আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েক মাসের মধ্যেই সমঝোতা চাই: রুহানি

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে চান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে রুহানি বলেন, তাঁর মতে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক সহজ করার ‘প্রথম পদক্ষেপ’।
রুহানি আরও বলেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তাঁকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছেন।
বিতর্কিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প নিয়ে ইরানের গতকালই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও চীন এবং জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। নিউইয়র্কে ওই আলোচনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিসহ অন্য পাঁচটি দেশের কূটনীতিকদের অংশ নেওয়ার কথা।


গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রুহানি বলেছিলেন, পরমাণু বিষয়টি নিয়ে ‘সময় নির্দিষ্ট করা’ এবং ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত।
রুহানির এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রও শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে চায়। ইরানকে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে।
২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের স্থায়ী পাঁচটি সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান তাদের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।

এ কারণে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়েছে দেশটিকে। এতে ইরানের অর্থনীতিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
তবে ইরান দাবি করে আসছে, তাদের প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নয়, বরং দেশের জ্বালানির ঘাটতি পূরণ এবং চিকিৎসাসেবা-সংক্রান্ত প্রয়োজনে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ‘যত কম সময়ের মধ্যে চুক্তি হয়, ততই সবার জন্য ভালো।

যদি তিন মাসের মধ্যে চুক্তি হয়, তবে তা ইরানের জন্য মঙ্গলজনক। ছয় মাসের মধ্যে হলেও মন্দ নয়। বিষয়টা হওয়া উচিত কয়েক মাসের, কয়েক বছরের নয়। ’
১৯৮০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সরাসরি কূটনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর পরও রুহানি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তিনি যদি আলোচনায় বসেন, তাহলে দুজনেই ভবিষ্যতের দিকে তাকাবেন।


রুহানি বলেন, ‘আমাদের (ওবামার সঙ্গে) মধ্যে যেসব চিরকুট ও চিঠি বিনিময় হয়েছে, সেগুলো সম্পর্ক সহজ হওয়ারই ইঙ্গিত বহন করে। আর তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের শুরুর পদক্ষেপটি নেওয়া প্রয়োজন। আর তা হতে পারে পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা। এ সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে অন্যান্য বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে আর বেগ পেতে হবে না।


ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইরনার এক খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রুহানির নীতিগত কোনো সমস্যা নেই। দেশের স্বার্থে যেকোনো কাজ করতে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.