নাটোরে যমুনা ডিস্ট্রিলারিজ কোম্পানির বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে দূষণের শিকার নারদ নদ ও জনজীবন রক্ষার দাবিতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি নুরুল ইসলাম বাবুল-এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। 'নারদ বাঁচাও' আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের হগোলবাড়িয়া ব্রিজে নারদ নদের দুই পাড়ের অসংখ্য মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে প্রচারণা শুরু হলে কতিপয় সশস্ত্র দুবৃর্ত্ত তা বানচাল করার চেষ্টা করে। তারা আয়োজকদের পাশাপাশি নারদ নদের পাড়ের বসবাসরতদের হুমকি দেয়।
সকল ভয়-ভীতি ও হুমকি উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকেই নারদ নদ সংলগ্ন তেবাড়িয়া হাটে সমবেত হতে থাকেন তিনযুগেরও বেশি সময় ধরে নারদ নদের দূষিত ও বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা। তারা তেবাড়িযা হাট থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নারদ নদের হুগোলবাড়িয়া ব্রিজে মানববন্ধন করেন।
'নারদ বাঁচাও' আন্দোলনের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী মঞ্জুরুল মোর্শেদ লুলু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আব্দুল কাইয়ুম,আলহাজ্ব আবু হানিফ মামুন,মাওলানা জুলফিকার আলী, ইয়াছিন খাঁন, আবুল হোসেন,সিঙ্গাপুর প্রবাসী জানে আলম শাহীন, মাসুদ রানা মাসুম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তিন যুগের বেশি সময় ধরে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী নারদ নদ দূষণের কারণে শহরবাসী আজ বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারেন না। মশা-মাছির উৎপাতও বেশি।
তারা বলেন, নারদ নদের পানিতে যুমনা ডিস্ট্রিরিলারিজের দূষিত ও বিষাক্ত বর্জ্য ফেলার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে দূরারোগ্য ব্যাধি।
এছাড়া বাবুলের জিম্মি দশা থেকে নারদ নদের ৪০ কি.মি. এলাকায় বসবাসরত লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন বক্তারা।
তাছাড়া দেশে সংঘটিত ১০টি মাদক ট্রাজেডির ঘটনায় যমুনার স্পিরিট খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ ১০টি জেলার ছয় শতাধিক মানুষ। মৃতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ না পেলেও যমুনা গ্রুপ হাজার হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে মাদক ট্রাজেডির ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।