আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিন বছর ধরেই অনুমোদনহীন কাগজ তৈরি করছে টি ক&#

দীর্ঘ তিন বছর দুই মাস ধরেই বিএসটিআইর অনুমোদনহীন বা যাচাই বিহীন নিম্নমানের কাগজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে চট্টগ্রামের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান টি কে গ্রুপ। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির দুটি কারখানা বিএসটিআইর আইন অমান্য করে লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই তিন বছরে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন ও বিক্রি করেছে। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এর দাম প্রায় সাড়ে ৭শ' কোটি টাকা। টি কে গ্রুপের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুটি হলো এম এ এফ নিউজপ্রিন্ট মিলস লিমিটেড ও টি কে কেমিক্যাল কমপ্লেঙ্ লিমিটেড। এ বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃপক্ষ। এতে টি কে কেমিক্যাল কমপ্লেঙ্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তৈয়ব এবং এম এ এফ নিউজপ্রিন্ট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদাত মো. ফয়সালকে আসামি করা হয়েছে। ফয়সাল টি কে গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার আবু তৈয়বের ছেলে। বিএসটিআইর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিস প্রধান শওকত ওসমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টি কে গ্রুপের কারখানাগুলোতে সাদা কাগজ এবং নিউজ প্রিন্ট তৈরি হয়। কিন্তু আমরা পরিদর্শন করে দেখতে পেয়েছি উৎপাদিত কাগজ খুবই নিম্নমানের এবং তাদের কাছে বিএসটিআইর বৈধ কোনো লাইসেন্সও নেই। ৩০ জুন ২০১০ সাল থেকে লাইসেন্স ছাড়া উৎপাদিত পণ্য বিক্রি ও বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। এই কোম্পানিকে বার বার বলা হলেও বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মামলার এজাহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই অধ্যাদেশ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ২৪ ও ৩১ (এ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। একইভাবে বিএসটিআই কর্মকর্তা কে এম হানিফ বলেন, বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গুণগত মান নিশ্চিত না করে তৈরি করা কাগজে চট্টগ্রামসহ দেশের বাজার ছেয়ে গেছে। কারখানাগুলোকে আইন ও পণ্যের মান নিশ্চিতে বাধ্য করতেই আদালতে মামলা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, টি কে গ্রুপের বিপণন কর্মকর্তা আশরাফসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্বহীনতার কারণে বাজারে টি কের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং অবৈধ অর্থের বিনিময়ে সুবিধা ভোগ করছেন। তবে এ বিষয়ে জানতে টি কের অন্যতম পরিচালক খোরশেদ আলমকে ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার চরখিজিরপুরে টি কে গ্রুপের কারখানা দুটি পরিদর্শন করেন বিএসটিআইর কর্মকর্তারা। এ সময় তারা আইন লঙ্ঘন ও অসঙ্গতির বিভিন্ন তথ্য পান। কারখানা দুটির মধ্যে টি কে কেমিক্যাল কমপ্লেঙ্ েলেখার এবং ছাপার সাদা কাগজ তৈরি হয়। অপর কারখানাটিতে নিউজপ্রিন্ট তৈরি হয়। রাইটিং অ্যান্ড প্রিন্টিং পেপার ও নিউজপ্রিন্ট পেপার লেখা ও ছাপানোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কাগজের জিএসএম, ব্রাইটনেস, টেনসাইল স্ট্রান্থ মান অনুযায়ী যাচাই করে বিক্রয় বিতরণ করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কারখানা দুটির উৎপাদিত কাগজে জিএসএম, ব্রাইটনেস এবং টেনসাইল স্ট্রান্থের মান সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি। প্রায় তিন বছর ধরে কারখানা দুটিতে উৎপাদিত কোনো পণ্য বিএসটিআইর কাছে গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য নেওয়া হয়নি। এর ফলে পণ্যের মানও নিশ্চিত হয়নি। অভিযুক্ত এম এ এফ নিউজ প্রিন্ট মিলস লিমিটেড ও টি কে কেমিক্যাল কমপ্লেঙ্ লিমিটেড কারখানা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার চর খিদিরপুর এলাকায় অবস্থিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.