আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি আমাকেই খুঁজছি।



পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা লোকটি নাকি বলেছিলেন নিজেকে চেনাই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ!! আর এই কঠিন কাজটি করতে যাচ্ছি আমি। আমার শুভাকাঙ্খী সমালোচক বন্ধুরাই এ ব্যাপারে আমার প্রধান শক্তি। ইস ভাবি তাদের দলটা যদি আর একটু বর হত। যাহোক, এমনি আমার এক সমালোচক বন্ধু আমার সম্পর্কে মন্তব্য করল আমি বড্ড রণশীল বেকডেটেড। কারণ আমি নারী-পুরুষ এক নয় এমনকি তাদের অধিকার ও কর্তব্যও এক নয় বলে বিশা্বষ করি, আমি আরও বলেছি আমি কউকেই লেস ইম্পর্ট্যান্ট মনে করি না।

একটা ল্যাংড়া হলে অন্যটা ফজলি অথবা বাবা প্রসেসর হলে, মা মাদারবোর্ড। অর্থাৎ আম দুটোই টেষ্টি কিন্তু দুটোর টেষ্ট দুই রকমের ঠিক তেমনি কমপিউটার সিষ্টেম যেকোন একটি ছাড়া অচল। আমরা চোখের সামনে দেখছি নারী-পুরুষের কত ব্যাবধান কি শারিরিক কি মানসিক। একথা আমার প্রগতিশীল বন্ধু কি কওে অস্বীকার কওে তা আমার বোধগোম্য নয়। কিন্তু তার কাছে আমি এক খাঁটি কট্টর রণশীল এ ব্যাপারে তার কোন সন্দেহ নাই।

আমার আর এক বন্ধু আমাকে বলেছিল- তোর সাথে চললে আমার ঈমান-আমল থাকার সম্ভাবনা নাই। তুই ঐ প্রগতিশীলদের দলে। ব্যাপারটা হয়েছিল রোজার মাসে আমরা আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে আলোচনা করছি। এক পর্যায়ে আমার ধার্মিক বন্ধুটি খেজু দিয়ে ইফতার শুরু করা সুন্নাত বলে মন্তব্য করে। আমি তো একদম বেঁকে বসি কেন খেজুর দিয়েই শুরু করতে হবে কেন? রাসুল খেজুর খেয়ে ছিলেন কেননা খেজুর আরবের সব জায়গায় পাওয়া যেত, খেজুরই ছিল তাদের প্রিন্সিপাল ফুড।

আমাদের দেশে খেজুর উৎপাদন হয় না। তাহলে আমরা কেন পয়সা খরচ করে আরব থেকে খেজুর এনে খাব একে ত আমরা গরিব আর এ দরনের ব্যাপারগুলো আমাদেও আরও গরিব বানাচ্ছে। আমি সোজা বলেছি রাসূল খেজুর খাননি। তিনি তার প্রিন্সিপাল ফুড খেয়েছেন। সুতরাং, আমরা আমাদের প্রিন্সিপাল ফুড চালের তৈরী আইটেমগুলো দিয়ে ইফতার শুরু করলে তা সুন্নাত হতে বাধ্য।

কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমার বন্ধুটি আমার কথা শুনে এমন ভাব করল,যেন সে পৃথিবীর 3য় পারমানবিক বোমা বিষ্ফোরনের শব্দ শুনতে পেয়েছে। বন্ধুটি তখন হয়ত আমাকে কাফির বা ধর্মের শত্রু জাতীয় কিছু একটা ভাবছিল। আবার আমার প্রগতিশীল বন্ধুদের কাছে আমি ধর্মান্ধ, কেননা আমি ধর্ম-নিরপেতায় বিশ্বাষ করি না। আমি বলি আমার কাছে আমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ তাই আমি মুসলমান হোকনা তোমার কাছে তোমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ। যার যার ধর্ম তার তার কাছে যার যার ভাষা তার তার দেশ এ আমার সোজা কথা।

যদি সকল ধর্মই সমান বলে আমি মেনে নিই তাহলে তো আমাকে মসজিদে নামাজ পড়ার পাশাপাশি মন্দিওে পূজা ও গির্যায় প্রার্থনা করা উচিৎ, একজন মুসলমান হিসেবে তা আমি কিছুতেই পারি না। গান্দীজীর একটা কথা ছিল অনেকটা এরকম্ততুমি খৃষ্টান ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাইলে খৃষ্টানের কাছ থেকেই জান আর যদি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাও তাহলে একজন হিন্দুর কাছ থেকেই জানা উচিৎ। আমি এই কথাটা শতভাগ মানি। শিবিরের কর্মকান্ড আমি যদি ছাত্রলীগের কাছথেকে জানতে চাই তাহলে কি শুনতে পাব? ভাবুন একবার। এর উল্টোটাতেও একই কথা।

যাহোক, শিবির এবং এদের কর্মকান্ড সম্পর্কে আমার জানার আগ্রহের সুযোগ নিয়ে এক শিবির কমর্ী আমার পেছনে ঘুর ঘুর করত আমাকে তাদের দলের মেম্বার বানানোর আশায়। ছাত্র শিবিরকে আমি ছত্র লীগ বা দলের চেয়ে একটু ভিন্ন মনে করি তাদের ভেতরের সুশৃঙ্খল কাঠামো, কমর্ীকে দ হিসেবে গড়ে তোলা এবং চেইন অফ কমান্ডের জন্য। সেই কমর্ীও যথেষ্ট ভদ্র এবং তার বক্তব্য ছিল যুক্তি পূর্ণ। মজার ব্যাপার হল আমি যখন স্রষ্টা, সৃষ্টি এবং ধর্ম নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত অথচ যৌক্তিক ধারনাগুলো তার কাছে উপস্থাপন করলাম তখন তার অবস্থা অনেকটা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি ধরনের। এবার ফলাফল ঘোষনার পালা্ত 1. আমি ব্যাকডেটেড রক্ষনশীল, 2. আমি কাফির বা ধর্মের শত্রু, 3. আমি ধর্মান্ধ রাজাকার, 4. আমি প্রগতিশীল মুক্তচিন্তর দলের এবার প্লস মাইনাস কাটা কাটি করুন ।

আউট পুট শূণ্য। আমি জানি এসব বন্ধুদের মত আমার সাথে আপনাদেরও অনেক দ্বিমত থাকবে। ব্ল্লগ বন্ধুরা আমার এসব বন্ধুরা আমার সমালোচনা করে আমাকে খোজার ইসু তৈরী কওে দিয়েছে। আপনারাও আমার বেশি বেশি সমালোচনা করুন, মন্তব্য দিন। কেননা----------------- আমি আমাকেই খুঁজছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.