আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার বাস্তবে অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াইয়ে অনন্ত! আসুন অনন্ত'র মত আমরাও আহনাফের পাশে দাড়াই।



ঢাকা: বিজ্ঞাপনের ভাষার মতো বাস্তবেও অসম্ভবকে সম্ভব করতে চান সময়ের আলোচিত অভিনেতা ও নিমার্তা অনন্ত। আর তাই ফেসবুকে কিছু ছেলেমেয়ে যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত সহপাঠী আনহাফকে বাঁচানোর অসম্ভব চেষ্টায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই তাদের পাশে গিয়ে দাড়াঁন অনন্ত জলিল। বাড়িয়ে দেন সহযোগীতার হাত। চলচ্চিত্রে আর্বিভাবের অনেক আগে থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানো অভ্যাস অনন্তের। আর তাই নিজের পকেটের টাকায় চালান এতিমখানা আর বৃদ্ধাশ্রম।

কিন্তু যখন বাংলা চলচ্চিত্রকে বাঁচানোর শপথ নিলেন, ঠিক তখনই অসুস্থ অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের জন্য কেঁদে উঠে তার মন। পাশে দাড়াঁলেন আনোয়ার হোসেনের। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আর তাই এবার শুরু করলেন নতুন মিশন। ঘটনার সবটুকু জানতে হলে যেতে হবে আহনাফের কাছে।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র নূর এ শাফি আহনাফ। ছোট বেলা থেকেই মেধাবী আহনাফ জেএসসি ও এসএসসিতে পেয়েছেন গোল্ডেন প্লাস। পড়ালেখার পাশাপাশি বির্তকের মুক্ত বাকে আহনাফের রয়েছে পদচারণা। স্বীকৃতি হিসেবে হাতে উঠেছে অসংখ্য জাতীয় পুরষ্কার। কিন্তু লিউকোমিয়া নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচন্ড মেধাবী আহনাফের ছুটে চলা হঠাৎ করেই যেন থমকে যায়।

চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএইউ) হাসপাতালে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এখানকার চিকিৎসক আহনাফকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতের মুম্বাইয়ের নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেখানে আহনাফের চিকিৎসা করানোর জন্যে প্রয়োজন প্রায় ১ কোটি টাকা। যা আহনাফে পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। তাই বেশকিছু দিন ধরে বিএসএমএইউ হাসপাতালের ১৭ তলার ডি ব্লকের ১৭১৭নং কেবিনে শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলো আহনাফ।

আর তা মেনে নিতে পারে নি আহনাফের সহপাঠীরা। তাদের উদ্যাগেই শুরু হয়, আহনাফের চিকিৎসা ব্যয় সংগ্রহের প্রাথমিক কাজ। তারা দেশের সচেতন ও বিত্তবান মানুষদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ায়। কিন্তু সহপাঠীদের সেই প্রাথমিক উদ্দ্যোগেও ভাটা পড়ে যখন দেশের নামকরা বিত্তশালীরা সব কিছু দেখেও না দেখোর ভান করলেন। অনেকটা মুশড়ে পড়লো আহসাফের সহপাঠীরা।

কিন্তু হাল ছাড়ঁলেন না। প্রচারণার জন্যে বেছে নিলেন ফেসবুককে। আর তাতেই চোখ পড়লো বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেতা, নির্মাতা এবং ব্যবসায়ী এমএ জলিল অনন্তের। তিনি আহনাফের বন্ধুদের তার অফিসে আসার আমন্ত্রণ জানালেন। আহনাফের বন্ধুদের কাছ থেকে সবকিছু শোনার পর, কোনো রকম কাগজপত্র ছাড়াই তাদের হাতে তু্লে দেন আহনাফের চিকিৎসা ব্যয়ের চেক।

আহনাফকে সাহায্য করতে চাইলেঃ গোলাম মাহবুব হিসাব নং:২০০.১০৩.২০০ ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড দিগপাইত, জামালপুর নূর জাহান (আহনাফের মা) হিসাব নং: ১১৫৯৮৭ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, জামালপুর বিকাশে টাকা পাঠাতে হলে: আহনাফের মামা-০১৭২৪৯২১৮৮৯

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.