আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রায়ের খসড়া ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শুক্রবার চাঁদপুরের কচুয়া থানায় পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়রি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
“সেখানে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের মামলার রায়ের কিছু অংশ রায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার আগে বেরিয়ে গেছে। সেটা তদন্ত করে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যা সালাউদ্দিন কাদেরের রায় ফাঁস নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বুধবার শাহবাগ থানায় ওই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ।


মঙ্গলবার রায় পড়ার সময়ই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সালাউদ্দিন কাদের বলেন,  “এগুলো পড়ার দরকার নাই, এগুলো তো গত দুদিন ধরে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। ”
রায়ের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী বলেন, আদালতের রায়ের কপি এক দিন আগেই কয়েকটি ওয়েবসাইটে পেয়েছেন তারা।
ওই রায় আইন মন্ত্রণালয়ে তৈরি হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে তা ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দণ্ডিতের পরিবারের অভিযোগ উড়িয়ে দেন।
ট্রাইব্যুনালের জিডিতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রচারিত সমস্ত রায় ট্রাইব্যুনালেই প্রস্তুত করা হয়।

রায় ঘোষণার আগে রায়ের কোনো অংশের কপি অন্য কোনোভাবে প্রকাশের সুযোগ নেই। কিন্তু তারপরও কথিত খসড়া রায়ের অংশ কীভাবে ইন্টারনেটে প্রচারিত হলো বা কীভাবে ট্রাইব্যুনাল থেকে খসড়া রায়ের অংশবিশেষ ফাঁস হল তা উদ্বেগের বিষয়। ”
ঊর্ধ্বতন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে কম্পিউটারে কম্পোজ করা হয়েছিল, তা জব্দ করেছে পুলিশ। রায়ের খসড়া কম্পোজের কাজে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
রায়ের খসড়া ওই কম্পিউটার থেকেই আগে কোনোভাবে ফাঁস হয়েছিল বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা।


তবে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা জয়নি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “জনগণের বন্ধু হয়ে পুলিশকে কাজ করতে হবে। আমি এই কচুয়ার সন্তান। তাই আমার কাছে কোনো দ্বিধা না করে যে কোনো বিষয়ে এসে আলোচনা করতে পারেন। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব।


আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পুলিশের উন্নয়নে কাজ করছে জানিয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, “বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। নিজেদের সচেতন নাগরিক ভেবে সবসময় কাজ করবেন। ”
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর, সহকারী পুলিশ সুপার মো. হানিফ, কচুয়ার ইউএনও জিয়া আহমেদ সুমন, কচুয়া থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন চৌধুরীসহ জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।