আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেবল কাদের মোল্লাই নিরিহ!!! জামাত-শিবিরের "সাহাবী জীবন" অনুকরণের নমুনা!!

সত্য পথের অনুসন্ধানি

গরীবের জন্য আমরা কলমের কালি খরচ করি কম। আমাদের গা শিউরে উঠে না ড্রাবাইবার নজরুল ইসলামের ঋণের টাকায় কিনা ইসুজু গাড়িতে দগ্ধ হওয়ার কথা শুনে। আসিফ নজরুল- পিয়াস করিমরা ভুলেও এই খবরে চোখ বুলাবে না। তাহাদের এই সময়ের লাভ জনক বিষয় ছাত্রলীগের কু-কীর্তি। সাংবাদিক মাহফুজুল্লা এই হত্যার যৌক্তিকতার ব্যাকগ্রাউন্ড তুলে ধরবে টক-শোর মাগনা কফিতে চুমুক দিয়ে।

কেউ কেউ বিশ্বজিৎ হত্যার পাল্টা রেফারেন্স দিয়ে এদের কাবাব হয়ে যাওয়া পেশীতে বাগাবাড়ির 1নং ঘি ঢালবে। আমরা 11 বছরের মেয়ে আয়েশা আর 6 বছরের ছেলে বিজয়ের কথা বলেও রক্ষা না পাওয়া সিকান্দরের জন্য দু চোখের জল ফেলি না। বগুড়ার শামশুলের বেঁচে থাকার শেষ আকুতিও আমাদেরকে ভারাক্রান্ত করে না। কেবল কাদের মোল্লাই নিরিহ!!! তার জন্য হরতাল হয়, মানুষ পুড়ে আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি, গা বাঁচাই-পিঠ বাচাই। হায়েনাদের দোসর ধর্ম ফেরি করা সংগঠন নিয়ে আমাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফর উল্লাহরা আর কোন কথা বলবে না।

সাহবাীদের মতো জীবন গড়ার জন্য নাকি এই সংঠন শিক্ষা দেয়। শিক্ষার এই কি নমুনা? হাতে গান পাউডার-ইট-পেট্রলো? এই সংগঠনের দোসর ভদ্র চেহারার মীর্জাবাড়ির ফখরুলরা চুপ থাকবে। সামান্য নিন্দাও জানাবে না। ভোট কমার ভয়ে কোমা্য় থাকে আমাদের নেতাটি। মখারা আস্ফালন করে যাবে “দুস্কৃতিকারীদের অবশ্যই ধরা হবে” এই আপ্ত বাক্যের চর্চা করে।

অথবা সারাবান তহুরার গন্ধে মাতাল থাকবে। ইসলামী সংগঠনের এহেন কু-কীর্তিতে বড় আল্লামারা চুপ থাকবে। শত্রুর শত্রুতো বন্ধুই। বন্ধুর দুর্ণাম কি আর করা যায়!! পরিবহন শ্রমিক সংগঠন গুলা তাদের বেতন ভাতার দাবীতে উত্তাল করে ফেলে। আর 3 জন ড্রাইবারের একই সাথে মৃত্তর জন্য নূন্যতম কর্মসুচী দেয় না।

বার্ণ ইউনিটের সামনে এদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে সংগঠনের কারো দেখা মেলে না। আমরা রাজা-রাণী রাজপুত্রদের নিয়ে গল্প ফাঁদি আর মজার মজার মন্তব্য পেয়ে প্রীত হই। রূপ কথার শুয়ো রাণী দুয়ো রাণীর রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এ সব খেটে খাওয়া মানুষের জন্য আমাদের কোন “লং-মার্চ” নেই । 36 লাখ পোশাক শ্রমিকের রাজধানী কেন্দ্রিক নগদ দাবীকে আমরা উপেক্ষা করে হেঁটে যাবো হিরণ পয়েন্ট।

আমি নিজেও এই লিখাটা লিখে ফিরে যাবো নিজের উপার্জনে। বিকেলে নিয়ে যাবো দু-একটা জাম্বুরা অথবা আমড়া। কিন্তু নজরুল, সিকান্দর আর শামশুলের পরিবার আর কখনো দেখবে না তাদের কর্তার হাতে কোন ফলফলারের প্যাকেট। জানি মৃত্যু সবারই হবে কিন্তু এমন অন্যায়ের মৃত্যু বেঁচে থাকা মানুষ গুলোকে কি একটুও নাড়াবে না? নজরুলের মেয়ে হায়াতুন্নেসার জন্য কিছু করার নেই “শ্রমিকের জান” খ্যাত নেতার!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।