আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষার উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট লাভ বা জিপিএ বেশি পাওয়া নয়

প্রশ্ন : ভালো ফলাফলের জন্য পড়াশোনার নির্দিষ্ট রুটিনের গুরুত্ব কতটুকু? এ ক্ষেত্রে গৃহশিক্ষক বা কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে কি?

উত্তর : সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সম্পন্ন করতে পারলে সফলতা আসবেই। নিয়মিত শ্রেণীকার্যক্রম আর রুটিনমাফিক পড়াশোনা যে কোনো শিক্ষার্থীকে শতভাগ সাফল্য এনে দিতে পারে। যার প্রমাণ আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিগত বছরগুলোতে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২৮ জন শিক্ষার্থীর কাউকে প্রাইভেট পড়তে হয়নি। সবাই কলেজ ছাত্রাবাসে থাকত। শুধু শ্রেণীকার্যক্রম আর ছাত্রাবাসের রুটিনমাফিক পড়ালেখাই তাদের সফলতা দিয়েছে।

প্রশ্ন : সহশিক্ষা কার্যক্রম পড়াশোনায় কী ধরনের প্রভাব ফেলে?

উত্তর : শিক্ষার উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট কিংবা জিপিএ বেশি পাওয়া নয়। মানসিক প্রশান্তি নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। আর মানসিক প্রশান্তির জন্য সহশিক্ষার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নাচ, গান, আবৃত্তি, বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পড়ালেখাকে আরও বেগবান করে।

প্রশ্ন : তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিভাবে সহায়ক হতে পারে?

উত্তর : তথ্যপ্রযুক্তির ইতিবাচক দিকের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

এর ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পায় এবং সমৃদ্ধ হয় তাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার।

প্রশ্ন : সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাসের হার বেড়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে কি?

উত্তর : সৃজনশীল শব্দটিই মূলত ইতিবাচক। তবে এ পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগ ও ব্যবহার এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে পেঁৗছেনি। তাই অতি দ্রুত সার্বিকভাবে সৃজনশীল পদ্ধতি মফস্বলের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করে এর সফলতা আনতে হবে।

তা না হলে শহর ও গ্রামের শিক্ষার মানের তফাত প্রকট আকার ধারণ করবে।

প্রশ্ন : দেশের শিক্ষার্থীরা সাধারণভাবে ইংরেজিতে দুর্বল। তা কাটাতে করণীয় কী?

উত্তর : মফস্বলের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে ইংরেজিতে দুর্বল। এর জন্য প্রয়োজন ইংরেজি সহজভাবে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া। এক্ষেত্রে ইংরেজি বিষয়ের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে প্রয়োজনে আরও সহজ এবং সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করলে এ বিষয়ে দুর্বলতা কমবে।

প্রশ্ন : শিক্ষার্থীদের বিপথগামিতা থেকে রুখতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের করণীয় কি?

উত্তর : অভিভাকদের উদ্দেশ্যে বলব, শিক্ষা যদি হয় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ তবে আপনারা সন্তানের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হন। নজর দিন তাদের স্বাস্থ্যের দিকে। খেয়াল রাখুন তাদের প্রতিটি মুহূর্তের। তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক দিক আর মাদকের ছোবল থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে আপনাদের সচেতনতাই অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলব, রক্তের বিনিময়ে কেনা এই দেশটিকে ভালোবাসতে চাইলে তোমাদের মেধার বিকাশের বিকল্প নেই।

তথ্য ও প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে তোমরা এগিয়ে যাও সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে।

প্রশ্ন : আপনার প্রতিষ্ঠানের সাফল্য সম্পর্কে বলুন।

উত্তর : প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পর পর চারবার কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সেরা তালিকায় কলেজটি মেধাস্থান অর্জন করে। ২০০৮ সালে সেরা দশে ষষ্ঠ, ২০০৯ সালে সেরা দশে চতুর্থ, ২০১২ সালে শিক্ষাবোর্ডের শীর্ষ তালিকায় ১৮তম স্থান অর্জন করে। অর ২০১৩ সালে ১৮তম স্থান অর্জন করে।

দেশের নামিদামি কলেজগুলো যেখানে জিপিএ-৫ ভর্তি করিয়ে সেরা দশে থাকে সেখানে আমরা অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের দিয়ে বার বার শতভাগ পাস করে সেরা দশের স্থান অর্জন করছি।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.