আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আড্ডাবাজের প্রশ্নের জবাবে



আসসালামু আলাইকুম। আমি দু:খ পেয়েছি দেখে যে আমি প্রতিবাদ করে যে পোস্ট দিয়েছিলাম, আপনারা তার ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমি কাউকে আক্রমণ করে পোস্ট করিনি। যখন জনাব ফজলে এলাহি ও ত্রিভুজকে সেরা ব্লগার করা হয় তখন একজন ব্লগার মন্তব্য করেছিলেন যে ব্লগে পাকিস্তানের পতাকা উড়তেছে। ফজলে এলাহি ও ত্রিভুজ ইসলামের ঝান্ডা ধরে আছেন।

সেজন্য এটা তাদেরকে অসম্মান করে বলা হয়েছে। আমি তার প্রতিবাদে বলেছি পাকিস্তানের পতাকা ইসলামের পতাকা, একে অসম্মানের কিছু নাই। আপনারা আমার কথা নিয়া বাদানুবাদ করতেছেন কিন্তু সত্য কথাটা মেনে নিতে পারছেন না। তবে যারা ইসলামকে এই ব্লগে সমুন্নত রাখছেন তারা যাতে বিব্রতবোধ না করেন সেজন্য আমি জনাব আড্ডাবাজের প্রশ্নের উত্তরগুলো দেব। আল্লাহ আপনাদেরকে মাথা ঠান্ডা করে উত্তর পড়ার তৌফিক দিন।

(1) প্র: পাকিস্তানের পতাকা কি ইসলামী পতাকা? উ: এ কথা আমি আগে বলেছি। আপনারা যদি ইসলাম সম্পর্কে কোনো খোঁজ না রাখেন তাহলে কি করে হবে। পাকিসত্দান রাষ্ট্র ইসলাম ধর্মের নামে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ভারত শত্রুতা করে এটি ভাঙতে সক্ষম হলেও আল্লাহর রহমতে আজ বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলামকেই জাতীয় ধর্ম হিসাবে কায়েম করা হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত সবুজ জমিন আর সাদা চাঁদতারার পতাকাই পৃথিবীতে উড়েছে।

এটা ইসলামের চিহ্ন। পাকিস্তানের নিশানে শুধু বামদিকে বাড়তি সাদা অংশ যোগ করা হয়েছে। (2) প্র: পাকিস্তানী পতাকা কি বাংলাদেশের পতাকার বিকল্প হিসেবে উড়তে পারে? উ: আপনার জনাব আদেলের ছাদে এরকম পতাকা উড়ানোতে মামলা পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু ইসলামের প্রতি মানুষের ভালাবাসা মামলা দিয়ে কমানো যাবে না। অনেকেই মনের খুশিতে পাকিসত্দানের পতাকা না হলেও সাদা অংশ বাদ দিয়ে সবুজের মধ্যে চাঁদতারা পতাকা উড়াতে পারেন।

ক্রিকেট খেলায় পাকিসত্দান জয়ী হলে অনেকে পাকিস্তানী পতাকা নিয়া ফূর্তি করেন। তবে আপনারা খেয়াল না করলেও আমরা জানি যে অসংখ্য পীর-ফকিরের মাজারের উপরে চাঁদ-তারা পতাকা উড়ে। এই পতাকা বাংলাদেশের পতাকার বিকল্প না হলেও এর পাশাপাশি সম্মানের সাথে উড়তে পারে। বাংলাদেশের পতাকার পাশে যদি জাতিসংঘের পতাকা উড়তে পারে। হোটেলগুলোতে যদি সব দেশের পতাকা উড়তে পারে তবে ইসলামের নিশান উড়লে আপনারা খারাপ চোখে দেখেন কেন? যারা ভারতের দালাল তাদের কথা আলাদা।

(3) প্র: "আমি পাকিস্তান ভালবাসি" বলে শ্লোগান বাংলাদেশের মাটিতে বসে কি দেয়া যাবে? উ: শ্লোগান বসে দিতে কাউকে দেখি নাই। দাঁড়ায়ে দেয়। মাটি আল্লাহর। আল্লাহর ধর্ম ইসলামে কোনো দেশ নাই। পুরা দুনিয়া একটাই দেশ।

এর মধ্যে একেক অংশকে একেকজন ভালবাসতেই পারে। আলস্নাহর নবী তার জন্মস্থান মক্কাকে বেশি ভালবাসতেন। কোনো স্থানকে ভালবাসা অনৈসলামিক কিছু না। আর ভালবাসলে তার প্রকাশ করতে শ্লোগান দেয়াও যেতে পারে। (4) প্র: পাকিস্তানের প্রতি জামাত-শিবিরের আনুগত্য এখনও কি অক্ষুন্ন? উ: আপনি আমাকে জামায়াতের লোক ভাবছেন।

এটা ঠিক না। জামায়াত পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানের বহু ক্ষতি করেছে। গণতান্ত্রিক আচরণ না করার জন্য, আলবদর, আল-শামস বানাইয়া সশস্ত্র সংগ্রামের প্র্যাকটিস করতে গিয়া তারা এইদেশে যে গুনাহগারি করেছে সেজন্য অনেক মানুষ এখনও ইসলাম ও পাকিস্তানের প্রতি বিরূপ ধারণা নিয়া আছে। তারা মওদুদী ও তার মতবাদের প্রতি অনুগত থাকতে পারে, সত্যিকার ইসলাম ও পাকিসত্দানের মূল আদর্শের প্রতি তাদের আনুগত্য কখনও ছিল না। (5) প্র: ইসলামকে ভালবাসা ও দেশকে ভালবাসা কি আলাদা? উ: মাতৃভূমিকে ভালবাসা নিয়া এই সাইটের সম্মানিত ব্লগার ওয়ালী'র একটি লেখা আছে।

সেটি পাঠ করলে আপনারা এই বিষয়ে ইসলামের ধারণা পাবেন। তবে ইসলামের প্রতি ভালবাসাকে দেশের ভালবাসার পর্যায়ে নামাইয়া আপনারা যে প্রশ্ন করলেন তাতে ইসলামকেই অমর্যাদা করলেন। ইসলামকে ভালবাসা অনেক বড় বিষয়। এটা আল্লাহর মনোনীত দ্বীনি ব্যবস্থা। দেশ অনেক পরের বিষয়।

(6) প্র: কীব্রিয়্যাহ সাহেবের এই কাজটির নিন্দা জানানো উচিত কি না? উ: নিন্দার নর্দমা ভাসায়া দিয়া আবার একই প্রশ্ন করার কোনো অর্থ দেখি না। এইরকম অযৌক্তিক কাজের জন্য আল্লাহ-প্রদত্ত মস্তিষ্ক ব্যবহার না করিয়া ইসলামের কাজে ব্যবহার করুন। সমগ্র মানবজাতি উপকৃত হবে। আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।