আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিংহ শিকার - একটি রূপকথা (পরিচ্ছেদ -২)

হিজিবিজি (পরিচ্ছেদ ১) শুরু হল তিন বন্ধুতে মিলে গাছের ডাল ভাঙ্গার কাজ। চার-চারটে মোটা ও লম্বা গাছের ডাল তরোয়ালের এক এক কোপে কেটে নামালো সেনাপতি পুত্র। অন্যদিকে কোটালপুত্র কুড়িয়ে আনল গোটা বারো ছোটো কিন্তু সোজা কাঠি - তীর হবে এগুলো দিয়ে। কোটালপুত্র এসেই কাঠিগুলোর ডগা চাঁচতে বসে গেল। ছুঁচালো করতে হবে তো! তীর হবে না?! এদিকে মন্ত্রীপুত্র আর সেনাপতিপুত্র পড়েছে মহা ফাঁপরে! ধনুকের তো ছিলা থাকে!! ছিলা কি দিয়ে হবে? মন্ত্রীপুত্র পাগড়ীর মধ্যে দিভে হাত ঢুকিয়ে মাথা চুলকে ভাবছে আর মাঝে মাঝে সিংহটার দিকে দেখছে।

বেশ ভাল সিংহ। ঝোপের আড়ালে বসে খালি মাথা দুলিয়ে যাচ্ছে। একটুও দুষ্টুমি করছে না। এমনকি ঘোড়াগুলোও নির্বিকার চিত্তে স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে পায়ের সামনের ঘাস খাচ্ছে। মন্ত্রীপুত্র ভাবে, "আরে তাই তো!! এতক্ষণ একথা মনে আসেনি কেন? আমাদের তাগড়া তাগড়া আরবী ঘোড়া রয়েছে; তাদের ইয়া মোটা মোটা লোমশ লেজ রয়েছে, তাহলে ধনুকের ছিলা নিয়ে ভাবনা কোথায়! কেটে নিয়েই তো হল!" যেই ভাবা সেই কাজ।

সেনাপতিপুত্রকে বুদ্ধিটা বলা মাত্র, সে ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ করে ঘোড়াগুলোর লেজের ও ঘাড়ের লোম কাটতে শুরু করে দিল। শুধুমাত্র রাজপুত্রের ঘোড়াটাকে রেহাই দিল - হাজার হোক রাজপুত্র বলে কথা, তার ওপর ভয়ে ঘুমিয়ে আছে। বিরক্ত করা ঠিক হবে না। যতক্ষণে লোম কাটা হল ততক্ষণে কোটালপুত্রের তীর বানানো শেষ হয়েছে। তখন তিনজনে মিলে ঘোড়ার লোমের বিনুনি পাকানো শুরু করল।

দেখতে দেখতে ছিলা তৈরী। অনেক ধস্তাধস্তির পর ধনুকে সে ছিলা পরানোও হল। এবার? সিংহ শিকার - আবার কি? (চলবে...) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।