আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমান সউদী আরবে প্রচলিত ওহাবী ফিরক্বা মূলত ক্ষমতালিপ্সু গোত্র প্রধানদের মত-পথ, যা কখনো হাক্বীক্বী পবিত্র দ্বীন ইসলাম নয়



বর্তমান সউদী রাজবংশের পূর্বপুরুষদের তালিকা দেখলে দেখা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় রাজবংশের প্রধানদের ‘ইমাম’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অথচ এরা প্রত্যেকেই ছিলো লুটেরা এবং ক্ষমতালিপ্সু। ওহাবী মতবাদ ছিলো তাদের রাজ্য বিস্তারের হাতিয়ার। ‘ইমাম’ আখ্যায়িত ফরয হয় মানুষকে প্রতারিত করার জন্য, যাতে বুঝানো যায় যে, সমগ্র হিজাজে হয়তো প্রথম থেকেই এসব ইমামদের প্রচারিত ওহাবী ইসলাম সেখানে ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা নয়।

পবিত্র হিজাজে কখনো ওহাবী মতবাদ ছিলো না, বরং সবসময়ই ওহাবী মতবাদ মুসলমানগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সুতরাং সউদী আরবের ইসলামকে যারা আদর্শ মনে করে তাদের জানা উচিত ওহাবী মতবাদ কখনোই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা নয়] প্রথম মুহম্মদ ইবনে সউদ (১৭২৫-৬৫ ঈসায়ী) দারিয়ায় প্রথম সউদী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে। ১৭০৮ সালে জন্ম এবং ১৭২৫ থেকে ১৭৬৫ ঈসায়ী সন পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ বছর সে শাসন করে। ওহাবী নজদীর সাথে সাক্ষাতের পর সে তার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয় এবং তার কন্যাকে বিয়ে করে সম্পর্ক আরো মজবুত করে। আব্দুল ওহাব নজদী যখন তার বদআক্বীদার জন্য তার নিজ শহর উযাইনা থেকে বিতাড়িত হয়, তখন মুহম্মদ ইবনে সউদ তাকে আশ্রয় দেয়।

সে ওহাবী আন্দোলনকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক আকাঙ্খা চরিতার্থ করার চেষ্টা করে। ১৭৬৫ সালে প্রথম ইবনে সউদ মারা গেলে তার ছেলে আব্দুল আজিজ বিন সউদ ক্ষমতায় বসে। ১৭৬৫ ঈসায়ী থেকে ১৮০৩ ঈসায়ী সাল পর্যন্ত তার শাসনামল। প্রথম আব্দুল আজিজ সেও ওহাবী মতবাদ প্রচারে এবং রাজ্য সম্প্রসারণে চেষ্টা করে। কিন্তু সে সময় পবিত্র মক্কা শরীফ এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসীগণ ওহাবী মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করেন।

১৮০৩ ঈসায়ী সালে একজন শিয়া আততায়ীর হাতে প্রথম আব্দুল আজিজ নিহত হয়। সউদী ইহুদী সরকার থেকে সাবধান! ১৯৭১ সালের ২৯শে আগস্ট (হিজরী ১৩৯১ সাল) সউদী ইহুদী সরকারের ১৩৭/১ নম্বর রয়াল ডিক্রি অনুযায়ী তাদের উচ্চ পর্যায়ের মাওলানাদের নিয়েএকটি চিরস্থায়ী ফতওয়া কমিটি করা হয়, যার নামকরণ করা হয়, ‘আল-লাজনাহ আদ-দাইমাহ লিল-বুহুছ আল ইলমিয়া ওয়াল ইফতা’। সউদী ইহুদী সরকারের এই ফতওয়া কমিটিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- هل التصوير بالكاميرا حرام أم لا شيء على فاعله؟ অর্থাৎ “ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা কি হারাম অথবা না?” সে প্রশ্নের জবাবে তারা যা বলে তা নিম্নরূপ- نعم، تصوير ذوات الأرواح بالكاميرا وغيرها حرام، وعلى من فعل ذلك أن يتوب إلى الله ويستغفره ويندم على ما حصل منه ولا يعود إليه. অর্থাৎ “সকল মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী যাদের জীবন আছে তাদের ক্যামেরা বা অন্য কিছু দিয়ে ছবি তোলা হারাম। এবং যারা এরকম ছবি তুলে তাদের অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তওবা করা উচিত। তার দ্বারা যা হয়ে গেছে তাতে যেন সে আর ফিরে না যায়।

”(ফতওয়ার নম্বর : ৩৫৯২, ভলিউম : ১, পৃষ্ঠা : ৬৭১) ডিক্রির ধারা অনুযায়ী এই ফতওয়ায় স্বাক্ষর করে কমিটির প্রধান- শেখ আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ বিন বা’য, উপপ্রধান- শেখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, সদস্য- শেখ আব্দুল্লাহ বিন জুদাইয়ান, সদস্য- শেখ আব্দুল্লাহ বিন কুউদ। এই ফতওয়া থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হলো তা হচ্ছে, সউদী সরকার কর্তৃক ওহাবী মাওলানাদের নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ ফতওয়া কমিটির ফতওয়া অনুযায়ী ক্যামেরার সাহায্যে যে কোনো প্রাণীর ছবি তোলা হারাম। অথচ সউদী ইহুদী সরকার প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আকাশে ইনফ্রারেড ক্যামেরাযুক্ত হেলিকপ্টার আর নিচে আধুনিক ক্যামেরাযুক্ত সিসিটিভি’র মাধ্যমে ক্রমাগত বিশ্বের অগণিত হাজী ছাহেব উনাদের ছবি তুলবে। নাঊযুবিল্লাহ! পাশাপাশি এ বছরও চাঁদ না দেখে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস শুরু করে পবিত্র হজ্জ মুবারক নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাহলে বর্তমান যামানার মুসলমান উনারা কীভাবে সউদী ইহুদী সরকারকে মুসলমান ভাবতে পারে বা তাদের কুফরীর ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ঈমান নষ্ট করতে পারে?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.