আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিম্বু পানি সমাচার



আমার ছোটো ভাই Faisal Kabir এখন ইন্ডিয়াতের কলকাতায় , যাদবপুর ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে রেডিও অনকোলোজির উপর একটা একাডেমিক প্রশিক্ষন নিচ্ছে । আজ হঠাৎ ওর কথা মনে পরলো , আর ওর কথা মনে আসতেই আরএকটা জিনিসের কথামনে পরলো , তা হলো “নিম্বু পানি” । বেশ কয়েক বছর আগে আমি তখন ইন্ডিয়ায় । অকানে শিয়ালদহ এবং হাওড়া লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে এমনকি চলমান ট্রেনেও দেখা মিলতো নিম্বু পানি ওয়ালাদের ( এখন কি অবস্থা জানিনা ) । আজকাল ঢাকা শহরের ফুটপাথে এই লেবু পানির শরবত ওয়ালাদের দেখা মেলে , যা আগে ছিলনা ।

এই গরমে নিম্বুপানি অর্থাৎ লেবু পানি শরীরের পক্ষে অবশ্যই উপকারী, তবে তা স্টেশন বা রাস্তাঘাটের নয় । এগুলো খেলে আন্ত্রিক,জন্ডিস,জিয়ার্ডিয়া ,টাইফয়েট – যে কোনও রোগই হতে পারে। এগুলো খাবেন না । বরং বাড়িতে পাতিলেবুর রসের শরবত খান। হজমে সাহায্য হবে , পুষ্টিও পাবেন।

ভূরিভোজের পর শেষ পাতে লেবু পানি চটকে খাওয়ার রেওয়াজ অনেকের বহুদিনের। লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড, যা আমাদের পাকস্থলীর সোডিয়াম-পটাশিয়াম সহ নানা লবনের বিক্রিয়া করে ক্ষারধর্মী যৌগ সোডিয়াম সাইট্রেট বা পটাশিয়াম সাইট্রেট তৈরি করে। পাকস্থলীতে প্রধানত ক্ষরিত হয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড। ঝালে ঝোলে অম্বলে খেলে এই এসিডের ক্ষরন বেড়ে গিয়ে অম্বল হতে পারে, গলা বুক জ্বলতে পারে। ক্ষারধর্মী সোডিয়াম সাইট্রেট বাড়তি এই হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সংগে বিক্রিয়া করে তাকে নিউটিলাইজ করে অর্থাৎ বদহজম ঘটতে দেয় না।

এইভাবে লেবুর এসিড দিয়ে পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড নাশ হয়, অনেকটা বিষে বিষ ক্ষয়ের মত। সো লেবুর পানির শরবত “নিম্বু পানি” লা জবাব । তবে সেটি হওয়া চাই বাড়িতে তৈরি , রাস্তা ঘাটের নয় । এবার আসসা মত ভূরিভোজ করেন আর নিম্বু পানি খান , নো এসিডিটি , নো ডক্টর !!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.