আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদের ছুটিতে কূটনীতিকরা ঢাকায়ই থাকবেন

ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকরা ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আশা প্রকাশ করেছেন ঈদের যে ত্যাগের মহীমা তা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়বে। অপরদিকে, এবার ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে পাঁচ দিনের টানা বন্ধ সত্ত্বেও ঢাকা ত্যাগ করছেন না বেশিরভাগ কূটনীতিক। যেখানে সাধারণত তিন দিনের ছুটিতেই বেশিরভাগ কূটনীতিক ঢাকার বাইরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে যান।

গতকাল পর্যন্ত বার্তা দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবি্লউ মোজেনা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান উইলিয়াম হানা, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন, সৌদি আরবের দূতাবাসসহ আরও কয়েক কূটনীতিকরা। মোজেনা তার বার্তায় বলেন, আমার স্ত্রী গ্রেস, আমাদের পরিবার এবং ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমার সব সহকর্মীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে যারা ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদেরকে আমি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাই। এই সময়ে আমরা বিশ্বব্যাপী আমাদের বন্ধুজনদের জন্য উদারতা, ত্যাগ, সহিষ্ণুতা এবং করুণার মতো সম্মিলিত মূল্যবোধগুলোর কথা স্মরণ করি। আমি আপনাদের প্রত্যেককে জানাই ঈদ মোবারক এবং একটি আনন্দমুখর উৎসবের জন্য জানাই শুভ কামনা। অপরদিকে, দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটির দিনগুলোতে বেশিরভাগ কূটনীতিকই ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সংবর্ধনা আয়োজনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে ঈদের দিন রাতে আয়োজন করা হয়েছে আনন্দ পার্টি। এতে কূটনীতিকরা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা আমন্ত্রিত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রত্যেক দূতাবাস ও হাইকমিশনেরও আলাদা আলাদা ঘরোয়া অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সাধারণ ঈদের ছুটিতে মিশনপ্রধানরা কর্মস্থলের বাইরে ছুটিতে গিয়ে থাকেন। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করেন দূতাবাসগুলোর অন্য কোনো পদস্থ ব্যক্তিরা। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। পশ্চিমা দুটি দেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়া ঢাকায় অবস্থান করছেন অন্য সব মিশন প্রধান। তারা প্রত্যেকেই দুই নেত্রীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে ইতোমধ্যেই পরিস্থিতির গভীর পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে দূতাবাসগুলো। অক্টোবরের শুরু থেকেই এটি চলে আসছে। পর্যবেক্ষণের জন্য অন্যান্য রুটিন কর্মসূচিও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ঈদের পরপরই পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেবে বলে কূটনীতিকরা আশা করছেন। তাই এবার ছুটি বাইরে কাটানোর পরিবর্তে নিজেরাই আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.