আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোবাইল ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এ ফ্রিলান্সিং এর টাকা তোলার কিছু সীমাবদ্ধতা

আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি একটি পোস্ট এ লিখেছিলাম: একজন সাধারণ ফ্রিল্যান্সারের মোবাইল ব্যাংক এ ডলার তোলা ও ফ্রিলান্সিং এর টাকা না খোয়া যাওয়ার পদ্ধতি । আজকে আমি যা ঘটেছে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব । আমি বহুবার মানিবুকারস থেকে উইথড্র দিয়েছি আর কোনও ভেজাল ছাড়াই টাকা পেয়েছি ।
গত ২৫ আগস্ট ইল্যান্স থেকে সরাসরি মোবাইল ব্যাংক এ উইথড্র দেই ।

কাঙ্ক্ষিত সময় পার হওয়ার পর টাকা না পাওয়ায় ইল্যান্স এর সাথে যোগাযোগ করি । তারা একটি tracer file লগ করে । আমাকে একটা swift receipt ও দেয় । আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক এর রেমিটান্স বিভাগে ইমেইল এ যোগাযোগ করি । তারা জানায় যে রেমিটান্স USA citi bank থেকে বাংলাদেশ city bank এ পাঠানো হয়েছে ।

বাংলাদেশ city bank এখনো তাদের ব্যাংক এ কোনও ফান্ড দেয় নাই । এ জন্যে তারা city bank এর সাথে যোগাযোগ করেছে এবং আমাকে update জানাতে চেয়েছে যে ফান্ড এখন কোথায় অবস্থিত । ওদিকে ইল্যান্স বলেছে যদি টাকা আমার অ্যাকাউন্ট এ যোগ না হয় তাহলে তারা ফান্ড রিকল করবে এবং আমার ফাইনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট এ ক্রেডিট করে দিবে । ৭-৮ দিন হয়ে গেল কিন্তু ডাচ বাংলা ব্যাংক কোনও আপডেট না দেওয়ায় আবার ইমেইল এ রিপ্লাই দিয়ে জানতে চাইলাম । সন্ধ্যাবেলা ব্যাংক থেকে ফোন করে জানাল যে আমি মানিবুকারস থেকে যা উইথড্র দিচ্ছি তা খুব তারাতারি পাচ্ছি ।

এমনকি এইতো দুই তিন আগেও পাইলাম । মানিবুকারস তাদের ব্যাংক এ সরাসরি টাকা জমা দেয় কিন্তু ইল্যান্স দেয় না, চেক পাঠায় যা আসতে দেরি হয় । আর যা বোজাতে চাইলো city bank এর মাদ্ধমে টাকা আসলে দেরি হয় । কিছু সমস্যা আছে । এর আগেও নাকি কয়েকজন গ্রাহকের একরকম হয়েছে ।

তাই পরামর্শ দিলেন যাতে আগামীতে যেন আর ইল্যান্স থেকে টাকা উত্তোলন না করি, এতে সময় ও কষ্ট পোহাতে হতে পারে ।
রেমিটান্স গুলো বাংলাদেশ ব্যাংক এর সফটওয়ার এর মাদ্ধমে প্রবেশ করে ও সম্পন্ন হয় । মোবাইল এর জন্যে শুধুমাত্র ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল রেমিটান্স বিভাগে বিশেষ সফটওয়ার আছে কিন্তু খুলনায় কোনও সফটওয়ার নাই । আমার প্রোফাইল বা ব্যাংক এর ঠিকানায় খুলনার কোনও চিহ্ন নাই কিন্তু USA city bank ফান্ডটা খুলনায় পাঠাইছে । এজন্যে খুলনা শাখা রেমিটান্স গ্রহণ করে নাই বা নিয়ে ঢাকায় পাঠায় নাই, উলটা দোষ দিচ্ছে city bank এর উচিত ছিল ঢাকা ব্রাঞ্চ এ পাঠানো বা যোগাযোগ করার ।

তাহলে নাকি আর সমস্যা হত না । এখন ফান্ডটি ফেরত চলে গেছে । খুব তারাতারি প্রেরণকারী ব্যাংক এ চলে যাবে । আমাকে বলা হল যদি আমার অ্যাকাউন্ট তা মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না হয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হত তাহলে নাকি খুলনাতেই আমার রেমিটান্স গ্রহণ ও অ্যাকাউন্ট ক্রেডিট হত । এ জন্যে আমাকে একটা স্টুডেন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দেওয়া হল ।

এখন যারা ডাচ বাংলা ব্যাংক এর সাধারণ অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করে ফ্রিলান্সিং এর টাকা আনছেন তাদের অভিজ্ঞতা নিতে চাই । আপনারা সরাসরি ইল্যান্স বা ওডেস্ক থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক এ টাকা তুলতে কি রকম বোধ করছেন একটু দয়া করে জানাবেন যাতে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি কোন ব্যাংক এ অ্যাকাউন্ট খুলব ।
তবে এটুকু বুজতে পারছি ডাচ বাংলার বাইরের দেশে তেমন ব্যাংক নাই, কারন এর আগে মানিবুকারস থেকে ভেরিফিকেশন কোড আসছিল তাতে দেখলাম টাকা টা Standard Chartered Bank এর মাদ্ধমে আসছে । বলেন তো ভাই এ কি অবস্থা খিদায় শুকায় পেতের চামরা আর আমাগো টাকা লইয়া ঘুরতাছে ব্যাংকার মামারা । কি এমন দোষ ছিল যে টাকা টা দেশে এসে আবার ফিরে গেলো ।

এখন রিপোর্ট দিছি আর যোগাযোগ শুরু করে দিছে, আমারেও ফোন দেয়! কেন আগে যোগাযোগ করে নিলে ভালো হত না ?
তবে সত্যি করে বলছি ডাচ বাংলা আমার সাথে অনেক ভালো ব্যাবহার করেছে। ব্যাংকে গেলে ভেরিফিকেশন কোড দিছে, নানাভাবে হেল্প করেছে । ওদের গ্রাহক সেবা খুব ভালো ।
আমি শামীম, ফেসবুক শামীম, গুগল প্লাস

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/     দেখা হয়েছে ২৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.