আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদরে আনন্দ কমনে তা জানে না সালমা খাতুন (৫০) ও তার একমাত্র মস্তস্কি বকৃিত সন্তান সালাম

ভালো কিছু করি

ঈদের আনন্দ কেমন তা জানে না। । এ ভাবে যে কতদিন বাচতে হইবো তা আল¬াহ জানে ! বোচাগঞ্জের এক অতিদরিদ্র মাতা-সন্তানের করুণ কাহিনী সাংবাদিক শামীম হোসেন বোচাগঞ্জ \ মানুষ যখন শারদীয় দুর্গোৎসব ও ঈদ-উল আযহাকে ঘিরে আনন্দঘন পরিবেশে কেনাকাটা, বেচা-কেনা ও প্রতীমা দর্শনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। ঠিক সেই সময়ে দেশের এক শ্রেণীর অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌছায়নি এসব উৎসবের কোন বিষয়। তেমনি বোচাগঞ্জ উপজেলার শাহাপাড়া ধনতলা হঠাৎপাড়া এলাকার সালমা খাতুন (৫০) ও তার একমাত্র মস্তিস্ক বিকৃত সন্তান সালামকে নিয়ে গতকাল রোববার বেলা ১২টায় বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মুখে গাছের নিচে মাটিতে বসে মা সালমা খাতুন গালে হাত দিয়ে অবাক দৃষ্টিতে বসে থাকে।

এ অবস্থা দেখে আমাদের প্রতিনিধি সালমা খাতুনের সাথে কথা বলতে গেলে ভয়ে দাড়িয়ে উঠার চেষ্টা করে কিন্তু দাড়িয়ে উঠারও ক্ষমতা তার নেই। কারণ দীর্ঘদিন ধরে অভাবের কারণে তাকে ডায়াবেটিক, টাইফয়েড, হার্ট এ্যাটার্কসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করে বসেছে। এই হৃদয় বিদারক মাতা সন্তানের দৃশ্য দেখে যে কোন মানুষের মনের মধ্যে বয়ে যেতে পারে কষ্টের ঝড়। সালমা খাতুন জানালো, আল¬াহ শুধু তাকে ও তার সন্তান সালামকে এ পৃথিবীতে বাচিয়ে রেখেছেন। কষ্ট করে কইতে হয় আল¬াহ আর কোন আমাদের সুখের কারণ দেয়নি।

কি যে পাপ করছিলাম যে এইভাবে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। বর্ষার মৌসুম চলে গেল সারাটা বর্ষা মৌসুমে ঘরের বৃষ্টি পানি পড়েছে। তাই রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারেনি। অভাবের কারণে খাদ্য তো নেই মানুষের বাড়ীতে গেলে দয়া করে একটু ঝুটা খাদ্য খেতে দেয়। তাতেও আমার কোন ক্ষোভ নেই।

তারা খাইতে দেয় তো। কিন্তু মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পৌর চেয়ারম্যান, মেম্বাররা কেউ খবর নেয় না আমার। আমার বয়স ৫০ তাই তারা আমাকে বয়স্কভাতা দেয়না। না দেক বিধবা ভাতা তো দিতে পারে তাও দেয় না। ঈদ আর ২ দিন বাকী কি যে করমু তাও জানি না।

ঈদের যে আনন্দ কি তা আমি কখনো মালুম করতে পারেনি। আমার স্বামী মারা গেছে ২০ বছর আগে। তাই এখন ঘরের চাল ছাড়া আমার মাথার উপর আর কোন ছায়া নেই। এই ভাবে যে কতদিন বাচতে হইবো তা আল¬াহ জানে। শামীম হোসেন তাং- ১৩.১০.১৩ ০১৭২০৬৮৯৩৫০


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।