আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণধর্ষণের অভিযোগ ৫ মুসলিম নারীর



মঞ্জুর কাদের : ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের সা¤প্রদায়িক দাঙ্গাপীড়িত মুজাফফরনগরে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন পাঁচ মুসলিম নারী। একজন মুসলিম নারীকে উত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতমাসের ওই দাঙ্গায় প্রায় ৫০ জন নিহত ও অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ বাড়িছাড়া হয়েছে। মুজাফফরনগর জেলার ফুগানা ও শামলি গ্রামের ওই পাঁচ নারী অভিযোগ করেছেন, তিন সপ্তাহ আগে দাঙ্গা শুরু হওয়ার পরপরই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তারা। এনডিটিভি এনডিটিভিপুলিশ এসব নারীর অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগকারীরা বলেছেন, এতদিন তারা আতঙ্কে মুখে খোলেননি।

গণধর্ষণকারীদের অনেককেই তারা চিনতে পেরেছেন। পুলিশ এ ধরনের অন্তত ১৭ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছে। গণধর্ষণের শিকার নারীরা বলেছেন, তাদের ওপর নির্যাতনের পর দাঙ্গাকারীরা তাদের ঘর-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মুজাফফরনগরের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা হরিনারায়ণ সিং বলেছেন, ‘আমরা পাঁচটি অভিযোগ তদন্ত করে দেখছি। আমরা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করবো এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।

’ অভিযোগকারী নারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং পুলিশ ডাক্তারদের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে সিং জানান। গত আগস্টের শেষ দিকে দাঙ্গার শুরুতেই তিন ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর যেসব গ্রাম দাঙ্গার আগুনে ভস্ম হয়ে যায় সেসবের মধ্যে ফুগানা অন্যতম। দাঙ্গা শুরুর পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উত্তেজনা প্রশমনের পরিবর্তে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ পর্যন্ত দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তিন এমএলএকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরো এক ডজন নেতার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ভারত সরকার সময়মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে মুজাফফরনগর দাঙ্গা গুজরাটের ভয়াবহতায় রূপ নিতে পারেনি।

১১ বছর আগে কুখ্যাত নরেন্দ্রমোদির প্রত্যক্ষ মদদে গুজরাটে অন্তত ২,০০০ মুসলমান গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। মুজাফফরনগরের ত্রাণ শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার মুসলিম পরিবার আবার আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে তাদের ঘর-বাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। তাদের অনেকেই বলছেন, তারা তাদের অনেক আত্মীয়-স্বজনকে তাদেরই প্রতিবেশিদের হাতে খুন হতে দেখেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.