আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পন্টিংকে ওয়ার্নের ভৎসনা

আত্মজীবনীটা লিখেই অনেকের শত্রু হলেন রিকি পন্টিং। কিছুদিন আগে মার্ক টেলরের সমালোচনার বানে বিদ্ধ হয়েছেন, এখন হলেন শেন ওয়ার্নের। তবে ওয়ার্নের সমালোচনাটা মূলত মাইকেল ক্লার্ককে নিয়েই। পন্টিং তাঁর প্রতি ঈর্ষাকাতর ছিলেন বলেই মনে করেন এই কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। ওয়ার্নের সমালোচনার আরও একটি দিক আছে।

আত্মজীবনীর নামে‘ঘরের কথা পরকে জানানো’রও ঘোর বিরোধী তিনি। পন্টিং তাঁর আত্মজীবনীতে এই কাজটি করে যে মোটেও ঠিক করেননি, সেটাই আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ওয়ার্ন।

ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ওয়ার্নের কণ্ঠে যেন ঝরেছে তীব্র শ্লেষ, ‘আমি পন্টিংকে ছোট করতে চাই না। সে খুব ভালো মানুষ আর দলের জন্য নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ক্লার্ককে নিয়ে এ ধরনের কথা সে সম্ভবত বলেছে কিছুটা ঈর্ষা থেকে।

কারণ, একটা সময়ে ক্লার্কের ব্যাট যেভাবে হাসছিল, পন্টিংয়েরটা ঠিক সেভাবে হাসছিল না। আমার কাছে মনে হয়, ক্লার্ক সব সময়ই সাজঘরে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছে। একজন সেরা অধিনায়ক কখনোই সাজঘরের কথাবার্তা বাইরে প্রকাশ করে না। ’

বর্তমান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার সাজঘরের সংস্কৃতির সঙ্গে ঠিকমতো খাপ খাইয়ে নিতে পারছিলেন না বলেই আত্মজীবনীতে দাবি করেছেন পন্টিং। সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাঁর ভূমিকাতেও খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না পন্টিং।

সেটাও বেশ স্পষ্টভাবেই লিখেছেন সদ্য প্রকাশিত এই বইয়ে। কিন্তু পন্টিংয়ের এমন কথাবার্তার সঙ্গে এক মত হতে পারেননি ওয়ার্ন। তিনি নিশ্চিত যে পুরো পারটিই পন্টিং করেছেন একধরনের ঈর্ষা থেকেই।

ওয়ার্ন নিজের চাঁচাছোলা কথায় সমালোচনামুখর হয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুককে নিয়েও। তাঁর মতে, কুক নাকি খুবই ‘একঘেয়ে’ অধিনায়ক।

নিতান্তই ‘নেতিবাচক’ মানসিকতার জন্য ভবিষ্যতে তাঁর সফল হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলেই মতামত ওয়ার্নের। সূত্র: দ্য অস্ট্রেলিয়ান।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।