আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭১-এর অপরাধের বিচার কি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক আক্রোশ?

আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব

একটা কথা অসংখ্যবার বলেছি বিভিন্ন যায়গায় তারপরেও বার বার সেই একই প্রশ্নের সামনে ছাগুরা ফেলে দেয়। সাঈদী, কাদের মোল্লা, মুজাহিদ, গোলাম,সাকা, আলীম, নিজামী গংদের বিরুদ্ধে রাজাকারির অভিযোগ আজকের নয় একেবারেই। আওয়ামীলীগ হঠাৎ করে এদের আবিষ্কার করেনি। ১৯৮১ সালে কাজী নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল একটি দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং এদের বিচার দাবী করেন সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিয়ার কাছে।

জিয়া অবস্থা বেগতিক দেখে কাজী নুরুজ্জামান এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাথে বৈঠকে বসে। জিয়া এরপর তার মন্ত্রী মাজেদুল হককে এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেয় এবং সে সময় কিন্তু উল্লেখিত ঐসব রাজাকারদের বিচারের বিষয়টি তীব্র ভাবে সামনে আসে। জিয়ার মৃত্যুর পর বিষয়টি হঠাৎ থেমে যায়। জিয়ার মৃত্যুর পর এরশাদের আমলে সময়ে সময়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে এই উল্লেখিত ব্যাক্তিদের বিচারের ব্যাপারটি আবার সামনে আসে এবং ১৯৮৭ সালে মাসিক নিপুন পত্রিকার অগাস্ট সংখ্যায় সাঈদীর অপকর্মের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়। মনে রাখতে হবে যে, তখনও কিন্তু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যায়নি।

এরপর ১৯৯২ সালে শহীদ জননীর নেতৃত্বে আন্দোলনে এই অপরাধীদের বিচার নিয়ে যে গণ আন্দোলন হয়েছে সেটি আপনারা সবাই জানেন। ১৯৯৩ সালে এই অপরাধীদের বিচারের জন্য গন তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। মনে রাখতে হবে যে, তখনও কিন্তু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যায়নি। এটি রাজনৈতিক বিচার অবশ্যই কেননা এরা অপরাধ করেছে একটি রাজনৈতিক অবস্থার বিরোধিতা করতে গিয়ে ৩০ লক্ষ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। কেউ যখন অপরাধ করে কোনো রাজনৈতিক ছাতার নীচে আশ্রয় নিয়ে বলে থাকে যে, এই অপরাধের বিচার সেই রাজনৈতিক দলের ক্ষতি সাধনের জন্য করা হচ্ছে, তখন সেই প্রচারের নামে প্রোপাগান্ডা।

বুঝে নিতে হবে সেটি ইন্ডিভিজুয়াল অপরাধের বিচার। যার যতটুকু প্রাপ্য, আইনের মাধ্যমে ততটুকুই প্রয়োগ হবে। আমার স্ট্যাটাসের বিষয়বস্তু খুব পরিষ্কার। দুইটা পরিষ্কার কথাঃ ১) এই বিচার লীগ সরকার ২০১০ থেকে স্বচ্ছ ভাবে শুরু করবার আগেই ১৯৭৫ এর পর থেকেই এই বিচারের দাবীতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে বার বার যখন লীগ ক্ষমতায় আসেনি। [১৯৭২ থেকে দালাল আইনে তো বিচার হচ্ছিলোই।

জিয়া আইন বাতিল করেছিলো কেন? এই কথা ওরা বলে না] সুতরাং যৌক্তিক ভাবেই এখানে রাজনৈতিক আক্রোশ নেই বলে মনে করি। এটা জনতার দাবী। এই বিচার করা হোক, এই দাবী তুলেই জনতা লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। সুতরাং এই বিচার হচ্ছে জনতার দাবীর প্রেক্ষিতে। দলের আক্রোশের প্রেক্ষিতে নয়।

২) অপরাধের বিচার হলে যদি একটি দল ভেঙ্গে চুরে যায়, সেখানে লীগের দোষ কি? ১৯৭১ সালে অপরাধ করবার সময় হাসিনা কি কানে কানে বলে দিয়ে এসেছিলো যে, "এই যা, খুন করে আয়"? রাজনৈতিক আক্রোশের গপ্পো শোনাবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন। অপরাধ করতে বলেছে কে? অপরাধ করলে শাস্তি হবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.