আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের 18টি ছিটমহলের 50 হাজার মানুষ অবরুদ্ধ



ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থিত বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার 18টি ছিটমহলের 50 হাজার মানুষের গতকাল রবিবার পর্যনত্দ অবরুদ্ধ জীবনের অবসান হয়নি। সীমানত্দে উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের জন্য গত শনিবার রাতে বিএসএফ 20 থেকে 25 রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুঁড়েছে। বিএসএফ গত 8 দিন ধরে ওইসব ছিটমহলে কাউকে ঢুকতে বা বেড়াতে যেতে দিচ্ছে না। বিডিআর এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য বিএসএফকে কয়েকদফা চিঠি দিলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে গত শনিবার বিডিআর আরেক দফা পতাকা বৈঠকের প্রসত্দাব দিলেও বিএসএফ তাতেও সাড়া দেয়নি।

ফলে ছিটমহলবাসীর জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। বিডিআর জানায়, নলডাকআত বিডিআর বিওপিরও একটি দল শনিবার দুপুর 1টায় 996 নম্বর আনত্দর্জাতিক পিলারের কাছে গিয়ে পতাকা বৈঠকের প্রসত্দাব সম্বলিত একটি চিঠি নয়ারহাট বিএসএফ বিওপিতে পাঠায়। বিএসএফ চিঠিটি গ্রহণ করলেও কোন জবাব দেয়নি। এরপর দুপুরে শালঝোড় বিডিআর বিওপির একটি দল 992 নম্বর আনত্দর্জাতিক পিলারের কাছে ভারতের বালাপুত বিওপির বিএসএফদের কথা বলার জন্য ডাকলেও তাতে সাড়া দেয়নি তারা।

এদিকে সীমানত্দবাসী জানান, ছিটমহলগুলোতে মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। বিএসএফ'র বৈরী আচরণের কারণে সীমানত্দ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ছাটতিলাইসহ অন্যান্য ছিটমহলের বাসিন্দারা সংকোচ ও কালজানী নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছে না বিএসএফ-এর হুমকির কারণে। অথচ মাছ বিক্রি করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। যার ফলে ঘরে-ঘরে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।

ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত শিব প্রসাদ, মোসত্দাফি, করলা, উত্তর ধলডাঙ্গা, উত্তর বাঁশজানী, উত্তর মশালডাঙ্গা, কচুয়া, পশ্চিম মশালডাঙ্গা, বাকালির ছড়া, মধ্য বাকালির ছড়া, পশ্চিম বাকালির ছড়া, পোয়াতুর কুঠিসহ বাংলাদেশের 18টি ছিটমহলের মানুষ কাজ ও খাদ্য সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা যেতে পারছে না স্কুলে। হাটবাজারে যাতায়াতও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বিডিআর 27 রাইফেল ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিএসএফ অজ্ঞাত কারণে অসহযোগিতামূলক আচরণ করছে। তারপরও পতাকা বৈঠকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সার্বিক অবস্থা উধর্্বতন কতর্ৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উলেস্নখ্য, গত 2 জুলাই ছিটমহলের অধিবাসীরা মাছ বিক্রির জন্য নয়ারহাট যাবার পথে বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা টাকা ছাড়াই মাছ নিতে চাইলে তারা অস্বীকৃতি জানান। এতে বিএসএফ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে ভারতে অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। পরে ছিটমহলের জয়নাল, আবেদ, গোলজার কৌশলে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের দিয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের বিডিআরকে বিষয়টি জানালে গত 3 জুলাই পতাকা বৈঠকের প্রসত্দাব দিয়ে স্থানীয় নয়ারহাট বিএসএফকে পত্র প্রেরণ করে। ঃঃ দৈনিক ইত্তেফাক ঃ 11.07.2006 ঃঃ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.