আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মামুনের স্বপ্ন পূরণ হবে কি?

ভ্যানচালক রশিদুল ইসলামের চোখমুখে যেন চিকচিক করছে সাফল্যের ঔজ্জ্বল্য। এ যেন গোবরে পদ্মফুল। তাঁর ছেলে মো. মামুন মিঞা এ বছর মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। ছেলের কীর্তিতে রশিদুল আত্মহারা, কিন্তু পরক্ষণেই তাঁর সব আনন্দ যেন হাওয়া। ছেলের মেডিকেলে পড়ার খরচ জোগানোর চিন্তায় বেসামাল রশিদুল।


নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের দক্ষিণ দেশিবাই গ্রামের বাসিন্দা রশিদুল। তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মামুন তৃতীয়। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মামুন উত্তীর্ণ হয়েছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার রশিদুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ভ্যান নিয়ে পার্শ্ববর্তী নীলসাগর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ফার্মে গেছেন ভাড়া ধরতে।

তাঁর স্ত্রী ছফিয়া বেগম বাড়িতে কাজে ব্যস্ত। আর মামুন বাড়ির সামনে বসে আছেন। এত ভালো খবর, অথচ বাড়িতে কোনো আনন্দ খুঁজে পাওয়া গেল না।
জানতে চাইলে মামুন বললেন, ‘মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু এর খরচ চালাব কীভাবে? বাবা বলেছেন তুই চিন্তা করিস না, আমি ভ্যান চালিয়ে তোর খরচ জোগান দেব। কিন্তু আমি জানি, ভ্যান চালিয়ে এত টাকা জোগান দেওয়া সম্ভব না।


সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে রশিদুল ভ্যান নিয়ে বাড়িতে ছুটে এলেন। তিনি জানালেন, তাঁর সম্পত্তি বলতে সাড়ে ৩ শতক ভিটেমাটিটুকু। ভ্যান চালিয়ে কোনো দিন ২০০ টাকা, কোনো দিন ১০০ টাকা তাঁর আয় হয়। তা দিয়েই চারজনের সংসারটা টেনে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘তার পরও ছেলেকে বলেছি, প্রয়োজনে শরীরের রক্ত বিক্রি করে হলেও তোর পড়ার খরচ জোটাব।


মামুন অষ্টম শ্রেণীতে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
মামুন বলেন, ‘চিকিৎসক হয়ে চিকিৎসাবঞ্চিত গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। ’

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.