আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আনন্দের সঙ্গে পড়বে, মজা করে পড়বে

পড়াশোনা কষ্ট করে শেখার কোনো বিষয় নয়। বই পড়তে হবে আনন্দের সঙ্গে। বই পড়তে হবে মজা করে। আর কোনো কিছু বাদ রেখে পড়া চলবে না। পুরো পাঠ্যবইটা পড়তে হবে।

একেবারে আদ্যোপান্ত। কারণ সৃজনশীল পদ্ধতিতে পুরো বইটা যদি না পড়ো, তাহলে কিছুতেই ভালো করতে পারবে না। বারবার পড়বে। আনন্দের সঙ্গে পড়বে। ফল একটু খারাপ হলে জীবন শেষ হয়ে যায় না।

শরীরের ওপর চাপ না দিয়ে, মনের ওপর চাপ না দিয়ে প্রফুল্ল মনে পড়বে।
আগে পরীক্ষার পদ্ধতিটা কষ্টদায়ক ছিল। অনেক অনেক পৃষ্ঠা মুখস্থ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হতো। তখন যে অমানুসিক কষ্টের মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থী যেত, তাতে পরীক্ষাকে শিক্ষার্থীরা ভয় হিসেবেই দেখত। এখন তো সেই মুখস্থবিদ্যা দিয়ে পরীক্ষায় পাসের ব্যাপারটা নেই।

যা-ই পড়বে, ভালোভাবে আত্মস্থ করে পড়বে।
এ জন্য একটা পদ্ধতি বলবো তোমাদের। প্রতিদিন পাঠ্যবইটা নিয়ম করে পড়বে। আনন্দের সঙ্গে পড়তে হবে। তাহলেই দেখবে, পুরো বইটা তোমার পড়া হয়ে গেছে।

তখন আর ভয়ের কোনো কারণ থাকবে না। আগে পরীক্ষায় বোর্ডে স্ট্যান্ড করাটাকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হতো। প্রথম হতো একজন। আর বাকি ছাত্ররা প্রথম না হওয়ার যন্ত্রণাটা ভোগ করত। বোর্ডে স্ট্যান্ড করার দুরাশায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে যেত।

এখন তো সে পদ্ধতি নেই। তবু একটা পদ্ধতি বানিয়ে নিয়েছে সবাই, যেমন গোল্ডেন এ প্লাস। আমাদের মনস্তত্ত্বেই আছে, সবকিছুতেই রাজা চাই।

আরেকটা কথা মনে রেখো। রাত জেগে পড়া একেবারেই উচিত নয়।

ছেলেবেলায় পড়েছিলাম—‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লিটু রাইজ, মেকস এ ম্যান হেলদি ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’। যত আগে শোবে, যত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবে, শরীর-মন সুস্থ থাকবে। রাত জেগে পড়ে আতঙ্কগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা। ফাঁকিবাজ ছাত্ররা পড়ার সময় পড়ে না। পরে রাত জেগে পড়ে দেখাতে চায় আমি পড়ছি।

তাতে সে শরীরিক ও মানসিকভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

জেএসসি পরীক্ষাটা শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো। এই পদ্ধতির ভালো দিক আছে। অনেকে সমালোচনা করে এত পরীক্ষার চাপ ভালো নয়। আসলে বেশির ভাগ স্কুলগুলোতে পড়াশোনা ও পরীক্ষার মান ভালো নয়।

তার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ নিয়ে পড়াশোনা করে না। এই পরীক্ষার জন্য বার্ষিক পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতিটা ভালো হয়। শিক্ষার্থীরা সচেতন হচ্ছে পড়াশোনায়। প্রস্তুতি নিচ্ছে ভালো করে।

n লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।