আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুন্দরবনের ক্ষতি যেন না হয়: মনমোহন

পরিবেশবাদীদের সমালোচনার মধ্যে শনিবার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে বাস্তবায়নকারীদের প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারতের বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সঞ্চালন উপকেন্দ্রের সঙ্গে বাগেরহাটের রামপালে নির্মিতব্য ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট’ উদ্বোধন হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে তার প্রতিনিধি হিসেবে ভেড়ামারায় ছিলেন ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ।


সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে আসছেন পরিবেশবাদীরা। তারা বলছেন, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে।
বাম দল সমর্থিত তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করার আহ্বান জানিয়ে লংমার্চ করেছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে।
তবে প্রকল্প উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

অনেকেই ‘চেঁচামেচি’ করে মানুষকে ‘বিভ্রান্ত’ করছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে মনমোহন সিং যৌথ উদ্যোগের রামপাল কেন্দ্রের সাফল্য কামনা করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার জন্য প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি।
সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষার ওপর জোর দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ দুই দেশের মধ্যেই রয়েছে।
মনমোহন সিং দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের উল্লেখ করে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরাল করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “আজকের উদ্বোধনের ঘটনা দুদেশের আন্তঃসংযোগের জন্য একটি মাইলফলক ঘটনা।


মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় অংশীদার থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, “দুই দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য ভারত, নেপাল ও ভুটান একসাথে কাজ করতে পারে। ”
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নকশা। রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে বলেন, “যারা চেঁচামেচি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, তাদেরকে বলছি, সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না।

সুন্দরবনের ক্ষতি করে শেখ হাসিনা কোনো কিছু করবে না। ”
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নকশা।
“সব ধরনের পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় নিয়েই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। “
বিদ্যুৎ সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ সরকার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১১ সালে সমঝোতা স্মারকের পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে।
এ কেন্দ্রের মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি, যার সমান অংশীদার বাংলাদেশ ও ভারত।


সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ২২ অক্টোবর রামপালে এই প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন করা হবে।
কিন্তু মনমোহন সিং ওই দিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানানোর পর শনিবারই রামপাল কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।