলেন খাদেম যার কিছুই বুঝলাম না। খাদেম সব শেষ করে চলে যাওয়ার পর দেখলাম তার সহযোগী কাপড়টা নিয়ে যাচ্ছে যেটা কবরের উপর থাকার কথা। ভেতরে কিছু দোকান পাট আছে যেখানে ফুল বিক্রি হয়। সেরকম এক দোকানে খাদেমের সহযোগিকে কাপড়টা ফেরত দিতে দেখলাম। বুঝলাম এটা নতুন কেনা হয়নি ভাড়া নেয়া হয়েছে।
খাদেম নামী এই লোকটি কতগুলো টাকা হাতিয়ে নিল এই অন্ধবিশ্বাসী সরল আমার রিলেটিভদের কাছ থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।