আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুন্দরবনের ক্ষতি হতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
আজ সকাল ১১ টা এ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সুইচ টিপে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও উপকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত বাগরেহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহমোহন সিং নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ভেড়ামারায় ৩৬০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

 
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ভারত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল্লাহ ফারুক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জ্বালানি উপদষ্টো তৌফিকী এলাহী চৌধুরী, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ স্মরণ, ভারতের বিদ্যুৎ সচিব পিকে সিনহা, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুব-উল-আলম হানিফ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন ও সুলতানা তরুণসহ দুই দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
 
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে যে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলাম। তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কেউ কেউ পানি ঘোলা করার চষ্টো করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশবাসীকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই,পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোন প্রকল্পের অনুমোদন দেইনি।

আগামীতেও দেব না। সব ধরনের পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় রেখেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, আজ অনেকেই পরিবেশবাদী সেজেছেন। কিন্তু আমরা সরকারই সুন্দরবন রক্ষায় এবং একে বিদ্যুৎ ঐতিহ্য স্থান হিসেবে অন্তভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
 
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার সময় বিদ্যুতের দৈনিক উত্পাদন ছিল মাত্র ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।

আমরা সরকার গঠন করার পর তা ৬ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াটে উন্নতী করেছি। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদনের মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, গত সাড়ে ৪ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে মোট ৪ হাজার ৪৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ৬ হাজার ৫৬৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান কাজ চলছে। ৩ হাজার ৯৭৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র টেন্ডার প্রক্রিয়ার আছে।

 
প্রধানমন্ত্রী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আরো বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতে পরিবেশের ক্ষতি না করে, সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বায়ু ও পানি দূষনরোধে উন্নতমানের কয়লা ব্যবহার করা হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন।
 
এর আগে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সকাল ১১টা ৩০মিনিটের সময় ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন।

 
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও সেদেশের জনগনের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। বিদ্যুৎ আমদানির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব আরও দৃড় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। মনমোহন সিং বলেন, এ প্রকল্পের মাদ্যমে দুই দেশের মধ্যে নতুন দিগনে্তর সুচনা হল।

বাংলাদেশ ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের জনগনের পাশে ভারত সব সময় থাকবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।