আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি তারেককে দেখেছি খুব কাছ থেকে……

আমি মনে প্রাণে একজন মুসলিম। ঘৃণা করি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ছাগু তথা উগ্রবাদীদের। ক্যঁচাল পছন্দ করিনা । ।
আমি তারেককে দেখেছি খুব কাছ থেকে…… তারেক রহমানের সাথে করমর্দন করার সৌভাগ্য আমার দুইদিন হয়েছিল।

গাইবান্ধা ইসলামিয়া হাইস্কুল মাঠ… সেদিন কানায় কানায় পুর্ণ হয়েও লোকজন আশে পাশের রাস্তার উপর বসে পড়েছিল। কারন একটাই তারুন্যের অহংকার জ্বনাব তারেক রহমান উত্তরের জনপদ নামে খ্যত রংপুর বিভাগের অবহেলিত জেলা গাইবান্ধায় এসেছিলেন জনগনকে কিছু প্রতিশ্রূতি দিতে। তিনি মূলত ইউনিয়ন সদস্যদের নিয়ে থানা কাউন্সিল করে ফিরছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তখন বাংলাদেশের প্রধাণমন্ত্রী ছিলেন। আর দলের মহাসচিব আঃ মান্নান ভূইয়া এলজিআরডি মন্ত্রী হয়ে রাষ্ট্রীয় কাজকর্মে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে দলের অভ্যান্তরীন কোন্দন, কমিটির মেয়াদ উত্তির্ন হয়ে যাওয়া কমিটিকে গুছিয়ে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখার মত কেও খোজঁ-খবর নিতেননা।

দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রীত্বর দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে দলেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভ্যান্তরীন কোন্দল আরো প্রকট হচ্ছিল দিনের পর দিন। ঠিক সেই সময়টাতেই দলের অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন দ্বায়িত্ব কাধে তুলে নেন এই পরিশ্রমি নেতা জ্বনাব তারেক রহমান। তিনি গ্রামের মেঠোপথে হেটে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করে কমিটি গঠন করে দেন। তাছাড়া তিনি একজন সাধারন মানুষের সাথে হাতে হাত বুকে বুক মিলিয়ে কাজ করেছেন দলের ঐক্য অটুট রাখার জন্য।

তিনি দারিদ্র বিমোচনে হত দরিদ্র পরিবারকে একজোড়া করে ছাগল দিয়েছিলেন যাতে করে ওই পরিবার ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এরকম অনেক পরিবার এখনো তারেক রহমানের অবদানকে ভোলেননি আজো….. আর তৃণমূল নেতৃবিন্দ্র তারেক রহমানকে শহীদ জিয়ার সুযোগ্য উত্তরসুরী মনে করেন। জিয়া যেমন মানুষের খুব কাছে গিয়ে খোজ-খবর নিতেন ঠিক তারেক রহমানও মানুষের খুব কাছে যেতেন। এজন্য তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাছে তারেক অত্যান্ত প্রিয় একজন নেতা। গাইবান্ধা ইসলামিয়া হাইস্কুল মাঠ….লোকে লোকারণ্য।

মন্ঞ্চে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভীড় তার মধ্য রয়েছে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী তাছাড়া পুলিশ,গোয়েন্দা সংস্হার লোকজন। মন্ঞ্চে তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন জ্বনাব তারেক রহমান। তারেক রহমানের র্নিদেশে জনসভাস্হলের ঠিক মাঝামাঝি কিছুটা জায়গা খালি করা হয়েছে যেন দুচারজন লোক পায়ে হেটে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত হেটে যেতে পারেন। তারেক রহমান তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। হটাৎ তিনি মন্ঞ্চ থেকে নেমে সভাস্হলের মাঝের করিডোরে নেমে জনগনের সাথে হ্যন্ডশেক করছিলেন।

মন্ঞ্চের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তখন চিন্তায় অস্হির মনে হচ্ছিল। তাদের ভাবনাটা ছিল হয়তো….তারেকের যদি কিছু হয়ে যায়… তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিভাবে জবাব দিবেন??... এই ভেবে। আমার সামনে যখন তিনি আসলেন তখন হাতটা বাড়িয়ে দিলাম… হাতে হাত মেলালেন মুচকি হাসি হেসে চলে গেলেন পিছনের সারির লোকদের দিকে। আমি এই জীবনে অনেক নেতা দেখেছি….তবে তারেক রহমানের মত এত অসাধারন নেতা দেখিনি… তিনি সাহসী পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান নেতা। এজন্যই তার তুলনা হয়না…তিনি অনেকটা শহীদ জিয়ার মত আকূতভয় নেতা যিনি বিশ্বাস করেন জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।

আর জনগনকে খুশি করা গেলে পুনরায় নির্বাচিত হওয়া অসম্ভবপর নয়। রাজনীতিতে যখন কোন কোন নেতাকে বুলেটপ্রুফ গ্লাসের আড়াল থেকে জনগনের মাঝে বক্তৃতা দিতে হয় তখন তারেক রহমান এক নজীর স্হাপন করে গেলেন মানুষের কাছে এসে তাদের মন জয় করে নিতে। এজন্যই বাংলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে তারেক রহমান আজো সমাদৃত…. যেন আমজনতার নেতা তারেক রহমান। (ছবি-গুগল থেকে)
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.