আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলি-2

মুক্ত মনের মানুষের জন্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে পা রেিেছলাম খুব সম্ভবত 1 জুলাই (তারিখটা 8 জুলাইও হতে পারে) 2000ইং। সেদিন জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতাটাই মনে হয় আমার এ ক্যাম্পাসে হয়েছিল। মহসীন হলের মাঠে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম দুটি তরতাজা লাশ। ক্যাম্পাস দখল দারিত্বের রাজ্য কায়েম করতে, নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসেরই দুটি অঞ্চলের দুটি গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছিল এ দুজন। তবে এদের কেউই ছাত্র ছিলনা।

এরা ছিল টোকাই মাস্তান কিংবা ভাল করে বললে বলা যায় অস্ত্রধারী ক্যাডার। এরা টাকার বিনিময়ে যে কারো পক্ষ হয়ে যে কারো বিপক্ষে লড়াইয়ে নেমে পড়তে পারে অস্ত্র নিয়ে। জীবনের পরোয়া এরা করেনা। খুব সম্ভবত এরাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত কিছু নেতার তত্বাবধানে ছিনতাই, রাহাজানি সহ বিভিন্ন অপরাধ করে থাকে। পুলিশ এসে লাশ দুটি নিয়ে চলে গেল।

এতে আমি অবাক হলাম না। আমি অবাক হলাম অন্য কারনে। এতকিছুর পরেও এ অস্বাভাবিক পরিবেশটাকে আমার স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। এটাই ছিল অস্বাভাবিক। সবাই যার যার মত ক্লাসে যাচ্ছে, কেউ এখানে সেখানে বসে ডেটিং করছে, কেউ দেদারছে আড্ডা দিচ্ছে।

কিছুক্ষন আগে যে এখানে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে সে বিষয়ে কারো কোন খেয়ালই যেন নেই। এক সময় আমিও মিশে গেলাম এসব মানুষের ভিড়ে। ডিপার্টমেন্টে গেলাম। কিন্তু ক্লাস না হওয়াতে ফিরে এলাম। (উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা বিন্দুমাত্র অজুহাত পেলেই ক্লাস স্থগিত করতে তৎপর হয়ে উঠেন।

হয়তো সেদিনের ক্লাসটাও এসব শিক্ষকদের কারনেই.....)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.