আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওবামার সঙ্গে মালালার সাক্ষাৎ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ওই সাক্ষাতের সময় ওবামার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে মালিয়াও উপস্থিত ছিল।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, নারীশিক্ষা প্রচারে উত্সাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য ওবামা পরিবার মালালাকে ধন্যবাদ জানায়।
ওয়াইট হাউসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীশিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার কারণে মালালার সাহস ও দৃঢ়তার প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ফার্স্ট লেডির বরাত দিয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিনিয়োগ করা সবচেয়ে ভালো কাজ।

এই বিনিয়োগ শুধু আমাদের মেয়ে ও নাতিদের জন্য নয়, এটি তাদের পরিবার, সমাজ এবং দেশের জন্য লাভজনক। ’
গত বৃহস্পতিবার মালালা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাখারোভ পুরস্কারে ভূষিত হয়। চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে মালালার নাম সর্বাধিকবার উচ্চারিত হলেও গতকাল শুক্রবার অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনসকে (ওপিসিডব্লিউ) নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।

পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার বাসিন্দা মালালা ২০০৯ সালে তালেবানশাসিত পাকিস্তানে তার জীবন ও পাকিস্তানে নারীশিক্ষার অভাব নিয়ে বিবিসির উর্দু সার্ভিসের ব্লগে বেনামে লিখে আলোচনার কেন্দ্রে আসে। একই বছর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তালেবানদের সোয়াত উপত্যকা থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর মালালা আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করে।

তালেবানের কট্টর নীতি পাকিস্তানের নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কঠোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। গত বছর নারীর শিক্ষা অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রচারণা চালানোয় তালেবানরা মালালাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় গুলি করে।

তালেবান হামলায় আহত মালালাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়। বর্তমানে সে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বাস করছে ও সেখানকার স্কুলে পড়াশোনা করছে।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।